লাকমাছড়া ঝর্ণা পর্ব ০১||সুনামগঞ্জ||
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- ব্যস্ততম শুক্রবার
- ০৮,অক্টোবর ,২০২৩
- রবিবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আপনাদের সামনে আবারও হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের মাঝে আবারও ভ্রমণকাহিনী শেয়ার করার জন্য চলে এসেছি। ভ্রমণ কাহিনীর গত পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম নীলাদ্রি লেকের অপরূপ সৌন্দর্য। আজকে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাকমাছড়া ঝরনা। আমাদের ভ্রমণটা ছিল একদিনের পুরা সুনামগঞ্জের পপুলার স্থানগুলো শেষ করা। নীলাদ্রি লেক থেকে আমাদের প্ল্যান ছিল আমরা একটা নৌকা নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে যাব।ওইখানে গিয়ে গোসল করে তারপর এদিক দিয়ে তাহেরপুর চলে আসব। আমরা এমন একটি নৌকা খুঁজছিলাম যেখানে আমাদের দুটো বাইকসহ আমাদের নিয়ে আসতে পারবে।
আমরা নীলাদ্রি লেক থেকে টেকেরঘাট চলে আসি যেখানে নৌকা থাকে। যেহেতু দুপুর সময় হয়ে গিয়েছিল সব নৌকায় টাঙ্গুয়ার হাওরের উদ্দেশ্য চলে গিয়েছিল ঘাটে মাত্র একটি নৌকা ছিল এবং তার ভাড়াটাও অনেক বেশি চাচ্ছিল। অনেক সময় কথাবার্তা বলার পরও যখন ভাড়া কমালো না তখন পাশেই একটি দোকানে গিয়ে কিছু নাস্তা করি এবং সেই দোকানের মালিকের সাথে কথা বলি যে এখানে কি ভাড়ায় এমনই। তিনি বললেন না ভাড়া কম আছে কিন্তু হয়তো এখন ঘাটে নৌকা নেই সেজন্য ভাড়া কমাচ্ছে না। আমরাও ভাবলাম একটু সময় অপেক্ষা করি তারপর আরো নৌকা আসুক তখন দামাদামি করে একটা নৌকা নিয়ে চলে যাব। তখন দোকানদার বলল শুধু শুধু বসে না থেকে পাশেই একটি দর্শনীয় স্থান আছে সেটা হলো লাকমাছড়া ঝর্ণা।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
মোটরসাইকেল নিয়ে যাইতে নাকি ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগবে আমাদের এ জায়গার কথা জানা ছিল না। তিনি বলাতে আমরা লাকমাছড়া ঝর্ণার সৌন্দর্য দেখার জন্য ছুটে চলি । যেহেতু আমাদের অপরিচিত এলাকা তাই স্থানীয় জনগণের কাজ জিগাইতে জিগাইতে লাকমাছড়া ঝর্ণার কাছে চলে যায়।
ওইখানে যেতে যেতে ঘড়ির কাটায় সময় তখন দুইটা ৩০ মিনিট বেশ ক্লান্ত ছিলাম। শরীরে পানির সল্পতা ও দেখা দিবে হয়তো তাই ওইখানে বসে ঠান্ডা পানির সাথে লেবুর শরবত খেয়ে নেই। এ যেন ক্লান্তি লগ্নে স্বস্তির নিঃশ্বাস।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমরা বাইকগুলো এই দোকানেই রেখে লাকমাছড়া ঝর্ণার উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করে দেই। এটাও বাংলাদেশের শেষ সীমান্তে কিছুটা অংশ ভারতের ভিতরে চলে গিয়েছিলাম আমরা। যেতেই দেখি অপরূপ সুন্দর এক পানির শব্দ ভেসে আসছে কানে। তবে ঝর্ণা টা কোথা থেকে এসেছে এটা আমরা দেখতে পারিনি কারণ এটা ইন্ডিয়ার মধ্যে ছিল। আমরা শুধু পানির স্রোত উপভোগ করতে পেরেছিলাম। বাচ্চারা এই পানিতে গোসল করছে এটা যেহেতু প্রবাহমান পানি তাই পানিটি অনেক বেশি ঠান্ডা। ক্লান্ত শরীরে যখন পানিতে পা ডুবাইলাম ঠান্ডা পানির অনুভূতি অসম্ভব ভালো লাগছিল। এখানে বসে অনেক সময় প্রকৃতি উপভোগ। প্রকৃতি উপভোগ এবং মজাদার কিছু কাহিনী পরবর্তী পোস্টে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত সাথেই থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে।
আসলে মানুষ সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। যেই দেখেছে আশেপাশে কোন নৌকা নেই আর আপনাদেরও যেতে হবে অমনি ভাড়া বাড়িয়ে বলেছেন। যাইহোক ভাড়া বাড়িয়ে বলার কারণে আপনাদের একটা লাভই হলো কারণ নতুন একটা জায়গা ভিজিট করতে পারলেন। আসলে এরকম প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরতে কারি বা ভালো না লাগে। যদিও বা আমার এরকম জায়গায় ঘোরার সুযোগ হয়নি বললেই চলে। তবে আজকের আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই সুন্দর জায়গা গুলো দেখতে পেরে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে সবাই সুযোগের অপেক্ষায় থাকে অপশন কম থাকলে ডিমান্ড বেড়ে যায়। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
পর্যটক এলাকায় এই সমস্যা টা হয়ে থাকে। নতুন লোক দেখলেই ওরা অতিরিক্ত ভাড়া চেয়ে বসে। যেটা আপনার ক্ষেএেও হয়েছে। এই জন্য টাঙ্গুয়ার হাওর যাওয়া বেশ ঝামেলা হয়ে গেল আপনাদের। তবে হঠাৎ লাকমাছড়া ঝর্ণা টা একেবারে দারুণ ছিল। যদিও ঝর্ণাটার শুরু প্রান্ত আপনি দেখতে পারেননি ভারতের মধ্যে থাকার জন্য। কিন্তু যতটা দেখেছেন সেটাও অসাধারণ ছিল। চমৎকার ছিল ভাই আপনার আজকের পোস্ট টা।
আপনার ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিংটা খুবই সুন্দর ছিল ভাই। আসলে ঘোরাঘুরি করলে মন শরীর দুটো খুব ভালো থাকে। তাছাড়া ঘোরাঘুরি মাধ্যমে যে দেশের নানা অঞ্চলের সংস্কৃতির ওপর বেশ ধারণা পাওয়া যায়। আপনার শেয়ার করা ছবিগুলো থেকে দারুন দারুন জিনিস দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি ভ্রমণের চিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য
হুম সেইজন্য ঘুরতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ
সু স্বাগতম ভাই। ভালো থাকবেন