স্মৃতিময় শহর এবং সুন্দরতম একটি দিন ।১০% লাজুক খ্যাকের জন্য
আজ --১২পৌষ| ১৪২৮ বঙ্গাব্দ |সোমবার| শীতকাল|
আজকে আপনাদের সামনে শেয়ার করব আমার অনেক ভালো লাগার একটি শহর সেখানে রয়েছে অনেক স্মৃতি হঠাৎ করে আজকে সেই শহরে পাড়ি জমাই। আজকে শহরের কিছু স্মৃতি এবং কিছু ঘুরাঘুরির সময় এবং সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। আজকে কথা হবে আমার প্রিয় শহর কুষ্টিয়া কে নিয়ে যেখানে চারটা বছর লেখাপড়া করেছি ডিপ্লোমা শেষ হয়েছে এখন কুষ্টিয়া তে থাকা হয়না তাই হঠাৎ করে আজকে কোন ধরণের প্ল্যান ছাড়াই কুষ্টিয়াতে চলে আসি এবং ভাবছি দু-তিনদিন থেকে যাব। আমি বাসা থেকে রওনা দেই দুপুর 2 টা 30 মিনিটের দিকে। ছোট্ট একটি আমার অনেক পছন্দের মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে আমার প্রিয় শহরটার উদ্দেশ্যে।
যাত্রা পথে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location : https://w3w.co/mushroom.scone.pulsating
আমাদের বাসা থেকে কুষ্টিয়া শহরে আসতে এক ঘণ্টা সময় লাগে। কুষ্টিয়াতে আসতে একটি ব্রিজ পার হতে হয় আমরা ব্রীজ পার হয়ে হাইওয়েতে না গিয়ে সাইডের রাস্তা ধরে কুষ্টিয়া শহরের উদ্দেশ্যে রওনা করি। রাস্তাটি উঠেছে লালন শাহ মাজার এর পাশ দিয়ে। তারপর আমরা এগোতে থাকি ভিতরের গলি দিয়ে। আমরা কুষ্টিয়ার মিলপাড়া মাঝ দিয়ে এগোতে থাকি।
মোহিনী মিল
Device : Realme 7
What's 3 Word Location : https://w3w.co/construing.gelled.kangaroos
হঠাৎ দেখা মেলে সে কুষ্টিয়ার অনেক পুরাতন মোহিনী মিল। আমরা মোহিনী মিল দেখার জন্য কিছুদূর এগিয়ে গেলাম কিন্তু মোহিনী প্রবেশপথ জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে রেখেছে তাই আমরা দূর থেকে দেখেই এবং কিছু ছবি তুলে চলে আসি। অনেক সময় মোটরসাইকেল ড্রাইভিং করার পর আমরা আমাদের রুমে এসে পৌঁছায়। সময় বিশ্রাম গ্রহণ করে বেরিয়ে পড়ে কুষ্টিয়া শহরটা ঘুরে দেখার জন্য অনেকদিন হলো এই শহরে ঘুরাঘুরি হয় না।
পার্সেল গ্রহন
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :https://w3w.co/citadel.shrill.incivility
কুরিয়ার সার্ভিসে আমার একটি পার্সেল এসেছিল তাই প্রথমেই কুরিয়ার সার্ভিসে যায় এবং পার্সেলটি গ্রহণ করি ।তারপর পাশেই কুষ্টিয়া মডেল মসজিদ হয়েছে সেখানে যায়। কুষ্টিয়া মডেল মসজিদের যখন কাজ হচ্ছিল তখন সেটা দেখতে গিয়েছিলাম আমরা তখন ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট এর আওতাধীন ছিলাম তাই অফিশিয়াল ভাবে আমরা সেই মসজিদ দেখতে গিয়েছিলাম।
মডেল মসজিদ
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :https://w3w.co/citadel.shrill.incivility
মসজিদ দেখা শেষ করে আমরা আমার ছোটকাকুর বাসায় চলে যায় এবং সেখানে গিয়ে অনেক সময় আড্ডা দেই অনেক খাবার খাই। তারপর রাত 9 টার দিকে আমরা আমাদের রুমের উদ্দেশ্যে রওনা করি।
রাতের খাবার কেনার আগে
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :https://w3w.co/citadel.shrill.incivility
রুমে ঢোকার আগেই রাতের খাবার কেনার জন্য একটি রেস্টুরেন্টে যাই এবং রাতের খাবার কিনে রুমে চলে আসি। তারপর মনে হলো অনেকদিন পর কুষ্টিয়াতে আসছে আর রাতে চা খাব না সেটা কি করে হয়।
চা
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :https://w3w.co/hideaways.stoat.nonworking
যখন কুষ্টিয়া তে থাকতাম তখন গভীর রাতেও চা খাওয়ার জন্য অনেক দূরে যাইতাম আর এখন তো সুযোগ পেয়েছি চা খাওয়ার তাই হাত ছাড়া করলাম না। তাই আমরা চলে গেলাম বিখ্যাত চায়ের দোকানে। আমার আবার চায়ের মধ্যে রং চা টা বেশি ভালো লাগে তাই রং চা অর্ডার করি এবং আরও 2 জন ছিল তাদের জন্য দুইটা দুধ চা।
আমরা চা শেষ করে তারপর হঠাৎ আরেকজন বলল দুধ চা এর সাথে রুটি পুরানো নাকি অনেক টেস্টি। দুধ চায়ের সাথে রুটি পুরানো আগেও খেয়েছি তাই ভাবলাম আর একবার টেস্ট করা যাক দেরি না করে অর্ডার করলাম। চা ওয়ালা মামা ঝটপট আমাদের মাঝে অর্ডারকৃত এবং রুটি পুরানো উপস্থাপন করলো। আমরা এগুলো শেষ করে বাসায় চলে আসি।
শীতের রাতের সৌন্দর্য দেখার জন্য বাসার ছাদে চলে যায় এবং চারিদিকে নিস্তব্ধ সৌন্দর্য উপভোগ করি। যেহেতু শীতের রাত ছিল আর মোটামুটি ভালই ঠান্ডা পড়ছিল তাই বেশি সময় না থেকে রুমে চলে আসি।
আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।
আপনি অনেক সুন্দর সময় পার করছেন।চা আর পোড়া রুটি দেখে খুব লোভ হচ্ছিল। শীতের সময় এক কাপ দুধ চা আর পোড়া রুটির মজা আমিও অনুভব করেছি আর তাই এখন আপনার পোস্ট দেখে সেই সময়ের স্মৃতি মিস করছি। সুন্দর সময় গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাদের চা খাওয়ার মুহূর্তটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। কুষ্টিয়াতে অনেকবারই গিয়েছি এবং শহর টা যে কত সুন্দর না দেখলে হয়তো কেউ বুঝতে পারবে না। আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং ঘোরাঘুরি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সব মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার মতামতের প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।
বাহ দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। স্মৃতি জড়িত এই শহরে নতুন করে সময় কাটাতে পেরে আপনি অনেক আনন্দিত সেটা আপনার পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। যাইহোক এখন যেহেতু শীতকাল আর এই শীতের রাতে চা-কফি যেটাই বলি না কেন খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনার কফি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। আর রুমে থাকতে পারলাম না যাই আমিও এক কাপ কফি খেয়ে আসি।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে