বাইক ট্যুর ||মুজিবনগর মেহেরপুর ||১০% লাজুক

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম।

আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

  • মুজিবনগর
  • ০৬, আগস্ট ,২০২৩
  • শনিবার

IMG_0556-01-01.jpeg


ভ্রমণ আত্মার খোরাক মেটায় তাই আমাদের সময় পেলেই ঘুরতে যাওয়া প্রয়োজন। কারো মন যদি ক্লান্ত হয়ে যায় ব্যস্ত শহরে থাকতে থাকতে তার জন্য ঘুরতে যাওয়া হওয়ার প্রয়োজন এতে আত্মাতৃপ্তি মিলবে এবং মনটা অনেক হালকা হবে। মনের কষ্ট দূর করতেও ভ্রমণের গুরুত্ব পরে সে ধরুন আপনি কাজের চাপে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছেন আশেপাশের কোন কিছুই আপনার ভালো লাগছে না তখনই প্লান করে ভ্রমনে চলে যাওয়া জরুরী মনে করি আমি। অনেক বেশি পছন্দ করি আর ঘোরাঘুরিটা যদি হয় বাইক নিয়ে তাহলে এটা আমার সবথেকে প্রিয় একটি ভ্রমণ। বাইক নিয়ে ভ্রমণ করলে রাস্তার মাঝে কোন সুন্দরতম স্থান দেখতে পেলেই সেখানে দাঁড়িয়ে সে জায়গাটির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় মন ভরে। মনের মাঝে আত্মাতৃপ্তি খুঁজে পাই। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ভ্রমণের গল্প শেয়ার করা যাক। আমরা তিন ভাইকে ভাই ব্রাদার বন্ধু মিলে ছয় জন হুটহাট প্লান করে ভ্রমণ শুরু করে দিই। ভ্রমণের প্ল্যানগুলো হঠাৎ করে ফেলি। আমরা সকাল সাতটার দিকে তিনটা বাইক নিয়ে বের হয়ে যায় আমাদের প্ল্যান ছিল ঝিনাইদহ জেলা চুয়াডাঙ্গা জেলা মেহেরপুর জেলা হয়ে মুজিবনগর ঘোরাফেরা করে আবার বাসায় ফিরে আসা। একদিনে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার এর বেশি বাইক রাইট হবে। তিনটা বাইক নিয়ে যাত্রা শুরু করি আমাদের এলাকা থেকে কুষ্টিয়ার শহরের যাইতে ৪০ মিনিট সময় লাগে আমরা যেহেতু অনেক সকালে বের হয়েছিলাম কেউই বাসা থেকে নাস্তা করিনি আমরা কুষ্টিয়া শহরে গিয়ে নাস্তা টা সেরে ঝিনাইদহ জেলার উদ্দেশ্যে রওনা করি। আমরা প্রথমে যাব চুয়াডাঙ্গাতে ওখানে একটি বন্ধু আছে তার সাথে দেখা করব এবং তার বাসায় দুপুরের খাবার খাওয়ার প্ল্যান করেছি। চুয়াডাঙ্গা প্রবেশ করলাম ঝিনাইদহ জেলা মধ্য দিয়ে। ঝিনাইদহ জেলাতে এর আগেও গিয়েছি রাস্তাগুলো বেশ ভালো। আমরা ঝিনাইদহ জেলাতে গিয়ে মেইন পয়েন্টে একটি বিরতি দিই সেখানে আমরা চা পান করি এবং বেশ কিছু সময় বিশ্রাম গ্রহণ করি। তারপর আমার চুয়াডাঙ্গাতে যায় এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে দুপুরের পরপরই বের হয়ে যায় মুজিবনগর এর উদ্দেশ্যে। চুয়াডাঙ্গা যে স্থানে গিয়েছিলাম ওখান থেকে মুজিবনগর অনেক কাছে। আমরা মুজিবনগর গেট দিয়ে ঢুকতেই দেখা মেলে বিশাল আমবাগান ওখান থেকে লেবু শরবত পান করি কারণ রোদের মধ্যে এসে বেশ ক্লান্ত ছিলাম যা ক্লান্তিকে দূর করে দিয়েছিল।


IMG20230529152350-01.jpeg

IMG_0564-01.jpeg

IMG_0563-01.jpeg


Device : Realme 7
What's 3 Word Location :

তারপর পাশেই দেখি মুজিবনগরে বাংলাদেশের স্মরণে অনেক বড় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে রেখেছে। সেখানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইতিহাস বিশেষ করে যুদ্ধের সময়ের ইতিহাস গুলো স্থাপন করে রেখেছে। বেশ কিছু সময় এখানে ঘুরাঘুরি করি। তারপর বাংলাদেশে শেষ প্রান্ত মুজিবনগর বর্ডার ওইখানে চলে যায় গিয়ে দেখি বাঁশের বেড়াতে আটকানো কিন্তু আমাদের সাথে এক ভাই ছিল তার বাবা বিজিবিতে জব করে তার দৌলতে আমরা ওই বাউন্ডারি পার হয়ে ভারতের কিছু অঞ্চলে গিয়েছিলাম।


IMG20230529145727-01.jpeg

IMG20230529150145-01-01.jpeg


Device : Realme 7
What's 3 Word Location :

যেখানে তারকাঁটাতারের বেড়া ছিল না এটা বাংলাদেশের লোকজনের দেখভাল করে। আমরা সেখানে গিয়ে কিছু সময় হাটাহাটি করেছিলাম এটা একটি বাগান যা ভারতের কিন্তু বাংলাদেশের লোকজন দেখভাল করে। বেশ কিছু সময় আড্ডা দেই তারপর যেহেতু আমাদের আবার বাড়ি ফিরতে হবে তাই ওখান থেকে রওনা করি।আজকে এই পর্যন্ত সামনে বড় কোন ট্যুরের গল্প আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব ইনশাআল্লাহ।

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 last year 

এই দিনে যেমন গরম তেমন মুহূর্ত ছিল। আসলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গিয়ে দারুন সময় পার করেছিলাম ।এরকম সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে পেরে সত্যিই অনেক আনন্দিত ছিলাম। আমরা আবার যাব একসাথে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করব।

 last year 

এই দিনে খুবই মজা করেছিলাম কিন্তু সব থেকে দুঃখের বিষয় হলো খুবই গরম ছিল। হাজার গরম থাকার পরেও মুজিব নগরে যখন পৌছালাম নিমিষেই তখন মনটা ভালো হয়ে গেল। সবমিলিয়ে দারুন ছিল।

 last year 

ভ্রমণ হলো খাদ্যের মতো মানুষ এর পেটের খিদা লাগলে মানুষ যেমন খাবার খাই তেমনি মনের খিদা লাগলে ভ্রমন দরকার ভ্রমন ই পারে মনের খিদা মিটাতে।দারুন সময় উপভোগ করেছেন সুন্দর ফটোগ্রাফি ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ভাই বাইক নিয়ে আপনারা মেহেরপুরের মুজিবনগর দেখতে এসেছিলেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আমিও কিছুদিন আগে মুজিবনগর বেড়াতে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশের সীমান্তের ওই পাশে একটা মাচাল রয়েছে সেখানে একজন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বসে থাকতো আসলে আমিও তার ছবি তুলতে গিয়েছিলাম কিন্তু নিষেধ করেছিল ভাই। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

দীর্ঘ জার্নি করে আমাদের মেহেরপুর মজিদনগরে আপনি পৌঁছেছেন এবং সেখান থেকে বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন মোবাইল ফোনে, আর তা আমাদের মাঝে তুলে ধরে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আপনার এই সুন্দর জার্নি হয়তো, অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি আপনার মাধ্যমে অনেকেই অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবে। যেহেতু এটা আমাদের নিকটস্থ স্থান তাই পূর্ব থেকে অনেক কিছু আমাদের দেখাশোনা রয়েছে তবুও বলবো অনেক ভালো হয়েছে আপনার আজকের পোস্ট এর বর্ণনা।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 58544.56
ETH 2629.02
USDT 1.00
SBD 2.44