সাদা পাথরে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।(ভোলাগঞ্জ)
শুভ দুপুর,
আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের প্রত্যেকেই ভালো আছেন। আজকে আমি আবারও নতুন একটা ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি। গতকাল আমরা কয়েক বন্ধু মিলে সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে সাদা পাথরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই। গতকাল খুব ক্লান্ত থাকার কারণে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারিনি। তাই আজকে লিখতে বসলাম,
আমরা ছিলাম মোট চারজন । গাড়ি ভাড়া করে আমরা সাদা পাথরের উদ্দেশ্যে রওনা দেই সকাল নয়টার দিকে। প্রথমে সিলেট সদর থেকে কোম্পানীগঞ্জ যাই। তারপর কোম্পানিগঞ্জ থেকে আমরা ভোলাগঞ্জে পৌঁছাই বিকেল তিনটায়। পথিমধ্যে কিছু দৃশ্য আমাদের নজর কাড়ে এবং আমরা ড্রাইভারকে থামিয়ে সেখানে কিছু আলোকচিত্র তুলে নিই । যদিও বাহিরে প্রচন্ড রোদ ছিলো।
ভোলাগঞ্জ থেকে সাদাপাথরে যেতে হলে নৌকা পথে যেতে হয় তাই প্রথমে ভোলাগঞ্জ গিয়ে আমরা একটি নৌকা ভাড়া করে নিই। যার একটি আলোকচিত্র আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
What3words
তারপর সবাই নৌকায় বসি এবং গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। নদীপথের দৃশ্যটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিলো যার কারণে কিছু ছবি তুলে নিই এবং সেইসাথে কয়েক সেকেন্ডের কিছু ভিডিও করে নিই।
What3words
আধঘন্টা পর আমরা ভোলাগঞ্জে পৌঁছাই। তার একটু পরেই আমরা পানিতে নামার প্রস্তুতি নিই। যার মধ্যে কয়েকটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
What3words
সেখানকার পানি একদম স্বচ্ছ ছিলো এবং বরফের মতো ঠান্ডা ছিলো। পানি স্বচ্ছ থাকার আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে এই স্পটটা ত্রিমোহনায় অবস্থিত এবং স্রোতস্বিনী। যেখানে একদিক থেকে পানি আসছে এবং দুই দিকে সেই পানি অপসারিত হচ্ছে। যেহেতু আমরা রোদের মধ্যে দিয়ে জার্নি করে গিয়েছিলাম সেহেতু পানিতে নামার সাথে সাথেই আমাদের আলাদা একটা প্রশান্তি লেগেছিলো। তাছাড়া সেখানকার দৃশ্যটা অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর ছিলো এবং অনেক মানুষে মুখরিত ছিলো।
What3words
সবাই যে যার মতো আনন্দ উপভোগ করতে ব্যস্ত ছিলো।
What3words
নিচের সাদাপাথর গুলি এতটাই স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিলো যে, মনে হচ্ছিলো সেগুলো যেনো ক্রিস্টাল পাথর।
What3words
বসে থাকার জন্য ঠিক তীরেই সারিসারি চেয়ার সাজানো ছিলো। আমরা সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টার মতো পানিতে ছিলাম। আমি হয়তো গুছিয়ে বলতে পারিনি কিন্তু অনেক বেশি এনজয়েবল ছিলো আমাদের এই ভ্রমণটা। তারপর আমরা খাওয়া-দাওয়া করি এবং নৌকার পথটুকু পাড়ি দিয়ে আবার গাড়িতে চড়ে বাসার দিকে রওনা দিই।
ক্যামেরা: iPhone
মডেল: 6S Plus
বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষকে অনেক কিছু করতে হয়। তাই হয়তো মানুষ টিকে থাকার প্রচেষ্টায় প্রতিমুহূর্তে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নেয়। আর চ্যালেঞ্জগুলো কে চ্যালেঞ্জিংভাবে ধরে রাখতে মানুষের শারীরিক সুস্থতা যেমন দরকার হয় ঠিক তেমনি দরকার হয় তার মনোরঞ্জনের। কারণ মন এবং মগজ সুস্থ থাকলেই কেবল সব রকমের চ্যালেঞ্জকে পাশ কাটিয়ে আপনি আপনার গন্তব্যে সহজে পৌঁছাতে পারবেন। তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজেকে উদ্দীপ্ত করার জন্য মাঝে মাঝে প্রকৃতির মাঝে হারানোটাও খুব দরকার ।
খুব চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন আপনার ভ্রমণের। জায়গাটি অসম্ভব সুন্দর। কিন্তু শুধু ছবিতেই দেখেছি এখন পর্যন্ত যাওয়া হয় নি। যাওয়ার ইচ্ছা আছে সেখানে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি জায়গার ছবি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্যটি করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুযোগ পেলে আপনিও একদিন ঘুরে আসবেন ।খুব ভালো লাগবে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
জায়গাটির প্রশংসা করে শেষ করা যাবে না।অনেক সুন্দর একটি জায়গা এটা।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো হয়েছে অতুলনীয়।আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।