বাইক ট্যুর ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি।
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ -৯ই, আশ্বিন ,|১৪২৯ বঙ্গাব্দ||শনিবার ||শরৎকাল||
অনেকদিন বাসায় বসে থাকতে থাকতে মনটা মরা হয়ে গিয়েছিল তাই ভাবলাম ছোট একটি ভ্রমণ দেওয়া দরকার। কারণ ভ্রমনে গেলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখলে আত্মাতৃপ্তি পাওয়া যায় মন ভালো রাখার একমাত্র ওষুধ আমি মনে করি। ভ্রমণের পরিকল্পনাটা করা ঢাকাতে ছিলাম ওইখানে আমার বন্ধু গিয়েছিল আরেকটি বড় ভাই ভাবলাম প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পাহাড়ের দেশে যাব লাল পাহাড়ের দেশে। যেই প্লান সেই কাজ শুরু আমরা দুইটা বাইকে তিনজন বের হয়ে পড়লাম রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে। আমরা সকাল পাঁচটা ত্রিশ মিনিটে ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে বের হই যত দ্রুত ঢাকা থেকে বের হতে পারবো আমার তত সময় কম লাগবে। সে জন্যই সকালে বের হওয়া কারণ একটু বেলা হলেই ঢাকাতে জ্যামের মধ্যে পড়তে হবে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
তাই আমরা খুব ভোরে ঢাকা ত্যাগ করা সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং বেরিয়ে পরি। তখনো ঢাকা শহরটা পুরা নিস্তব্ধ চারদিকে সবাই ঘুমাচ্ছে আমরা বেরিয়ে পড়েছি রাঙামাটির উদ্দেশ্যে আমরা হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে ঢাকা শহর পার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। হানিফ ফ্লাইওভারের উপরে উঠি তখন হাতটা আলো দেখা মেলে দূর থেকে বোঝা যাচ্ছে সূর্য এই উঁকি ঢাকা শহর ব্যস্ত হওয়ার আগেই বেরিয়ে পড়ি। বেশ পথ ভ্রমণের পর সূর্য উঠে গিয়েছিল তখন ভাবলাম একটি ছোট ব্রেক নেওয়া প্রয়োজন। কারণ লং জার্নিতে একটু বিশ্রাম না নিলে বাইক ড্রাইভে বেশ ঝামেলা হয়।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমরা ছোট একটি চায়ের বিরতি দেই। কিছু সময় বিশ্রাম করার পর আবারো জার্নি শুরু করি। ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার এর বেশি। তাই আমাদের খুব সাবধানতার সাথে বিশ্রাম নিয়ে পথ অতিক্রম করতে হবে। আমরা পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামে গিয়ে দুপুরের খাবার খাই এবং অনেক সময় বিশ্রাম গ্রহণ করি। কারণ এরপরে রাঙামাটির রাস্তাটা পাহাড়ি রাস্তা এর আগে কখনো আমি পাহাড়ি রাস্তায় বাইক ড্রাইভ করিনি এটা আমার প্রথম। তাই অনেক উত্তেজিত ছিলাম যে কখন পাহাড় এই রাস্তা পাব।রাঙ্গামাটি যাওয়া হয়েছে তখন স্বপ্ন ছিল এই রাস্তা দিয়ে আমি বাইক ড্রাইভ করবো। পাহাড়ি রাস্তায় বাইক ড্রাইভ করা আমার একটি স্বপ্ন সেটা এবার পূরণ করলাম।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
যখন পাহাড়ি রাস্তায় প্রথম উঠলাম তখন মন আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠলো কারণ এটা আমার স্বপ্ন স্বপ্নের রাস্তা দিয়ে বাইক ড্রাইভ করতে অনেক মজা লাগছিল। আমরা রাঙ্গামাটির শহর পাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে একটি বড় পাহাড়ের দেখা মেলে এই পাহাড়টির নাম ফুরোমন পাহাড়।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
এটি রাঙামাটির সবচেয়ে বড় পাহাড় আমরা এর কাছে যেতেই পাশে একটি স্থান ছিল সেখানে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের ছবি উঠায় এর পাহাড়টা বেশ উঁচু চোখে দেখে বোঝা যায় না। কিন্তু পাহাড়ে উঠতে গেলে বোঝা যায় এটির উচ্চতা কত। পরবর্তী পর্বে ইনশাআল্লাহ এই পাহাড় নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি পৌঁছাতে বাইক নিয়ে সাত ঘন্টা সময় লেগে যায়। বেশ ক্লান্ত ছিলাম তবে পাহাড়ি রাস্তায় যখন বাইক রাইড করছিলাম তখন পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে সব ক্লান্ত দূর হয়ে যায় আমরা দুপুর 2 টার দিকে রুমে গিয়ে বিশ্রাম গ্রহণ করি। চেষ্টা করব রাঙামাটির বিভিন্ন স্থান নিয়ে আলোচনা করার ধন্যবাদ।
বাইকে ঢাকা থেকে রাঙামাটি অনেকটা পথের যাএা। বেশ চমৎকার ছিল ভাই আপনাদের ভ্রমণটা। নিজের মনকে প্রশান্তি দিতে এইরকম ভ্রমণ ঘোরাঘুরির দরকার আছে। পাহাড়ের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
বাইক ট্যুরে রাংগামাটি গিয়েছেন দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনার ঘুরার আগ্রহ অনেক। বাইক ট্যুর রিস্কি হলেও বেপারটা আমার কাছে খুব থ্রিলিং মনে হয়। আপনার প্রত্যেকটি ছবি অসাধারন হয়েছে। বিশেষ করে আকাশ আর পাহাড়ের কম্বাইন্ড ছবি চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর কিছু ছবির মাধ্যমে আপনার রাংগামাটি ভ্রমন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।