জাতীয় সংসদ ভবন।

আসসালামু আলাইকুম।

আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

---

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। ঢাকাতে অবস্থানকালে রুমের মধ্যেই সময়টা বেশি কেটে যায় তেমন কোথাও ঘোরাফেরা হয় না। এই জ্যামের শহরে কাজ ছাড়া কোথাও বের হতে ইচ্ছে করে না। ঘোরাঘুরির জন্য বের হলেও জ্যামজটের কারণে ভ্রমণের আসল মজাটাই হারিয়ে ফেলি। তারপরও মাঝেমধ্যে ঘুরতে যেতে ইচ্ছে হয়।

---

তাই আমি এবং আমার দুই বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি আমাদের বাসার পাশে যেহেতু সংসদ ভবন আমরা সেখানে যাবো। রাতের বেলা সংসদ ভবনটা দেখতে বেশ দারুন লাগে। বিশেষ করে যাওয়া আমার বন্ধু রাজুর জন্য কারণ কর্মস্থল আশুলিয়া সে যেহেতু স্কুলে জব করে তাই শুক্র শনিবার ছুটি থাকে। আর এই সময়টাতে সে আমাদের এখানে চলে আসে একটু ভালো সময় কাটানোর জন্য। কারণ বাড়িতে থাকতে আমরা সবসময় একসাথে এদিক সেদিকে ঘুরাঘুরি করতাম এখন চাকরির সুবাদে সে অন্য জায়গাতে। একটু ছুটি পেলে মনটা ছুটে চলে আসে আমাদের কাছে ।

প্রতি সপ্তাহে সে আমাদের এখানে আসে তবে সেভাবে ঘুরাঘুরি করা হয় না। তাই আজকে আমি এবং আমার বন্ধু অংকন ও রাজু, আর সাথে ছিল একটি ছোট ভাই, আমরা চারজন সংসদ ভবনের উদ্দেশ্যে মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে একটি বাসে উঠি। আর আরেকটি ছোট ভাই আসার কথা মিরপুর থেকে সে অবশ্য আমাদের আগেই বের হয়েছে। আমাদের বাসা থেকে সংসদ ভবনের দূরত্ব সর্বোচ্চ ৪ কিলোমিটার কিন্তু যেতে তো অনেক সময় লাগবে কারণ এটা তো ঢাকা শহর। মোহাম্মদপুর থেকে আসাদ গেটে আসতেই আমাদের সময় লেগে যায় ৩০ মিনিট মতো। এত অল্প পথ একটু বেশি লেগে গিয়েছিল কারণ সন্ধ্যার সময় রাস্তায় গাড়ির চাপ অনেক বেশি ছিল। তারপর আসাদ গেটে এসে ট্রাফিকের লম্বা একটি সিরিয়ালে দাঁড়াতে হল আমাদের বাস তো সামনের দিকে আগাতে চায় না। এক পর্যায়ে আমরা বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করি ।

আমারা ৫০০ মিটার হাঁটলে সংসদ ভবন পেয়ে যাব। রাস্তার অন্য লাইনে দেখলাম প্রচুর গাড়ির চাপ সবগুলো দাঁড়িয়ে আছে তা বাস থেকে নেমে ভালোই করেছি। পাঁচ মিনিট হাঁটার পরই সংসদ ভবনের এরিয়াতে চলে আসি। রাতের বেলা সংসদ ভবনটার আশেপাশের পরিবেশটাও বেশ সুন্দর । চারিদিকে লাইট এবং রাতের বেলার যে আলাদা সৌন্দর্য আছে সেটা বেশ ভালই বোঝা যাচ্ছিল। একটি গাছের উপর ল্যাম্পপোস্টের আলো পড়েছে কৃষ্ণচূড়া সবুজ পাতা মোড়ানো গাছটি দেখতে অসম্ভব ভালো লাগছিল। এই যদি কৃষ্ণচূড়া ফুল থাকতো তাহলে আরো বেশি ভালো লাগতো।

---

^{Device : Realme 7
What's 3 Word Location :}

এর আগেই বলেছি রাতের যে আলাদা সৌন্দর্য আছে সেই সৌন্দর্যে বিভিন্ন বস্তুকে অনেক আকর্ষণীয় করে তোলে। কৃষ্ণচূড়া গাছটিকে দিনের বেলা হলে হয়তো এত ভালো দেখা যেতো না। রাতের বেলায় সবুজ গাছ এবং পিছনের কাল আকাশটা অনেক বেশি ভালো লাগছে। আর এখন আমরা সামনের দিকে মেন পয়েন্টটাতে যাব। তার আগে ফোন করি মিরপুর থেকে যে ছোট ভাই এসেছে তাকে সে বলল মাঝে মাঝেই জায়গাতে বসে আছে। তাই আমাদের এখন গন্তব্য সংসদ ভবনের এরিয়ার মাঝামাঝি স্থানে গিয়ে তার সাথে দেখা করব।

---

^{Device : Realme 7
What's 3 Word Location :}

দুই মিনিট হাঁটার পর তার সাথে দেখা হয়ে যায় ।আর সেখান থেকে হঠাৎ সংসদ ভবনের সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। রাতের বেলায় ভালোই আলোকিত হয়ে গিয়েছে সংসদ ভবনের চারিপাশ। দূর থেকে তাকিয়ে দেখতে অসম্ভব ভালো লাগছিল। তারপর ওই ছোট ভাইয়ের সাথে আমরা একটি স্থানে বসে গল্প করতে থাকি ।অনেকদিন পর দেখা কত জমানো গল্প সব আস্তে আস্তে হৃদয় থেকে বের হয়ে আসছে। আমরা একটি স্থানে বসে শীতের ঠান্ডা হওয়ার মাঝে রং চা পান করি। তারপর এদিক-সেদিক হাঁটাহাঁটি করার জন্য আমরা উঠে দাঁড়ায়।

---

^{Device : Realme 7
What's 3 Word Location :}

চলতি পথে রাস্তাঘাটে হাওয়াই মিঠাই দেখলে ছোটবেলার কথা মনে পরে। অবশ্য ছোটবেলায় যে হাওয়াই মিঠাই খেয়েছিলাম এখনকার হাওয়ায় মিঠাই সেটা অনেকটাই অন্যরকম। ছোটবেলায় ছোট ছোট হাওয়ায় মিঠাই খেতে বেশ মজা লাগতো ছোটবেলার কথা বেশ মনে পরে। আগের সংসদ ভবনের এই পাশটাতেই বিভিন্ন খাবারের দোকান বসতো ,কিন্তু এখন দেখি রাস্তার ওই পাশে বসে আছে। তাই যেহেতু আমরা ঘুরতে বের হয়েছি কিছু তো খাবার খেতেই হবে।

---

^{Device : Realme 7
What's 3 Word Location :}

এখানে দাঁড়িয়ে অনেক কিছু খেয়েছিলাম তো সবকিছু ছবি তোলা হয়নি। চলে আসার ঠিক আগ মুহূর্তে ফুচকার দোকানে গিয়ে ভেলপুরি খাইলাম। এর আগে কখনো ভেলপুরি খাওয়া হয়নি তাই একটু ট্রাই করাই যায়। তবে খেয়ে অভিজ্ঞতা বেশ ভালই ছিল টেস্টটা মোটামুটি ভালোই লেগেছে। আস্তে আস্তে রাত গভীর হচ্ছে আমরা আর বেশি সময় এখানে থাকবো না। আমাদের সাথে যে ছোট ভাই দেখা করতে এসেছিল তাকে বললাম চলো যাই আমাদের বাসায় সেও রাজি হয়ে গেল। আজকে রাতে প্রচুর আড্ডা দিতে হবে যে আমরা বাসার দিকে হাঁটা শুরু করি।

---

^{Device : Realme 7
What's 3 Word Location :}

হঠাৎ চোখে পরে রাজকীয় স্টাইলের ঘোড়ার গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে সংসদ ভবনের সামনে। আর আমি যদি রাজা হতাম তাহলে এই ঘোড়ার গাড়িতে উঠে একটু ঘোরাঘুরি করতাম। দূর থেকে দেখতে বেশ ভালো লাগছিল গাড়িটি তবে আলোর স্বল্পতা থাকার কারণে ভালো ছবি উঠাতে পারিনি। তারপর আমরা বাসার দিকে রওনা করি অনেক তো ঘুরাঘুরি হলো এখন তো বাসায় যেতেই হবে। মাঝেমধ্যে এমন ঘোরাঘুরি করতে আসলেই বেশ মজা লাগে ।তবে এই ব্যস্ততম নগরীতে বের হতেও ভয় হয়। অল্প পথ যেতে অনেকটা সময় লেগে যায় আর আমার জ্যাম জটে বসে থাকতে অনেক বেশি বিরক্ত লাগে। তবে আজকের সময়টা বেশ ভালো ছিল অনেক মজা করেছি। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে ভিন্ন কোন গল্প নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।

---

---

আমি কে !

আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

💞 আল্লাহ হাফেজ 💞