ঈদ রিইউনিয়ন ২০২৪,স্মরণীয় মূহুর্ত।
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- রিইউনিয়ন
- ২০,মে ,২০২৪
- সোমবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এইতো ঈদের পরের দিন কলেজ কর্তৃক আয়োজিত একটি বড় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলাম।আমাদের ইনস্টিটিউটের নাম কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। কলেজের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যে সমস্ত স্টুডেন্ট লেখাপড়া করেছে সবার নিয়ে একটি রিইউনিয়ন এর আয়োজন করা হয়েছিল। আমরা কিছু বন্ধু সেখানে এটেন্ড করেছিলাম সবাই উপস্থিত থাকতে পারলে বেশি ভালো লাগতো কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি। যে ইনস্টিটিউটে চার বছর লেখাপড়া করেছি সেখানকার প্রতি আলাদা একটি মায়া কাজ করে। তাই সময় পেলেই মাঝেমধ্যে গিয়ে ঘুরে আসি মনে পড়ে যায় সেই পুরানো স্মৃতি। বেশ আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছে সিনিয়র ভাইয়েরা এবং কিছু শিক্ষক নিয়ে মিলে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
গত পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম আমরা ইনস্টিটিউটে পৌঁছানোর পরে সকালের নাস্তা নিয়ে একটি বাগানের মধ্যে চলে যায় সেটা আমাদের ইনস্টিটিউটের এই বাগান। তারপর আমরা সকালের নাস্তা শেষ করে যেসব ড্রেস আমাদেরকে দেয় সেটা পরিধান করে আমরা আরও বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য চলে যায়। বন্ধুদের সাথে দেখা হবে অনেকদিন পর এটা অনেক বেশি মজাদার মুহূর্ত। তারপর সবাই আমরা গিয়ে আমাদের নির্দিষ্ট আসনে বসে পড়ি। অনুষ্ঠান অলরেডি শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী মানুষ বক্তব্য দিচ্ছেন। আমরাও গিয়ে বসলাম প্রচুর গরম ছিল তাই ফ্যানের কাছাকাছি বসে ছিলাম। তারপর কুষ্টিয়া আসনের যে এমপি হানিফ সাহেব বক্তব্য দিলেন। আরো অনেকেই তাদের বক্তব্য রাখলেন।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
কি আর করব আমরা শ্রোতা হিসেবে গিয়েছি আমরা শুনছিলাম এবং বন্ধুরা সবাই মিলে একসাথে অনেক বেশি আড্ডা দিয়েছি গল্প করেছি। সেদিন অনেক বেশি গরম ছিল অনুষ্ঠানের একটি জায়গাতে বিখ্যাত কিছু খাবারের দোকানও ছিল তার মধ্যে ছিল কুলফি অন্যতম। এই গরমের মধ্যে আর বসে থাকতে ইচ্ছা করলো না তাই আমি এবং আমার বন্ধু অংকন চলে গেলাম কুলফি মালাই খেতে। গিয়ে দেখি অনেকগুলা দোকান সব দোকানেই মানুষের অনেক বেশি ভিড় তারপর অল্প সময় অপেক্ষা করার পর আমরা আমাদের কাঙ্খিত কুলফি মালাইটি পেয়ে যায়। অবশ্য কুষ্টিয়া গেলেই কুলফি মালাই খাওয়া হয় অনেক বেশি ভালো লাগে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
অনেক বেশি গরম ছিল ওয়েদার তাই এই গরমের মধ্যে ঠান্ডা জায়গা খোঁজার জন্য বাগানের মধ্যেই আমরা অনেকটা সময় বসে থাকি। কারণ এখানে কাজগুলো অনেক বড় বড় তেমন রোদের তাপ নেই আর পরিবেশটাও বেশ ঠান্ডা। অনেকে এখানে এসে সময় কাটাচ্ছে চেয়ারে বসে বক্তব্য কত সময় শোনা যায় তাই মাঝেমধ্যে এদিক সেদিক হাটাহাটি তো করতে হবে। মোটামুটি আমাদের প্রথম অংশে অনুষ্ঠান শেষের দিকে সেদিন ছিল শুক্রবার সেজন্য অনুষ্ঠান বেশি সময় হবে না জুম্মার সালাত আদায় করতে হবে। আজান হওয়ার পর প্রথম অংশের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যায় আমরা নামাজে যাওয়ার আগেই দুপুরের খাবার সংগ্রহ করি।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
যেহেতু খাবার সংগ্রহ করা হয়েই গিয়েছে তাই আর খাবার নিয়ে বসে না থেকে আমাদের খাবার খেয়ে শেষ করে ফেলতে হবে। শুধু শুধু খাবার রেখে দিয়ে লাভ কি সেজন্য আমরা সবাই মাঠের একটি স্থানে যেখানে মোটামুটি ছায়াযুক্ত আছে সেখানে বসে দুপুরের খাবারটা খাওয়া শুরু করি। তারা যথেষ্ট পরিমাণে খাবার দিয়েছিল ছিল খাসির কাচ্চি বড় বড় দু পিস গোস ছিল। খাবারটা বেশ সুস্বাদু ছিল তবে যে পানি দিয়েছিল গরম অনেক বেশি থাকাতে পানিগুলো অনেক বেশি গরম হয়ে গিয়েছিল। আমরা খাবারটা শেষ করে জুম্মার সালাত আদায় করার জন্য মসজিদে চলে যাই। ভরদুপুর অনেক বেশি গরম পরছে দুপুরের পরে তিনটা থেকে আবার অনুষ্ঠান শুরু। আমরা এসে বন্ধুরা সবাই মিলে কিছু ছবি উঠাই তারপর আবার অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। কিন্তু আমি আর আমার বন্ধু অনেক বেশি গরমের জন্য আর অনুষ্ঠানে থাকি না।
ভাবলাম অনুষ্ঠানে তো বন্ধুদের সবার সাথে দেখা হলোই। তাই বিকালটা এখন এলাকাতে গিয়ে ভাই ব্রাদারের সাথে ঘুরাঘুরি করে কাটিয়ে দেই। কারণ ঈদের ছুটি তো আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাবে কিন্তু আমাদের ঘুরাঘুরি তো শেষ হবেনা। সেজন্য বিকালটা ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য আমরা দুপুরের খাওয়া দাওয়া নামাজ শেষ করেই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করি বন্ধুদের থেকে বিদায় নিয়ে। অনেকদিন পর সকল বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে বেশ ভালো লাগছিল। এমন দিন প্রতিবছর একবার করে আসলে সব বন্ধুদের সাথে আবার মত বিনিময় করা যায়। স্মৃতির পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে এই দিনটি। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।
আসলে বহুদিন বাদে যখন পুরনো বন্ধুগুলো এক জায়গায় হতে পারি তখন সে আনন্দের কোন সীমা থাকে না। আসলে আপনি সেই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আপনারা অনেক বেশি মজা করেছেন এবং পুরনো বন্ধুগুলোকে আবার ফিরে পেয়ে সেই পুরনো স্মৃতিতে ফিরে গেছেন। আসলে আপনার এই আনন্দের সময়টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া বহুদিন বাদে বন্ধুরা সবাই একসাথে হলে অনেক বেশি আনন্দ হয়। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত প্রকাশের জন্য
শ্রোতা হয়ে শুনছিলেন আর বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিয়েছিলেন। আসলে এই মুহূর্তগুলো কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিরক্তি লাগে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালো লাগে যদি বন্ধুরা পাশে থাকে। ঠিক তেমনি এক অসাধারণ মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে।
তা অবশ্য ঠিক কিছু ক্ষেত্রে বেশ বিরক্ত লাগে শুধু শুধু বসে থেকে তাদের বক্তব্য শোনা। তারপরও বন্ধুরা সবাই মিলে ছিলাম মজা পেয়েছিলাম
রিউনিয়ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনেক ব্যাচ একত্রিত হয়েছিল। আপনার কলেজের এই মিলন মেলা সত্যিই অভিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাছাড়া পুরনো বন্ধুদের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারাটা সত্যিই অনেক আনন্দের। যেটা আপনি ভালই উপভোগ করেছিলেন সেই মুহূর্তটা অনেক সুন্দর ছিল। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন পুরাতন বন্ধুদের সাক্ষাৎ পাওয়া অনেক ভালো একটি ব্যাপার।