বন্ধুর জন্য বাইক দেখতে যাওয়া।
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- বাইক দেখা।
- ১৮,ফেব্রুয়ারি ,২০২৪
- রবিবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বাইক প্রতিটা ছেলের স্বপ্ন প্রতিটা ছেলের ইমোশন। বিশেষ করে যারা বাইক নিয়ে ঘুরাঘুরি করে তাদের বাইকের প্রতি আকর্ষণটা বেশি আর যে বাইক ড্রাইভে করতে পারেনা তার কথা বাদ। আমরা যারা ইয়াং জেনারেশন আছে তারা প্রায় সবাই বাইকের প্রতি অগাধ ভালোবাসা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এই বাইক কেনার স্বপ্ন কারোর পূরণ হয় আবার কারোর স্বপ্নই থেকে যায়। আবার কেউবা পূরণ করে বাপের টাকায় আবার কেউ কেউ নিজে অর্থ উপার্জন করে বাইক ক্রয় করে। তবে নিচের টাকায় বাইক করাই করার মধ্যে আলাদা একটি তৃপ্তি পাওয়া যায় সেই বাইকের উপর ভালোবাসা টাও বেশি থাকে।
আমি সেই ছোটবেলা থেকেই বাইক ড্রাইভ করতে পারি যখন আমার বয়স ১২ বছর সেজন্য ছোটবেলা থেকেই বাইকের প্রতি প্রেমটা একটু বেশি। আমার সেই ছোট্টবেলার বন্ধু যার সাথে হাই স্কুলে পড়েছি আমাদের বাড়ির পাশেই বাড়ি। সে ঢাকা নারায়ণগঞ্জে থাকে তার আগেও বাইক ছিল তার ব্যবসার কাজে সে বাইকটা বিক্রি করে দিয়েছিল। বিশেষ করে যারা একবার বাইক চালানো শুরু করে তারা বাইক ছাড়া থাকতে পারে না। তাইতো তার আরেকটি বাইকের প্রয়োজন। এখন তো ফেসবুকে ঢুকলেই বিভিন্ন শোরুমে বাইকের কালেকশন গুলো দেখা যায়। অবশ্য ফেসবুক থেকেই বাইক টা দেখে প্রেমে পড়ে গিয়েছে। যে বাইকটা দেখেছে সেটা হল সুজুকি এস এফ ২০২২ সালের মডেল। এই বাইকটা ডিজাইন আমারও অনেক ভালো লাগে কিন্তু আমার সাধ্য নেই।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
কালকে রাতেই আমাকে বলছে সে নাকি মোটরসাইকেলটি দেখতে আসবে সাথে আমাকেও যেতে হবে। তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগেই দেখি সে ফোন দিছে নারায়ণগঞ্জ থেকে মোহাম্মদপুর চলে এসেছে। আমি দ্রুত ফ্রেশ হয়ে তার সাথে দেখা করি এবং চলে যাই মিরপুর ৬০ ফিটে। বিশেষ করে পুরাতন বাইকগুলো মিরপুর ৬০ ফিটে বেশি পাওয়া যায় অনেকগুলা শোরুম আছে। তবে একটা বিষয় ওইখানকার দোকানপাট খুলতে একটু দেরি হয় মোটামুটি বারোটার দিকে গেলে সব দোকান খোলা পাওয়া যায়। আমরা তো তার আগেই চলে গিয়েছিলাম তাই আমাদেরকে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে আমরা সকালের নাস্তাটা সেরে নেই কারণ সকালে না খেয়েই চলে গিয়েছিলাম। আমরা শোরুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছি তাদেরকে ফোন দেওয়া হয়েছে বলল আসতেছি । সাড়ে এগারোটার মধ্যে চলে আসলো তার শোরুমে অনেক বাইকের কালেকশন। আমরা দেখেছি সুজুকি এস এফ এর কালো গাড়িটা প্রথমেই গাড়িটা ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা দেখলাম।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
তারপর গাড়িটা চলেছে সাত হাজার কিলো এবং দুই বছরের কাগজ করা মোটামুটি ভালো কন্ডিশনায় আছে। তবে ঢাকা থেকে গাড়ি কেনার আরেকটি সমস্যা হলো এদের মিটার কমানো থাকে তাই গাড়ির বিভিন্ন জিনিস দেখে বুঝতে হবে আসলেই বেশি চলেছে কিনা। যেমন গাড়ির ডিক্স এটা দেখতে হবে বেশি ক্ষয় হয়ে গিয়েছে কিনা। তারপর গাড়ি র দুই চাকার টায়ারের দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে ।আপনি যদি নিয়মিত বাইক রাইড করেন তাহলে দেখলেই বুঝতে পারবেন কত কিলোমিটার চলেছে। তবে আমার মনে হল এই গাড়িটি ৭০০০ কিলো লেখা থাকলেও এর থেকে ২-৩ হাজার কিলো বেশি চলেছে।
আমার বন্ধু আকরামের আর একজন বড় ভাই মিরপুর 14 থেকে আসছে ।আমরা তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম সে চলে আসার পর আমরা গাড়ি বিষয়ে আলোচনা শুরু করি। গাড়িটা তারও বেশ পছন্দ হয়েছে আসলে পছন্দ হওয়ার মতই গাড়ি। আমরা অনেক সময় গাড়িটা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করি যেহেতু গাড়ি দেখার উদ্দেশ্যে এসেছিলাম আর পছন্দ হয়ে গেলে কিছু টাকা এডভান্স করে যাব। আর সময় নিব যে এতদিনের মধ্যে ফুল টাকা পেমেন্ট করে গাড়িটা নিয়ে যাব।
কিন্তু এই গাড়ির চাহিদা অনেক বেশি থাকায় তারা আমাদেরকে এক মাসের সময় দিবে না। তাই আমরা শোরুমের যে মালিক তাকে বলি আজকের মধ্যে জানাবো যে কত টাকা এডভান্স করতে পারবো। যেহেতু গাড়ির দাম ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মোটামুটি এক লাখ টাকা এডভান্স করলে আবার ১৫ দিনের সময় চাইলে তারা সময় দিবে। আমরা অবশেষে গাড়িটা রেখে চলে আসলাম দেখা যাক যদি নসিবে থাকে গাড়িটা কিনে নিয়ে আসবো ইনশাল্লাহ। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।
মূলত ঢাকার শহরের সবকিছুতেই দুর্নীতি হয়, মোটামুটি অভিজ্ঞতা থাকলে এই বিষয়টা ধরা যায় যে গাড়ি কত কিলোমিটার চলেছে। যেমন ডিক্স আর টায়ার দেখে ধারণা করতে পেরেছ আসলে গাড়িটা সাত হাজারেরও বেশি চলেছে। যাইহোক যেদিন গাড়ি নিয়ে নিবা সেদিনে কিন্তু পোস্ট শেয়ার করব আর নতুন গাড়ির সাথে ছবি তুলবা হা হা হা।
আসলে বন্ধু ঢাকার মধ্যে অনেক বেশি দুর্নীতি হয় তাই অনেক দেখেশুনে গাড়ি কিনতে হয়। মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ