আজ আমার জন্মদিন
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- জন্মদিন
- ২৭,ফেব্রুয়ারি ,২০২৪
- মঙ্গলবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। টাইটেল দেখে অবশ্যই আপনারা বুঝে গিয়েছেন আজকে কি নিয়ে কথা বলতে চলেছি। আজকে ২৭ তারিখ আমার জন্মদিন ছিল। ২০০০ সালে এই দিনে আমি পৃথিবীতে এসেছি। তারপর থেকে আমার জীবন থেকে যতদিন যাচ্ছে একদিন করে হায়াত কমে আসছে। আমি নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য এই দুনিয়াতে এসেছি। জন্ম হওয়ার পর থেকেই সেগুলো আস্তে আস্তে ফুরিয়ে যাচ্ছে।
জন্মদিনটাকে মানুষ ভিন্ন ভাবে ভিন্ন রূপে দেখেন। যার কাছে দুনিয়াটা যেমন সে তেমনভাবে এটি উপলব্ধি করতে পারে। একটা সময় ছিল জন্মদিন টাকে আমিও ধুমধাম ভাবে এবং আনন্দের সাথে পালন করতাম। পালন করতাম বললে ভুল হবে তবে বেশ আনন্দের সাথে দিনটা কাটাইতাম মনে হতো আজকে আমার জন্মদিন অনেক খুশির একটি দিন। এখন আর জন্মদিনটাকে তেমনভাবে উপভোগ করতে পারিনা বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা আনন্দ সবকিছুই কমে আসতে থাকে। এখন মাথার মধ্যে অনেক ধরনের চিন্তাভাবনা ঘুরপাক খায় তার মধ্যে এই জন্মদিনের আনন্দটা মাথায় আসে না।
একটা সময় আমিও কেক কেটে জন্মদিন পালন করেছি বন্ধুদের সাথে অনেক মজা করেছি। ছোটবেলায় আরো বেশি মজা হতো যে আমার জন্মদিন আসলে বয়স বাড়তে থাকে। মনে হতো এই যে বড় হব বড় হলে একটা সময় আর লেখাপড়া করতে হবে না। শুধু ঘুরে বেড়াতে পারবো তবে এখন বড় হওয়ার বুঝতেছি ছোট সময়টা অনেক ভালো ছিল। ওই সময়ে কোন ধরনের চিন্তা আমাদেরকে গ্রাস করতে পারত না মন সবসময় উৎফুল্ল থাকতো। এখন আর জন্মদিন নিয়ে তেমন কোনো উৎসাহ কাজ করে না।
জন্মদিন আসলে মনে হয় বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে দায়িত্বটাও যেন বেড়ে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে আমার জন্য নির্দিষ্ট সময় টা ফুরিয়ে যাচ্ছে। আর মনে হয় এ সময়ের মধ্যে আমি কি করতে পেরেছি আর কি করতে পারিনি এই হিসাব মিলাতে মিলাতে রাত পার হয়ে যায়।
এখন আর জন্মদিন আসলে কেক কাটার ইচ্ছাটা হয় না, হয়না বন্ধুদের সাথে সেই আড্ডা, জন্মদিন মানিয়েছে আনন্দ উল্লাস বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে বেড়াবো এমনটা নয়। আমার জন্মদিন যা ইচ্ছা তাই করব অনেক বেশি খুশি আনন্দের জন্য বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করবো এসব টাই আসলেই এক নোংরা মস্তিষ্কের ভাবনা। আমরা হয়তো সেভাবে ভেবে দেখি না যে জন্মদিন আসলে আমাদের জীবন থেকে আরেকটি বছর চলে গেল । আমার বেঁচে থাকার জন্য নির্দিষ্ট সময় থেকে বছর চলে যাওয়াকে আমরা এভাবে উদযাপন কেন করি? আমরা হয়তো সেভাবে কখনো ভেবে দেখিনি।
আসলে আমরা এই দুনিয়াতে কি করতে এসেছি আর কি করছি এই হিসাব কখনো মেলাতে যায়নি। আসলেই কি আমাকে পাঠানো হয়েছে দুনিয়াতে উল্লাস করার জন্য নাকি কোন একটি মহৎ উদ্দেশ্যে? আমরা যেদিন আমাদের উদ্দেশ্যটা খুঁজে বের করে হাসিল করতে পারব সেদিন আমরা সফলকাম হব। আর জন্মদিন নিয়ে বেশি কথা বললাম না। তবে আজকে আমার জন্মদিন ছিল তবে ছোটবেলার মতো কেন জানি খুশি হতে পারিনি। পারিনি বন্ধুদের সাথে উল্লাস করতে কেন যেন মনে হচ্ছিল দায়িত্বটা যেন বেড়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। আর ধীরে ধীরে সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। সবকিছু মিলে বেশ চিন্তার মধ্যে ছিলাম। আজ আর কথা বাড়াচ্ছি না আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে অন্য কোন গল্প ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।
প্রথমেই আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।
সৃষ্টিকর্তা আপনাকে নেক হায়াত দান করুন। জন্মদিন মানেই জীবন থেকে আরো একটি বছর হারিয়ে গেল। সবাই দিনটি খুব বেশি আনন্দের সাথে নিলেও আমার কাছেও তেমন বেশি ভালো লাগে না, কারন বয়স বাড়ার সাথে সাথে দায়িত্বগুলো বাড়তে থাকে। যাইহোক বেশ গুছিয়ে নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করেছেন, ধন্যবাদ ভাই।
জি ভাই আমিও এখন আর আনন্দে উৎফুল্ল জন্মদিনে। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
প্রথমে আপনাকে জানাই শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আপনার আগামী দিনের পথ চলা হোক আরও সুন্দর আরও মঙ্গলকর। পরিবারের মানুষকে নিয়ে ভালো থাকুন সেই কামনা করি। ঠিক বলছেন ছোট বেলায় যেভাবে জন্মদিন পালন করা হয় আস্তে আস্তে যখন বড় হতে থাকে তা কমে যায়। কারণ পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা বেড়ে যায়। তাছাড়া জন্মদিন পালনের ক্ষেত্রে একটা আলাদা জড়তা চলে আসে। অনেক ভালো লেগেছে আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে যেন খুব খুব হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত প্রকাশের জন্য
জন্মদিনের আমেজ তো শেষ হয়ে গেলো ভাইয়া।আজ ২৮ তারিখ হয়ে গেলো।তারপরে ও আপনাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।জন্মদিন ছেলেবেলায় সত্যিই ভীষন আনন্দের ছিল। কিন্তু এখন বড় হয়ে মনে হচ্ছে জীবন থেকে একদিন একদিন করে সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে।দায়িত্বশীল হতে হচ্ছে নিজেকে।তাইতো আনন্দ আর তেমন করে আসেনা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য
প্রথমেই আপনাকে জন্মদিনের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ভাই। আসলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের জীবনের আনন্দ অনেকটাই কমে যায়। ছোটবেলায় নিজের জন্মদিনে আমরা কতোটা আনন্দ করতাম। কিন্তু এখন বিভিন্ন ধরনের চাপে জন্মদিনের কথা সেভাবে মনেই থাকে না। ছোটবেলায় আমাদের কোনো চাপ ছিলো না। কিন্তু এখন একের পর এক চাপ নিতে হয় আমাদেরকে। যাইহোক আপনার জীবনটা সুখ শান্তিতে ভরে উঠুক, সেই কামনা করছি। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া ছোটবেলা যখন চাপ ছিল না তখন ভরপুর বিনোদন হত কিন্তু এখন অনেক ধরনের চিন্তা মাথায় ঘুরপাক করে। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
প্রথমেই আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। একদমই ঠিক বলেছেন ছোট বেলায় মহূর্ত গুলো জাস্ট অসাধারন। প্রতিনিয়ত আমাদের জীবন থেকে সময় গুলো চলে যাচ্ছে। জন্মদিন উপলক্ষে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত প্রকাশের জন্য
বয়সের সাথে মানুষের দায়িত্ব বেড়ে যায় তাই অনেক ক্ষেত্রেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের শখ গুলো হারিয়ে যায়। তবে হ্যাঁ জন্মদিনটা স্পেশাল হতে পারত যদি ঘরে ভাবি থাকতো হা হা হা।
নিজের দায়িত্ব নিতে পারছি না আবার ভাবীর কথা বলো তুমি। ইনশাল্লাহ সব হবে একদিন শুধু সময়ের অপেক্ষা
ভাই প্রথমে জানাই আপনার জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন শুভ জন্মদিন। ঠিক বলেছেন ভাই বড় হওয়ার সাথে সাথে মানসিক চাপ সবসময় বাড়তে থাকে তবে ছোট অবস্থায় শুধুমাত্র লেখাপড়ার চাপ ছাড়া আর কোন কিছুই থাকেনা। এভাবে নিজের জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলুন আশা করি আপনার সামনের দিনগুলো আরো ভালো কাটবে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত প্রকাশের জন্য
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমরা জন্মদিনটাকে কেউই আর ভালো করে উপভোগ করতে পারি না ভাই। আমি নিজেও আমার বার্থডে করি না। বয়সের সাথে সাথে আসলে এই ব্যাপারগুলো থাকেনা। কম বয়সে এই ব্যাপারগুলো সবাই খুব আনন্দ করে থাকে। তবে আমাদের মত বয়সে এসে সেটা আর সম্ভব হয় নয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের উপর দায়িত্ব এসেও পড়ে । অনেক চিন্তা ভাবনা ঘুরপাক খায় আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে সেজন্য হয়তো জন্মদিনের আনন্দটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায় আমাদের জন্য।
ভাই, এইভাবে আমিও ভেবে দেখেছি তবে আপনি যতটা গভীরভাবে সবকিছু বললেন, অতটাও গভীরভাবে ভেবে দেখেনি এইসব নিয়ে।
ভাইয়া আমিও গভীরভাবে ভাবতাম না কিন্তু এখন কেন জানো মনের ভেতর ভাবনা জাগ্রত হয়। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
মাঝে মাঝে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের গভীরভাবে ভাবাই উচিত ভাই।
আজকে তাহলে মামা তোমাকে ট্রিট দিতে হবে। জন্মদিনে উপলক্ষে যেহেতু অনেক আগে যেটা উদযাপন করেছি এখন আর করি না কিন্তু খাওয়া তো মিস দেওয়া যাবে না। জন্মদিন উপলক্ষে না খাওয়ালেও খাওয়াইতে হবে। সময়ের সাথে সাথে সকল চিন্তা ভাবনার পরিবর্তনটাই সমাজকে বদলে দেয়।
না মামা কোন খাওয়া হবে না খাওয়া-দাওয়া ভুলে যাও। মতামত প্রকাশের জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।