বান্দরবানের পথে পথে পর্ব -০১।
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- বান্দরবান ভ্রমন
- ২৯,জানুয়ারি ,২০২৩
- সোমবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এই তো কিছুদিন হল বান্দরবান ভ্রমণ শেষ করে বাসায় ফিরেছি। বান্দরবান ভ্রমণের দিনগুলো অসম্ভব সুন্দর ছিল। আপনাদের মাঝে ধীরে ধীরে ভ্রমণের সকল পর্বই শেয়ার করবো। আমরা একসাথে ছিলাম নয় জন সারারাত ট্রেন জার্নি শেষ করার পর চট্টগ্রাম থেকে আবার বাসে করে বান্দরবান শহরে আসতে । আমাদের বান্দরবান আসতে আসতে দশটা বেজে যায়। যেহেতু বেশ ক্লান্ত ছিলাম তাই আমাদের প্রথম কাজ হবে আমাদের বিশ্রাম গ্রহণের জন্য একটি রুম ঠিক করা।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
বাস টার্মিনালে নেমেই একটু বান্দরবান শহরের দিকে আগালেই বাম পাশে বড় বড় দুটি হোটেল পাওয়া যায় একটার নাম হোটেল হিল ভিউ আরেকটু সামনে আগাতেই আরেকটি হোটেলের দেখা মেলে সেটার নাম হিলটন। এর আগে যখন বান্দরবান এসেছিলাম তখন এই হোটেলেই ছিলাম। তাই এবার এসেও প্রথমে এখানেই প্রবেশ করি তারপর একটি রুমের জন্য তাদের সাথে কথা বলতে থাকি। আমরা যেহেতু নয় জন গিয়েছিলাম বড় একটি রুম লাগবে। বেশ দামাদামি করার পর একটি রুম পেলাম আমরা তবে গতবারের থেকে এবার ৫০০ টাকা বেশি লেগেছে। তারপর আমরা দ্রুত রুমে চলে যাই এবং যার যার মত দ্রুত ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় বিশ্রাম গ্রহণ করি।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমাদের এখনো সকালের নাস্তা করা হয়নি অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছি পেটে বেশ ক্ষুধা। ফ্রেশ হয়ে খাবার উদ্দেশ্যে বের হয়। আমরা যেখানে ছিলাম তার আশেপাশে তেমন খাওয়ার কোন হোটেল নেই। আর আমরা ভেবেছিলাম সকালে ভাত খাব অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও কোথাও ভাত পায়নি। আমরা হাঁটতে হাঁটতে শহরের মধ্যে প্রবেশ করে যাচ্ছি সেখানে হঠাৎ একটি হোটেলের দেখা মেলে সেখানে গিয়েই তান্দুরি রুটি আর সবজি খেয়েছি। তবে সবজিটা সুস্বাদু ছিলনা। তারপর আমরা আবার রুমে চলে আসি এবং বেশ কিছু সময় বিশ্রাম গ্রহণ করি ।আর আজকে যেহেতু শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে হবে সেজন্য গোসল করে সবাই প্রস্তুতি গ্রহণ করি।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমরা সাড়ে বারোটার দিকে রুম থেকে বের হয়ে প্রথমে দুপুরের খাবার খেতে হবে সেজন্য পাশে একটি রেস্টুরেন্টে দেখা মেলে সেখানে প্রবেশ করি। রেস্টুরেন্টের নাম কলাপাতা এখন আমাদের দেখার পালা খাবারের কেমন টেস্ট। তবে খাবার খেয়ে আমরা হতাশ হইনি মোটামুটি ভালো টেস্টি ছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটি মসজিদ ছিল ওখানে গিয়ে সালাত আদায় করি। আমাদের প্রথম দিনে ঘোরাঘুরির প্ল্যান ছিল দেবতাখুম যাব কিন্তু তখনো রোয়াংছড়ি উপজেলার পর্যটন স্পটগুলো উন্মুক্ত করে দেয়নি।তাই আমরা গ্রহণ করি শহরে আশেপাশে যে স্পট গুলো আছে সেগুলো দেখব। তারপর আমরা একটি চাঁদের গাড়ি ভাড়া করি আশেপাশে ঘোরাঘুরির জন্য। আজ এই পর্যন্তই ঘোরাঘুরি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব পরবর্তী কোন পড়বে সে পর্যন্ত সাথেই থাকুন।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।
ভাই ভ্রামন কাহিনী শুনতে অনেক ভালো লাগে ৷কারন অনেক বিষয় জানা যায় ফটোগ্রাফি গুলো দেখা যায় ৷ যা হোক কদিন ধরে সমুন ভাইও বান্দরন ঘুরতে যাওয়ার কয়েকটা পর্ব শেয়ার করেছিলো ৷
আর আজকে দেখি আপনার পর্ব আশা করা অনেক কিছু দেখতে পাবো ৷
সকাল বেলা তান্দুরি রুটি আবার কলাপাতা রেস্টুরেন্ট ৷ যা হোক বান্দরন ভ্রমনের অনেক কিছু জানতে পারবো আশা করি ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
আমারও ভ্রমণ করতে এবং ভ্রমণ কাহিনী গুলো পড়তেও বেশ ভালো লাগে। বান্দরবানের পরবর্তী পর্বগুলো বেশ আকর্ষণীয় হবে আশা করি। ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য
ওয়াও বন্ধু বান্দরবান ভ্রমণের পোস্ট শুরু করে দিয়েছে দেখে বেশ ভালো লাগলো। বান্দরবানে কাটানোর সময় সত্যিই জীবনের স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
কি করবো বলো পোস্টটা শুরু করতে হবে। এখনো সিলেট ভ্রমণ পর্ব চলছে দুইটা মিলিয়ে দিবো ভাবছি
বান্দরবান পৌঁছানোর পর হোটেল বুকিং করার জন্য ভালই সময় ব্যয় হয়েছিল ।যাইহোক, অবশেষে গত ট্যুরে যে হোটেলে ছিলাম ভাগ্যে সেই হোটেলে ই জুটিয়েছিল। রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে শান্তির একটা মুহূর্ত পার করলাম। তার পাশাপাশি সেখানকার বাজারে গিয়ে ভালো লেগেছিল।
লম্বা একটা জার্নি শেষে একটু বিশ্রাম নিতে পারলে বেশ ভালই লাগে। আবার হবে ট্যুর কোন একদিন
হ্যাঁ দুপুরের খাবারের জন্য কলাপাতা রেস্টুরেন্ট এর খাবার গুলো মোটামুটি এভারেস্ট টাইপের ছিল। তবে বান্দরবান শহরের সৌন্দর্যটা বেশ ভালো লেগেছে কারণ চারিপাশের পাহাড়ের দৃশ্যটা সৌন্দর্য ভিন্নভাবে ফুটিয়ে তুলে।
এই অঞ্চলের খাবারগুলো আমাদের মন মত পাবো না তবে কলাপাতা রেস্টুরেন্টের টা মোটামুটি ভালো ছিল।
আপনারা বেশ নয়জন বন্ধু বান্দরবান ঘোরাঘুরি করেছেন, দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনারা চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনের মাধ্যমেই বান্দরবান চলে আসেন, এরপর আপনারা একটি হোটেলে উঠে রেস্ট করেন। এরপর আপনারা জুম্মার নামাজ শেষ করে বান্দরবান শহরের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে বের হন। আসলে প্রথম দিন আপনারা বান্দরবান শহরের মধ্যে খুবই সুন্দর একটি সময় অতিক্রম করেছেন।
জি প্রথম দিন বেশ ভালই ঘুরাঘুরি করেছি পরবর্তী পর্বগুলোতে সেটাও শেয়ার করব।