কুয়াশাচ্ছন্ন "শীতের সকাল"
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ --১৯ই, কার্তিক ,|১৪২৯ বঙ্গাব্দ||শুক্রবার ||শীতকাল||
আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার প্রথম শীতের সকাল উপভোগ করার গল্প। প্রতিদিন সকাল সকাল উঠে এভাবে সকালে ঘুরে বেড়ানো হয়না। সকালের সৌন্দর্য সম্পর্কে তেমন অবগত ছিলাম না। সাধারণত নভেম্বর মাস থেকেই শুরু হয় শীতের ছোঁয়া বাতাসে গা শিরশির করে। কেমন যেন ঠাণ্ডা অনুভূতি সৃষ্টি হয়। ফজরের সালাত আদায় করে সাধারণত প্রতিদিন ঘুমিয়ে যায়। আজকে হঠাৎ ভাবলাম শীতের সকালটা উপভোগ করা যেতে পারে। তাই সালাত আদায় করার পর আর না ঘুমিয়ে এলাকাতেই হাঁটাহাঁটি করার জন্য একাই বের হয়ে পড়লাম।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
কারণ এত সকালে তেমন কাউকে খুঁজে পাবো না আমার সাথে হাঁটাহাঁটি করার জন্য শীতের সকালে সবাই খুব আরামে ঘুমিয়ে থাকে তাই কাউকে বিরক্ত করতে চাই না। শীতের সকালে এই প্রথম আমার হাঁটাহাঁটি হবে এ বছরে। আমি যখন বের হলাম হাটাহাটি করতে তখন পূর্ব আকাশে রোদের কিছু আবছা আলোর দেখা মেলে যা লাল বর্ণ ধারণ করে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে যখন লাল বর্ণের সূর্যের আবছা আলোর দেখা মেলে তখন সকালটা যেন মিষ্টি হয়ে ওঠে। আমি যখন সকাল উপভোগ করতে বের হয়েছিলাম তখন সূর্যের দেখা এখনো মেলেনি। কিন্তু সূর্য ওঠার আগে আকাশটা অদ্ভুত রকম সুন্দর লাগে। সূর্যটা উদয় হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে রক্তিম বর্ণ ধারণ করে যা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে। শীতের সকালে হাটাহাটি করতে বেশ ঠান্ডা অনুভব হচ্ছিল আর এই সকালের প্রকৃতিটা অসম্ভব সুন্দর ছিল।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমাদের বাড়ির সামনেই বড় একটি পুকুর রয়েছে পুকুরের এপার থেকে আকাশ এবং পুকুরে সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছে এ যেন অসম্ভব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যর লীলাখেলা। তারপর হাঁটতে হাঁটতে একটি ফাঁকা রাস্তায় যাই যার দুপাশে ধান ক্ষেত এবং রাস্তাটি অনেক নিরিবিলি। তখনও সূর্য ওঠেনি শীতের সকালে মানুষেরা শীতবস্ত্র পড়ে রাস্তা দিয়ে হাটাহাটি করছে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
অপরদিকে মাঠে ধান খেতের শিশির ভেজা সৌন্দর্য যা হাত দিয়ে শুয়ে দেখতে ইচ্ছা করছিল। আমি বেশ কিছু সময় রাস্তাতে হাঁটাহাঁটি করি তখনও সূর্য ওঠেনি হালকা শীত লাগছে। শীতল বাতাস বইছে বাতাস যখন ধানক্ষেতের উপর দিয়ে বয়ে চলে যাচ্ছে তখন ধানক্ষেতে সৌন্দর্য দেখে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে। শীতের সকালের সৌন্দর্য সবার ভাগ্যে জোটেনা। বিশেষ করে যারা গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে তারা শীতের সকালের সৌন্দর্যটা অনেক ভালোভাবে উপভোগ করতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল শিশির ভেজা ঘাস যেন তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। যারা শহরে বসবাস করে তারা চাইলেও সকালে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেনা।
গ্রামে চারপাশে এখন থেকেই শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। সকাল বেলা হালকা কুয়াশা থাকে। নামাজ পড়ে আমিও মাঝে মাঝে হাঁটতে বের হই। শীতের সকালে রাস্তার দুই পাশে অনেক লোক আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিতে থাকে। এখন যেহেতু অল্প শীত তাই দেখা যায় না। বেশি শীত পড়লে তখন রাস্তায় রাস্তায় লোকজন আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিতে থাকবে। সূর্য ওঠার সাথে সাথে ধানের ক্ষেতের উপর শিশির পরা দেখে মনে হয় মুক্ত ঝলমল করছে। দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে। কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের প্রথম প্রথম সকাল উপভোগ করেছেন। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ এইরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনার শীতের সকাল উপভোগ করার দৃশ্যগুলো সত্যিই চমৎকার ছিল। আপনি তো খুব ভোরে বাইরে ঘুরতে গিয়েছেন মনে হচ্ছে যেন এখনো সকালই হয়নি, সূর্য ওঠেনি বেশ অন্ধকারাচ্ছন্ন দেখতে লাগছে। আসলে আমরা যারা ঘুমকাতুরে তাদের শীতের সকালে উঠা খুবই কঠিন ।তারপরেও আপনি কষ্ট করে উঠে বেশ কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। আর আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রামের মানুষ যেভাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে শীতের দিনে শহরের মানুষ সেভাবে পারে না ।তবে আমার আরেকটি বিষয় মনে হয়েছে আপনি এত সকালে উঠেছেন অন্ধকার মনে হচ্ছে ,একা একা ভয় পাননি?
সকালে বাইরে বের হলেই বোঝা যায় শীত এর আগমন হয়ে গেছে।কারণ চারিদিকে এখন শিশির এ ভরে যায় সকালে।অনেক দারুন লিখেছেন ভাই ফটোগ্রাফি ও সুন্দর ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের দিকে মোটামুটি ভালই ঠান্ডা শুরু হয়ে গিয়েছে মনে হয় । আপনার মত আমিও ভাবি যে নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হব। কিন্তু এই আরাম আরাম ওয়েদারে আর যাওয়া হয় না। তাছাড়া সকাল বেলায় সূর্য ওঠা দেখতে খুব ভালো লাগে। তখন চারপাশে পরিবেশটা আসলেই অনেক মিষ্টি লাগে দেখতে। আপনার ফটোগ্রাফিতে বোঝা যাচ্ছে যে কি চমৎকার ওয়েদারে ঘুরে বেরিয়েছেন। ভালো হয়েছে যে আপনি সকালবেলা হাঁটতে গিয়েছেন। যার জন্য এত সুন্দর কিছু প্রকৃতির ছবি দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
এই নভেম্বর মাসে ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকে, ভালোই লাগে। তবে গ্রামের দিকে কুয়াশাটা খুব ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। আর গ্রামের দিকে ঠান্ডা টাও খুব তাড়াতাড়ি পড়ে। আপনি গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কুয়াশাচ্ছন্ন খুব চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি যেখানে আছি এখন এখানে তেমন একটা শীত আসেনি। আর কুয়াশা দেখা যায় না। তাই এখনো সকালটাকে উপভোগ করতে পারিনি। আপনার এই সকালবেলা হাটাহাটির মুহূর্তগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আর লাল বর্ণের আকাশের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল।
নভেম্বর মাসের শুরুতে একটা ঠাণ্ডা হিমেল হাওয়া বইতে থাকে ভালোই লাগে। শীতের সকালে হাঁটার জন্য পার্টনার পাওয়া কষ্টকর। শীতের সকালে কাউকে ডাক দিলে সে ধরে মারও দিতে পারে। একদম ঠিক বলেছেন সূর্য ওঠার আগে আকাশটা দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর লাগে। আপনার ছবিগুলো কিন্তু চমৎকার তুলেছেন। পুকুরের এপার থেকে আকাশ ও পুকুরের ছবিটা আসলেই মনমুগ্ধকর লাগছে। এ সময়কার ধানক্ষেতের দিকে তাকিয়েই থাকতে ইচ্ছা করে। ধানগুলো পেকে একাকার হয়ে গিয়েছে ভালই লাগছে।
এখন চারদিকে একটু একটু শীতের আমেজ পড়েছে, এই সময় টা খুবই সুন্দর একটি সময় আর যদি সেটা হয় ভোরবেলা হাঁটতে যাওয়ার মুহূর্ত তাহলে তো কোন কথায় নেই। সকালের মিষ্টি রোদ আর ফুরফুরে বাতাস এটা শরীর ও মনের জন্য খুবই ভালো। ভাইয়া আপনি সালাত আদায় করে না ঘুমিয়ে ভালোই করেছেন। যদি আবার ঘুমিয়ে পড়তেন তাহলে এত সুন্দর একটি সকাল উপভোগ করতে পেতেন না, আর আমরাও সুন্দর সকালের ফটোগ্রাফি গুল দেখতে পেতাম না। সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।