তাল বেতাল পর্ব-০৩। কুষ্টিয়া ইসলামিক ভার্সিটিতে ডাবল ডেকার এসে পৌঁছেছে।

Saturday 21 May 2022

তাল বেতাল পর্ব-০৩। কুষ্টিয়া ইসলামিক ভার্সিটিতে ডাবল ডেকার এসে পৌঁছেছে।

পূর্বাপর

মজম পুর মোড়ে গাড়িটি প্রায় মিনিট দশেক অপেক্ষার পর আবার ডানে মোড় নিয়ে ধীরে ধীরে সোজা হয়ে একটু জোর কদমে ক্যাম্পাসের দিকে রওয়ানা হলো

চলবে

পর্ব 2 শেষ


Picsart_22-05-21_14-59-10-225.jpg

created by@mrnazrul

তৃতীয় পর্ব শুরু হলো.....

বাস চলছে রোদের জোরটা অনেক বেশি। তবে বাস চলাকালীন সময়ে কিছুটা আরাম বোধ হচ্ছে।
সবাই হাঁকাহাঁকি করতে ছিল। এখন হাঁকাহাঁকি বন্ধ করে দিয়েছে ।বাতাস করার কোন প্রক্রিয়ায় এখন দেখা যাচ্ছে না।

রাস্তার দুই পাশের অনেক কিছু স্থাপনা কোম্পানি, ইন্ডাস্ট্রি, ফাঁকা মাঠ গ্রাম ও বাজার সম্পর্কে আমার ছেলে আমাকে শুনিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ।আমিও সবকিছু মনোযোগ দিয়ে শুনে শুনে উপভোগ করছি ।এতসব স্থাপনার ও কলকারখানা ছবি চলন্ত বাস থেকে নেয়া সম্ভব হচ্ছিল না ।তাই আমরা দুজনেই ছবি নেওয়া থেকে বিরত থাকলাম।

আসতে আসতে অনেক জায়গার নাম, অনেক ইন্ডাস্ট্রির নাম ,অনেক ফাঁকা মাঠের নাম, সবকিছুই আমার ছেলে আমাকে বর্ণনা করলেও, ক্যাম্পাসে যাওয়ার পর আমি যেন সব নামগুলোই ভুলে গেলাম।

এ সময় কোন ছবি ধারণ করা হয় নাই তাই গুগল ম্যাপের সাহায্য নিতেও আমি ভুলে গেছি ।যেগুলো এখন আমি নাম লিখে লিখে আপনাদের বুঝাতে পারব না ।৪৫-৪৬ মিনিট রাস্তা অতিক্রম করে আমরা এখন প্রায় ক্যাম্পাসের কাছে এসে পৌঁছেছি।

আরেকটু গেলেই আমরা ক্যাম্পাসের গেট ছুঁয়ে যাব ।২-১ মিনিটের মধ্যেই আমরা ক্যাম্পাসের গেট দেখতে শুরু করলাম ।যার বিশদ বর্ণনা আমি ছবির সাথে দেওয়ার চেষ্টা করেছি ।বাহিরের দুটি ছবি ছাড়া সকল ছবি আমার ছেলে শোভন মোঃ নাহিদ তার মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করেছিল ।তার মোবাইল ক্যামেরাটির নাম রিয়েলমি বলেছিল। এখন তাহলে ক্যাম্পাসের সামনে আমার ধারণ করা ছবিগুলো আপনাদের দেখানোর চেষ্টা করব । যারা এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দেখেননি তাদের হয়ত দেখার একটা সুযোগ হবে। আর যারা আগে থেকেই দেখেছেন তাদের জন্য তেমন কিছু সুখবর এই পোস্টে আমি দিতে পারলাম না ।পরবর্তী পোস্টে আমি চেষ্টা করব ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার পর আমি কি কি দেখেছিলাম ।আর কোন কোন স্থানের ছবি সংগ্রহ করেছিলাম

বন্ধুরা

এটা আমার ঐতিহাসিক লেখার জন্য কোন পোস্ট নয় এজন্যই আমি এ সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকলাম। এটা আমার নিছক একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট যা আমার দর্শনের সাথে সাথে আমি আমার ছেলেকে দিয়ে ছবি নেওয়ার চেষ্টা করেছি ।তাহলে সাথে থেকে আজকে ক্যাম্পাস ফটকের বাহিরের কিছু ছবি আপনাদের দেখতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি দেখতে থাকুন।

Picsart_22-05-21_14-45-48-703.jpg
ইসলামিক ভার্সিটির নিজস্ব দোতলা বাসে উঠে আমরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে এসে প্রায় পৌঁছে গেছি। ফটক আমরা দেখতে পাচ্ছি।
সবাই বলছে কেউ এখানে নামবে ।কেউ আবার ভিতরে গিয়ে নামবে। দূর থেকে ফটকটি খুব নিচু মনে হচ্ছে।

Picsart_22-05-21_14-47-20-425.jpg

আরেকটু সামনে এগোতে এই ফটকটি আর অত নিচু দেখা যাচ্ছে না। তার পরেও আমার মনে হচ্ছে এখানে ডাবল ডেকার বাসটি প্রবেশ করা সম্ভব নয় ।আমি মনের কৌতূহলবশত কাউকে কিছু না বলেই শুধু অবলোকন করেছিলাম।

Picsart_22-05-21_14-59-10-225.jpg

দেখতে দেখতে বাসটি ভিতরে প্রবেশ করে গেল ।এতক্ষণে আমার কৌতূহল মিটে গেল। বাসটি ভিতরে প্রবেশ করেই বামদিকে মোড় নিয়ে ,ডাইনে একটি গোল চক্করের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদেরকে নামিয়ে দিল। যে যার মত চলে গেল। আমরাও ভিতরের কেন্টিনে চলে গেলাম ।ক্যান্টিন এর পাশেই নিজের কিছু প্রয়োজনীয় তা সেরে আবার বাহির হইয়া আসলাম এখানে কিছু ছবি নেওয়ার চেষ্টা করা হলো ।কয়েকটি ছবি ধারণ করা হলো ।যেগুলো এখানে সাজানো আছে।

Picsart_22-05-21_14-57-30-237.jpg

ক্যান্টিন থেকে ফিরে বাইরে এসে বিভিন্ন এংগেলে ছবি নেওয়া শুরু হলো ।কোথাও কোথাও আমি দাঁড়িয়ে ছবি নিলাম। আবার কোথাও কোথাও আমাকে ছাড়াই ছবি তোলা হলো। এ সময় আমার ছবিগুলো তুলেছিলেন আমার ছোট ছেলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শোভন মোঃ নাহিদ।

Picsart_22-05-21_14-55-33-603.jpg

সে যখন প্রবেশ করেছিল তখনো গেটের বাইরের অবস্থা একেবারেই শুনশান ছিল। লোকজন তেমন দেখা গেল না ।আমরা মনের সুখে ছবি তোলা শুরু করে দিলাম।

Picsart_22-05-21_14-54-12-058.jpg

আমরা বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে গেটের এবং গেটের বাহিরের ছবি নেওয়ার চেষ্টা করছি।

Picsart_22-05-21_14-52-30-568.jpg

ছবি ধারণ চলছে এ সময় আকাশ মেঘলা না থাকলেও সূর্যের আলোটা একটু ঝিমিয়ে পড়েছিল।

Picsart_22-05-21_14-51-07-192.jpg

আমাদের ছবি তোলার কাজ চলছে ।লোকজন নাই হেতু কারো সাথে এখানে তেমন কোন কথা বার্তা বলা হলো না।
Picsart_22-05-21_14-48-53-413.jpg

ছবি তুলতে তুলতে ভিতরের দিকে একটি সাদা রংয়ের কার প্রবেশ করল। এতক্ষণে প্রয়োজন মাফিক আমরা বাইরের ছবি তুলতে মেতেছিলাম। ছবি মোটামুটি আমাদের ধারণ করা শেষ ।

এখানে আর ছবি তোলা হবে না আমরা ভিতরে প্রবেশ করব। তার আগে বাপ-বেটাতে মিলে একটা ডাব খাওয়ার চেষ্টা করলাম| ডাব পাওয়া গেল না তাই এক গ্লাস পানি খাওয়া হলো|

চলবে

PicsArt_12-14-08.58.45.png

Visit My Another Activists

My Blog Twitter Facebook Youtube

PicsArt_12-14-08.58.45.png

Regard By@mrnazrul, Bangladesh
CategoryFlower, Nature, Animal.Recipe.Photography,Digital art.
DeviceWalton Primo-R6 Max
w3wLocation
PhotoLocation
Beneficiary10% Benefit for shy-fox.

PicsArt_12-14-08.58.45.png
3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD (1).gif
PicsArt_12-14-08.58.45.png

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Regard

Sort:  
 2 years ago 

কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এ আপনি দারুন সময় উপভোগ করেছেন ।মূল ফটক দেখতে অনেক সুন্দর ।আপনি দারুন ভাবে আপনার গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন পরবর্তি গল্পের অপেক্ষায় রইলাম

আসলে উপভোগের পরিমাণটা একটু বেশিই ছিল। অনেকদিন পর ছোট ছেলের সাথে দেখা ।সাথে তার কয়েকজন বন্ধু ।তাদের সাথে ঘোরাফেরা। সব মিলে খারাপ কিছু ছিল না।

 2 years ago 

পোষ্টের কভারে আপনার যে ছবিটা আছে সেখানে আপনাকে দারুন লাগছে ভাইয়া।
কুষ্টিয়া ইউনিভার্সিটি তে আপনি খুব ভালো উপভোগ করেছেন তা আপনার পোস্ট দেখেই বুঝতে পারলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার আনন্দের মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। সেই সাথে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।

জি ছবিতে আমি। উপভোগ যথেষ্ট করেছি। সময়ও কেটে গেছে ঝড়ের গতিতে।

Coin Marketplace

STEEM 0.30
TRX 0.12
JST 0.033
BTC 64513.89
ETH 3155.04
USDT 1.00
SBD 4.00