সুনামগঞ্জের বিকেল মিনি কক্সবাজার||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- মিনি কক্সবাজার
- ০১, সেপ্টেম্বর ,২০২৩
- শুক্রবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সামনে আবারো হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গত পোস্টে শেয়ার করেছিলাম আমার ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব। সুনামগঞ্জ বাসায় এসে পৌঁছে ছিলাম দুপুরের দিকে। এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে কিছু সময় বেডে শুয়ে একটু ঘুমিয়ে নেই কারণ দীর্ঘ জার্নিতে শরীরটা বেশ ক্লান্ত ছিল। তারপর বিকেল পাঁচটার দিকে আশেপাশেই ঘোরার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি এবং পাশেই একটি জায়গা আছে সেটা এখানকার স্থানীয় লোকের ভাষায় মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত। তাই আমিও ভাবলাম মিনি কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসা যাক দেখা যাক কেমন লাগে। তাই আমরা দুইটা বাইক নিয়ে চারজন মানুষ মিনি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা করি। রাস্তাটা বেশ সুন্দর ছিল দুই পাশে গাছ তার মাঝে সবুজ শ্যামলের ঘেরা রাস্তা রাস্তাতে হাওরের ভিতরে গিয়ে পৌঁছিয়েছে।
রাস্তার কিছু অংশ হাওরের পানিতে ডুবে গিয়েছে তাই রাস্তার শেষ প্রান্ত দেখা যাচ্ছে না। আমরাও বাইক নিয়ে পানির ভিতরে চলে গেলাম পানির ভিতর বাইক চালাইতে বেশ মজা লাগে। এই বিকাল রাতে বেশ বাতাস ছিল ঠান্ডা শীতল আবহাওয়া সারাদিনের ক্লান্ত এক নিমিষেই দূর করে দিচ্ছে। আমাদের সাথে আরো দুইটা পিচ্চি গিয়েছিল তাদের অনেক ছবি তুলি এবং তার নিয়ে পানির ভিতর হাটাহাটি করি বেশ মজা লাগছিল। আর এই সুযোগে আমার বাইকটা আসতে বেশ ময়লা হয়ে গিয়েছিল বাইকটাও ধৌত করে নেই। হাওরের ঠান্ডা পানিতে পা ভিজিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে করতে আশেপাশের প্রকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম।
কারণ হাওরের মাঝে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে অনেক জেলেরা মাছ ধরছে যা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। প্রথম দিনের ক্লান্ত তোমার শরীরের ক্লান্তি দূর করতে মিনি কক্সবাজার অসম্ভব ভাবে কাজে দিয়েছে যা এক নিমিষে সারাদিনের বাইক রাইডের কষ্টটা ভুলে গিয়েছে। আসলে পড়ন্ত বিকেলে এমন হাওরের মাঝে শীতল হাওয়ায় মনটাকে ভাসিয়ে দিতে কার না ভালো লাগে বলুন। আজকে এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে অন্য কোন জায়গায় ভ্রমণের গল্প নিয়ে।
মিনি কক্সবাজারে নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশ চমৎকার ভাবে উপভোগ করেছেন। আসলে এমন পরিবেশে ঘুরতে গেলে খুবই ভালো লাগে। নদীর বুকে নৌকা বয়ে যাওয়ার দৃশ্য সত্যি বেশ অসাধারণ। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
শুনেছি মিনি কক্সবাজার সম্পর্কে কিন্তু কখনো দেখা হয়নি, ছবিতে তো বেশ ভালই লাগছে, যদি কখনো সময় সুযোগ হয় চেষ্টা করব যাওয়ার এই চমৎকার সুন্দর পরিবেশের সাথে কিছুটা সময় উপভোগ করার।
আমি কখনোই মিনি কক্সবাজার যায়নি৷ তবে মিনি কক্সবাজার যাবার আশা রয়েছে৷ একই সাথে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতেও আমি যাওয়ার চেষ্টা করব৷ আর আজকে আপনি এই মিনি কক্সবাজারের কিছু চমৎকার দৃশ্য এখানে প্রকাশ করেছেন৷ এরকম সুন্দর একটি দৃশ্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আসলে জায়গাটার সৌন্দর্য দেখে আমি প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হচ্ছি। বিশেষ করে রাস্তার উপরে পানি উঠে গিয়েছে আর সেখানে বাইক রাখা আবার বাইক চালানো হয়েছে এ বিষয়টা বেশ মজার লেগেছে।
আপনি দারুন একটি জায়গা ভ্রমণ করেছেন চারিদিকে সৌন্দর্যের লীলাভূমি।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ইচ্ছে করছে এখনই ছুটে চলে যাই এমন সুন্দর জায়গা নিজ চোখে দর্শন করার জন্য।
ফটোগ্রাফি গুলা অসাধারণ।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো ভালো জায়গা ভ্রমন করেন আর আমাদের সাথে শেয়ার করেন ঘুরে দেখতে না পারলেও আপনার পোষ্টের মাধ্যমে কিছুটা পুষিয়ে নিব।
যদিও পানির মাঝখানে রিক্সা দেখে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম প্রথমে কিন্তু পরে জানতে পারলাম যে পানির মধ্যে রাস্তা ডুবে গিয়েছে। এ মিনি কক্সবাজারটা যেন সত্যিকারের কক্সবাজারের মতোই সুন্দর লাগছে। অনেক ভালো কিছু সময় আপনারা এখানে অতিবাহিত করেছেন ভাইয়া।