বান্দরবানের পথে পথে ||হাতিরটেক পাহাড় ভিউ পয়েন্ট।||
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- বান্দরবান ভ্রমন
- ১০,মার্চ ,২০২৩
- রবিবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এই তো কিছুদিন হল বান্দরবান ভ্রমণ শেষ করে বাসায় ফিরেছি। বান্দরবান ভ্রমণের দিনগুলো অসম্ভব সুন্দর ছিল। বান্দরবান ভ্রমণের গত পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম নীলগিরি উদ্দেশ্যে যাত্রার কিছু মুহূর্ত । পর্যায়ক্রমে আমি বান্দরবানের সৌন্দর্য আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম নীলগিরি উদ্দেশ্যে। তবে আমাদের আর নীলগিরি দেখা হয়ে ওঠেনা। কারণ আমরা যেহেতু ভিন্ন রাস্তা দিয়ে নীলগিরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলাম আর এ রাস্তা কিছুদূর এগোতেই দেখা মিললো রাস্তার কাজ চলছে। পাহাড়ি রাস্তার কাজ চললে অন্য দিক দিয়ে যাওয়া মুশকিল তাই আমরা আবার ফিরে চলে আসি। আমাদের প্ল্যান ছিল নীলগিরি দেখে থানচি প্রবেশ করব কিন্তু তা আর হয়ে উঠল না। তাই আমাদের এখন গন্তব্য ডিম পাহাড় হয়ে থানচি বাজার। এখন আমাদের থানচি যেতে হলে বান্দরবানের লামা উপজেলা এবং আলীকদম উপজেলা পার হয়ে থানচির দিকে এগোতে হবে। আলীকদম পার হওয়ার পরে একটি আর্মি চেকপোস্টের দেখা মেলে আমাদের সেখানে আবার সকল ইনফরমেশন জমা দিয়ে সামনের দিকে এগোতে হবে। একটি ফর্ম পূরণ করি তারপর আমাদের আইডি কার্ড সহ জমা দেই।
আলীকদম উপজেলার এই অংশটুকু অনেক সমতল অনেকদিন পর সমতল দেখা পেতে ভালো লাগতেছিল কখন আবার পাহাড়ের দেখা পাব সেই আশায় পথ চলা।পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তায় চাঁদের গাড়িতে ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তিন চার কিলোমিটার পথ চলার পর আবার সেই পাহাড়ের রাস্তার দেখা । চাঁদের গাড়ি মানেই পাহাড়ি রাস্তার সৌন্দর্য উপভোগ করার একটি অন্যতম মাধ্যম। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা পার হতে হতে হঠাৎ একটি ভিউ পয়েন্টের দেখা মেলে। আজ যেহেতু আমরা অনেকটা পথ চলে এসেছি একটু বিশ্রামের প্রয়োজন তাই ভিউ পয়েন্ট টা দেখেই চাঁদের গাড়িটা সাইড করে নেমে পড়ি। এই ভিউ পয়েন্টের নাম হাতিরটেক পাহাড় ভিউ পয়েন্ট।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
পাহাড়ের ভিউ দেখার জন্য দৌড়ে চলে যাই ভিউ পয়েন্ট। ওইখানে গিয়ে দেখি একটি বড় গাছ আছে তাই আমরা আবার বড় হয়েও পেরে খেয়েছিলাম তবে বরই মোটেও স্বাদ ছিল না। এখানে দাঁড়িয়ে সুবিশাল পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকলাম। দূরের পাহাড়গুলো যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে আমাদের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য । তবে মজার বিষয় হলো আমরা যেসব বড় বড় পাহাড় এখান থেকে দেখছি কিছু সময় পর আমরা ওই পাহাড়েই গাড়ি নিয়ে উঠবো। ডিম পাহাড়ের রাস্তাটা অনেক আঁকাবাঁকা।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমাদের কষ্টের সহ একটি আমরা এত উপরে উঠে ও মেঘের সন্ধান পায়নি। হয়তো আসতে আসতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল সেজন্য মেঘগুলো হারিয়ে গিয়েছে। তবে এখানকার প্রকৃতির সৌন্দর্য অপরূপ। পর্যটক এর তেমন ভিড় নেই নীরব প্রকৃত উপভোগ করতে হলে বান্দরবানের এসব এলাকাতেই আসতে হবে। অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবনে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। এই ভিউ পয়েন্টে পর্যটকদের বসে বসে আড্ডা দেওয়ার জন্য এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য একটি বসার জায়গা করে রেখেছে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমাদের যেহেতু যেতে হবে থানচি বাজারে তাই এখানে আমরা আর বেশি সময় না কাটিয়ে যাত্রা শুরু করে দেই। এখানকার পরিবেশটা অনেক ভালো ছিল চারিপাশের পাহাড়ের সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর । ছোট ছোট ও বড় বড় পাহাড়ের সমন্বয়ে এক অপরূপ সৌন্দর্য উপহার দিয়েছে আমাদেরকে। এমন প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখলে ভ্রমণের সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। আমাদের এখানকার সময় কাটানো শেষ হয়ে গিয়েছে এখন আমরা আবার চাঁদের গাড়িতে উঠে অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছি ডিম পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। ডিম পার হলো বাংলাদেশ সব থেকে উঁচু রাস্তা আমরা সে রাস্তা দিয়েই এখন যাব। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোনো ভ্রমণ পোস্টের ডিম পাহাড়ের গল্প নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।
ভাই কদিন ধরে আপনার ব্লগ গুলো পড়তেছি ৷ সত্যি বলতে অসাধারণ লাগছে ৷ বিশেষ করে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে না জানি স্বচক্ষে আর কত সুন্দর ৷ পাহাড়ি রাস্তা আঁকাবাকা রাস্তা সেই সাথে সবুজ ঘন বন পুরাই চিল ৷ যা হোক অনেক ভালো লাগলো হাতিরটেক পাহাড় ভিউ পয়েন্ট কাটানো মুহুর্ত আলোকচিত্র গুলো ৷ পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আশা করি ভালো কিছু দেখতে পাবো ৷
ধন্যবাদ ভাই শুভকামনা রইল অবিরাম ৷
পরবর্তী পর্বগুলোতে আরো সুন্দর সুন্দর কিছু কথা বলার চেষ্টা করব সে পর্যন্ত সাথেই থাকুন ধন্যবাদ
আসলে প্রকৃতি যে কতটা সুন্দর সেটা বান্দরবান না গেলে কেউ কখনো উপভোগ করতে পারবে না বান্দরবান বরাবরই অনেক বেশি সুন্দর এবং রোমাঞ্চকর। আসলেই সেদিন আমরা নীলগিরি উদ্দেশ্যে রওনা করলেও রাস্তায় কাজ চলার কারণে নীলগিরিতে যেতে পারিনি। যদিও মনে দুঃখ নেই কারণ আমরা আরো কিছু কিছু সুন্দর জায়গায় ঘুরাঘুরি করেছিলাম। হাতিরটেক পাহাড়ের ভিউ পয়েন্ট আসলেই অসাধারণ ছিল, ধন্যবাদ আমাদের মাঝে সুন্দর কিছু মুহূর্ত সেই সাথে প্রকৃতির ফটোগ্রাফি তুলে ধরার জন্য।
আসলে আমাদের কোন দুঃখ নেই কারন আমরা নীলগিরিতে গেলে ডিম পাহাড়ের রাস্তাটা পাড়ি দিতে পারতাম না। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বান্দরবানে এর পথে পথে খুবই সুন্দর দৃশ্য লুকিয়ে থাকে। আপনি আজ হাতির টেক ভিউ পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছেন। সময়টা খুবই সুন্দর ছিল। আর একটা কথা ঠিকই বলেছ বড়ই তেমন ভালো ছিল না। ডিম পাহাড়ের উপর দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম মেঘের মধ্যে দিয়ে চুল ভিজে গিয়েছিল। আসলেই টুরের কথা আমাদের সারা জীবন মনে থাকবে।
মনমুগ্ধকর পরিবেশ সাথে অ্যাডভেঞ্চার পূর্ণ রাস্তাটা আসলেই অনেক ভালো ছিল। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ