📱 শতরঞ্জি ও রংপুর। (১০% লাজুক খ্যাঁক সুবিধাভোগী)
শুভেচ্ছা সবাইকে
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে,আজকের নিয়মিত পর্ব টি লেখতে বসলাম।
বন্ধুরা
এই দুনিয়ার যোগ-বিয়োগের খেলায়, আমরা সবাই সঙ। আরো সোজা করে বললে, যোগবিয়োগ নাটকের, চরিত্র ভুমিকায় আমরা সবাই অভিনয়কারী।
কোটি কোটি বছরের, যোগ-বিয়গের খেলায়। বর্তমান কালটি খুবই নিষ্ঠুর। সব ঘটায় কিন্তু ঘটিয়েই ভবিষ্যতের পথে চলিয়ে যায়।অর্থাৎ মুহূর্তেই গত হয়ে যায়।
সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, দুঃখ-বেদনা সবকিছুর সৃষ্টি করে। কিন্তু কাউকে আপন করতে জানে না।
সব কিছু পিছনে ফেলে, শুধু ভবিষ্যতের দিকে দৌড়-ঝাপ করতে থাকে। এযেন তার সারা জীবনের শৌখিন কর্ম।
আলোকচিত্র#১
আলোকচিত্র#২
বন্ধুরা
আমার আজকের ফটোগ্রাফি ব্লগে, এমনি এক যোগ-বিয়োগ দিয়ে শুরু হয়েছে। যেখানে স্থান করে নিয়েছে, বিশ্ব খ্যাত-
রংপুরের শতরঞ্জি
"পিরপুর" ঘাঘট নদীর পাড়ের একটি গ্রাম। বর্তমান রংপুর সেনা নিবাসের পশ্চিমে গ্রামটির অবস্থান। এস্থানটি একেবারেই রংপুর জেলা সদরের উপকণ্ঠে।
বর্তমানে গ্রামটির নাম নিসবেত গন্জ।
এই গ্রামই রংপুরের ঐতিহ্যবাহি ও বিশ্ব নন্দিত "শতরঞ্জি" শিল্পের "আতুড়ঘর"
শত শত বছরের পুরনো, রংপুরের ঐতিহ্যবাহী "শতরঞ্জি" আজও তার নিজ ঐতিহ্য নিয়ে, বিশ্ব দরবারে তার পরিচয় ধরে রেখেছে।
রং-বেরঙের মোটা মোটা সুতায় তৈরি হয় এসব "শতরঞ্জি" বা 'গালিচা"। যার গুনগত মান ও ব্যবহারে আরামদায়ক হওয়ায়। আস্তে আস্তে সেসময় এলাকার সর্বজন বিদিত হতে থাকে।
আলোকচিত্র#৩
আলোকচিত্র#৪
আলোকচিত্র#৫
সময়টি ছিল ১৯১৮ সালের, ত্রিশ দশকে শুরু হওয়া চল্লিশ দশক। তৎকালিন রংপুর জেলা কালেক্টর ছিলেন এক বৃটিশ নাগরিক। তার নাম ছিল মিস্টার নিসবেত।
তিনি এই শিল্পের কথা শুনে, পীরপুর গ্রাম প্রথম পরিদর্শনে, "শতরঞ্জি"র রুপে ও গুনে মুগ্ধ হয়ে পড়েন।
কথিত আছে তিনি, শতরঞ্জি কারিগরদের উৎসাহ প্রদানের জন্য এক টাকা দু আনায় সেদিনের সহ আগের জমাকৃত সকল শতরঞ্জি নিজ উদ্যোগে কিনেছিলেন। এসব ক্রয়কৃত শতরঞ্জি তিনি নিজে ব্যবহার করেছেন।কারিগরদের ব্যবহার করতে দিয়াছেন। তার অধনস্ত প্রায় সকল কে ব্যবহার করতে দিয়াছিলেন।
এর পর থেকে, কালেক্টর নিসবেত, এ শিল্পের প্রসার ও প্রচারের মনযোগ দেন। নিজের উদ্যোগে বাজার সৃষ্টির চেষ্টা শুরু করেন। সার্বক্ষণিক পরিদর্শনের মাধ্যমে কারিগরদের সাথে মিশিয়ে যান।
>পরে এশিল্পের উত্তরোত্তর প্রসার ঘটতে থাকলে, "পীরপুর" গ্রামের নাম "নিসবেত গন্জ" নামে আপনা আপনি পরিবর্তন হয়ে যায়। যা আজও বিশ্ব দরবারে রংপুরের " নিসবেত গন্জ" "শতরঞ্জি পল্লী" নামে মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে।
আলোকচিত্র#৬
আলোকচিত্র#৭
_সেময় এসব রাজা, জমিদার, এবং ধনাঢ্য পরিবারের কাছে খুবই প্রিয় ও বিলাসবহুল হিসেবে খ্যাত ছিল ।
সে সময়ও ভারত উপমহাদেশর প্রায় সকল রাজ্যই এসব শতরঞ্জি রপ্তানির শীর্ষে ছিল।
বর্তমানে সকল চড়াই উতরাই পেরিয়ে, রংপুরের হাতে তৈরি শতরঞ্জি এখনো বিশ্বের অনেক দেশের বাজার স্ব-ঐতিহ্যে দখল করে রেখেছেন _।
জেনে রাখা দরকার। সারা বিশ্বে ও সারা বাংলাদেশের মধ্যে শুধু রংপুরেই হাতের তৈরি শতরঞ্জি তৈরি করা হয়ে থাকে। যা কোন মেসিন ছাড়াই।
.
আলোকচিত্র#৯
আলোকচিত্র#১০
ছবি গুলো চার-পাঁচ দিন আগে আমার ভেন্ডাবাড়ি হাটের, ডাক বাংলোর সামনে থেকে তোলা। এসময় ছিল হাটবার।কারু পন্যের এই সামগ্রী গুলো এখানে এই মাত্র বিক্রি করতে নিয়ে এসেছে। আমি দেখতে ও ছবি তুলতে চাওয়ায়, তারা তড়িঘড়ি করে, খুলে আমাকে দেখাতে ছিল। শতরঞ্জির ছবি তোলার কথা বললে, তারা আমাকে দুই-তিনটির ছবি তোলার জন্য উচু করে প্রদর্শন করায়। প্রচন্ড রোড। সাথে ছাতা না থাকায় দ্রুত বাসায় প্রবেশ করলাম।
আলোকচিত্র গুলো অসাধারণ হয়েছে এবং আপনার আলোকচিত্রের পোশাক গুলো চমৎকার ছিল।আর আপনার লেখার মানও খুব উন্নতমানের।ধন্যবাদ আপনাকে।
আলোকচিত্র গুলো খুবই সুন্দর ছিলো।এবং অত্যান্ত সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা আপনার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে সবসময় স্বাগতম।
"সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, দুঃখ-বেদনা সবকিছুর সৃষ্টি করে। কিন্তু কাউকে আপন করতে জানে না।
সব কিছু পিছনে ফেলে, শুধু ভবিষ্যতের দিকে দৌড়-ঝাপ করতে থাকে। এযেন তার সারা জীবনের শৌখিন কর্ম।" যথার্থ বলেছেন ভাই।
সুন্দর উপস্থাপনা করে, কিছু বলার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।আপনাকে সবসময় স্বাগতম।