চলো ফিরি নীড়ে
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- চলো ফিরি নীড়ে
- ২৬,অক্টোবর ,২০২৩
- শুক্রবার
হ্যালো আমার বাংলাব্লগ বাশি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনাদের সামনে আবারো হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল আপনাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করা হয় না। তাই আজকে আবারো হাজির হয়ে গেলাম বিভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে। কংক্রিটের ব্যস্ততম শহরে এসেছি অনেক দিন। রাস্তা ঘাটে জ্যামের মত এই মনটাও কেমন যেন জ্যাম হয়ে আছে। ইউনিভার্সিটিতে চলছে পরীক্ষা তাই তো মিলছে না ছুটি অপেক্ষা করছি পরীক্ষা শেষ হওয়ার। কবে পাব আবার সেই প্রকৃতির দেখা নিরিবিলি পরিবেশ গ্রামের মাটির গন্ধ অপেক্ষা করে যাচ্ছি আর দিন গুনে যাচ্ছি।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে আর কি ঢাকাতে বসে থাকা যায়? কি লাভ ব্যস্ততম নগরীতে ব্যস্ততা বাড়ানোর। আমাদের পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছে শনিবার রাতে। তাই রাতে বের না হয়ে সকালে বের হইছি। সাধারণত যখন বাড়িতে আসি তখন অনেক সকালে বের হয় ঢাকা থেকে। এই সকালে ঢাকা শহরটা নিস্তব্ধ নিরব থাকে সময়টা আমার বেশ ভালো লাগে। সকাল সাড়ে চারটার সময় ঘুম থেকে উঠে পাঁচটা দশ মিনিটে বাসা থেকে বাইক নিয়ে আমি এবং আমার বন্ধু অংকন রওনা করে আপন নীড়ে উদ্দেশ্যে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
সকালের ঠান্ডা আবহাওয়া সাথে ব্যস্ততম শহর ছেড়ে নিজের আপন গৃহের দিকে পদাচারণা এক অসম্ভব সুন্দর অনুভূতি কাজ করছিল। ঢাকার ব্যস্ততম শহর পার হয়ে যখন ভিতরের একটি রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করলাম, সাধারণত আমি যখন ঢাকা থেকে বাড়িতে আসি সরাসরি হাইওয়েতে না এসে হেমায়েতপুর থেকে ভিতর দিয়ে একটা বাইপাস সড়ক হয়ে মানিকগঞ্জ শহরে উঠি। এ রাস্তাটা বেশ সকালে নিরিবিলি থাকে আর মাঝেমধ্যে কুয়াশার দেখাও পাওয়া যায়। যেহেতু আমরা অনেক সকালে বের হয়েছিলাম কিছুটা শীত লাগছিল কিন্তু আশানুরূপ কুয়াশার দেখা পায়নি। সূর্য উঠার আগে আগেই আমরা মানিকগঞ্জ শহরে এসে পৌঁছায়।মানিকগঞ্জ শহর থেকে এখনো পাটুরিয়া ঘাটে যেতে 40 মিনিট সময় লাগবে। সকালের ফাঁকা রাস্তায় ঠান্ডা আবহাওয়া সাথে গাড়ি স্পিড মোটামুটি বেশ ভালোই ছিল। আমরা যখন ফেরি ঘাটে চলে আসি তখন সূর্য উদিত হচ্ছিল।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমরা ফেরিতে বাইক তুলে ফেরে একদম উপরে চলে যায়। এখান থেকে বেশি সুন্দর প্রকৃতি উপভোগ করা যায় সাথে নদীর সৌন্দর্য। যখন উপরে গেলাম তখন দেখি সূর্য গাছের আড়াল থেকে উকি দিচ্ছে আর পূর্ব আকাশটা বেশ দারুন লাগছে। মাঝেমধ্যে পাখির কলরব শব্দ শোনা যাচ্ছে। ফেরি ছাড়তে ২০ মিনিট লেট করেছিল কারণ ফেরি গাড়ি দ্বারা এখনো পরিপূর্ণ হয়েছিল না।
ফেরি ছাড়ার পর নদী পার হতে ৩০ মিনিট মতো সময় লাগে। এই সময়টা উপর থেকে প্রকৃতির বাতাস এবং নদীর সৌন্দর্যের দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। যখন আমরা নদী পার হয়ে যাব তখন বেশ পাখি উড়ে বেড়াচ্ছিলো ওই সময়টাতে আমি কিছু ফটোগ্রাফি করি। তারপর ফেরি যখন ঘাটে বেড়ায় তখন আমরা নেমে আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি। এখান থেকেও বাড়ি যেতে এক ঘন্টা ত্রিশ মিনিট মতো সময় লাগবে। আমাদের একটু দ্রুত যেতে হবে কারণ বাড়িতে যাওয়ার সাথে সাথে একটি স্পেশাল প্রোগ্রামের আয়োজন করা আছে আমার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে। তাই মোটামুটি বেশ দ্রুতই বাড়ির চলে আসি কারণ রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল। গাড়ির চাপ খুব কম ছিল সকালে। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থতার সাথে আমি বাড়িতে পৌঁছাতে সক্ষম হই। আজকে পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে গ্রামের সৌন্দর্য অথবা কোন সুন্দর মুহূর্ত নিয়ে