কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতাল।|| CMH Dhaka||
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতাল
- ০৯,অক্টোবর ,২০২৩
- সোমবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আপনাদের সামনে আবারও হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। হঠাৎ আমাকে যেতে হয়েছিল কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতাল অর্থাৎ সি এম এইচ যা সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত একটি হাসপাতাল। এখানে এলাকা থেকে একটি রোগী ভর্তি হয়েছিল তার ব্লাড লাগবে। সেজন্য রোগীর এক রিলেটিভ আবার কাছের ছোট ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলে ব্লাড দিতে। তাই হঠাৎ করেই সিএমএইচ হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। আপনাদের সাথে শেয়ার করব হাসপাতালে যাওয়ার কাহিনী এবং ভিতরের পরিবেশ সম্পর্কে। আমি থাকি মোহাম্মদপুর হাসপাতাল আমাদের এখান থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে। শুনতে কিলোমিটার কম হলেও ঢাকা শহরে এটি অনেক সময়ের জার্নি। কারণ এখানে অনেক গাড়ির চাপ এবং জ্যাম নিত্যদিনের ঘটনা এটাকে তো এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। আমি বাইক নিয়ে ঢাকা শহরে চলাচল করি তারপরও মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর কম্বাইন মিলিটারি হাসপাতালে যেতে দেড় ঘন্টা সময় লেগে গিয়েছিল। কারন আমি বের হয়েছিলাম একদম অফিস টাইমে তখন সবাই অফিসে যায় রাস্তায় প্রচুর গাড়ির চাপ থাকে। সকাল আটটার দিকে বের হয়ে আমাদের সিএমএইচ পৌঁছাতে পৌঁছাতে নয়টা ত্রিশের সময় পৌঁছায়। রাস্তায় প্রচুর জ্যাম তারপর ছিল গরম রাস্তার জার্নিটা বেশ কষ্টকর ছিল।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
এটা যেহেতু আর্মিদের এলাকা এখানে অনেক নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে বাইক রাইড করতে হয় একটু ভুল হলেই জরিমানা অথবা বকা খেতে হবে। আমরা সিএমএইচ এ ঢুকে গাড়িটা পার্কিং করে যিনি আমাকে ফোন দিয়েছিল তাকে আমি ফোন দিয়ে তার সাথে দেখা করতে চলে যাই। যেহেতু রোগী ছিল সিজারের রোগী সিজারের রোগী সাধারণত ব্লাড লাগে আবার লাগে না তারপরও রেডি রাখতে বলে ডোনার। আমি যায়ে শুনি তার ব্লাড লাগবে না বেশ কষ্ট লাগছর। কারণ এত কষ্ট করে গিয়েছি যে কাজের জন্য কাজটা যদি না হয় তাহলে আমার খুব খারাপ লাগে। তবে সমস্যা নেই ব্লাড যেহেতু লাগেনি তার মানে রোগীর সুস্থ আছে এটাই আলহামদুলিল্লাহ।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
তার সাথে কিছু সময় গল্প করে সিএমএস হাসপাতাল ঘোরার জন্য ওখান থেকে উঠে চলে আসি। হাসপাতালটি বেশ সবুজ শ্যামলের ঘেরা অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন যেহেতু সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে। রাস্তাগুলো বেশ চমৎকার দু সাইডে গাছ মাঝেমধ্যে মনে হয় রাস্তার মাঝেই বসে থাকে। তারপর আমরা ক্যাফেটিরিয়ার সামনে যাই ওখানে গাছের নিচে বসে থাকার জন্য একটি জায়গা করে রেখেছে আমরা ওখানে গিয়ে বসে থাকি। এবং ঠান্ডা হাওয়ায় সতেজ নিঃশ্বাস নিতে থাকি। কারণ এরকম গাছপালায় ঘেরা জায়গা ঢাকাতে খুব কমই আছে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
বসে থাকতে বেশ মজা লাগছিল আর আশেপাশের কিছু ফটোগ্রাফি করি। অনেক সময় বসে আড্ডা দেওয়ার পর যেহেতু আমাদের কাজ হয়নি। তাই বাসার উদ্দেশ্যে চলে আসার জন্য হাটাহাটি শুরু করে দেই। আর আশেপাশের বিল্ডিংয়ের সৌন্দর্য দেখি এবং কিছু ফটোগ্রাফি করি। এক কথায় কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতাল এর পরিবেশ এবং সৌন্দর্য আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সবথেকে ভালো লেগেছে এটি অনেক নিরিবিলি একটি জায়গা। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে সে পর্যন্ত সাথেই থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে।
আপনি এত দূর থেকে জ্যামের মধ্যে কষ্ট করে রক্ত দেওয়ার জন্য হাসপাতালে গিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। সিজারের রোগীর পরবর্তীতে রক্ত লাগে নি জেনে আপনার মন খারাপ হয়েছে। মন খারাপের কিছুই নেই ভাই। হয়তো আজ নয় কাল অন্য জনের রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতালে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। এত সুন্দর কিছু মুহূর্তের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাই এটা ঠিক বলেছেন যে রোগী সুস্থ আছে এটা অবশ্য ভালো লাগার ব্যাপার। ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য
হ্যাঁ মিলিটারীদের এলাকা তো এজন্য বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আর সেখানে নিয়ম-কানুন অনেকটাই মেনে চলতে হবে। হ্যাঁ ছবিগুলো দেখ বোঝা যাচ্ছে হাসপাতালে পরিবেশটা অনেকটাই সবুজ সুন্দর।
সেটাই মেলেটারি এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে হয় নাকি। হাসপাতাল টা বেশ সুন্দর ছিল। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ঢাকা শহরে ১৪ কিলোমিটার মানে যে কী যারা এখানে থাকে তারা খুব ভালোভাবে জানে হা হা। ব্লাড দিতে গিয়ে ব্লাড লাগে নাই। হয়তো আপনার একটু সময় নষ্ট হয়েছে কারণ কাজটা হয়নি। কিন্তু আসল উদ্দেশ্য সফল হয়েছে রোগী সুস্থ্য আছে। আর ফ্রেশমেন্ট এর জন্য এইরকম গাছপালা ঘেরা স্থানে আড্ডা দেওয়া বেশ দারুণ অনূভুতি।।
হাসপাতালে পরিবেশটা আসলে অনেক সুন্দর ছিল। সবুজ শ্যামলে ঘেরা হাসপাতালটি আমার বেশ ভালো লেগেছে। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ