বৃষ্টি ভেজা বিদায়।
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- বৃষ্টি ভেজা বিদায়
- ০৮,ডিসেম্বর ,২০২৩
- শুক্রবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা ?আশা করি বেশ ভাল আছেন আমিও ভাল আছি তবে মনটা একটু খারাপ। বিদায় জিনিসটা আসলেই অনেক কষ্টের সেটা সাময়িক বিদায় হোক আর পার্মানেন্ট বিদায়। তবে সাময়িক বিদায় একটি স্বস্তির নিঃশ্বাস থাকে আবার ফিরে আসবে আমাদের কাছে। যদি কেউ পার্মানেন্ট বিদায় নিয়ে চলে যায় তাহলে আর কোন আশায় থাকে না তখন মনটা কাতর হয়ে যায় দুঃখে।
তবে আজকে যে বিদায়ের কথা বলবো এটা সাময়িক বিদায় হয়তো ২-৩ বছর পর আবারো আমাদের মাঝে ফিরে আসবে আল্লাহ যদি চায়। গতকাল সারাদিন টিপটিপ করে বৃষ্টি হচ্ছে। এর মাঝে তাকে বিদায় দিতে হবে। আচ্ছা তাহলে আসল কাহিনী শুরু করি। আমার আপন চাচা প্রবাসে পারি দিয়েছেন জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্যে। জীবিকার তাগিতে মানুষকে অনেক কিছুই করতে হয়। এর আগেও তিনি সিঙ্গাপুর ছিল এখন আবার বেশ কয়েক বছর পর চলে গেল সৌদি আরবে। যখন সিঙ্গাপুর থেকে চলে আসে তখন আমার বয়স ১৩-১৪ বছর। আমি ছোটবেলায় চাচাকে দেখে অনেক বেশি ভয় পেতাম দেখতাম যদি সে আসছে রাস্তা দিয়ে আমি রাস্তা দিয়ে যেতাম না।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
তবে আমাকে কখনো কোনদিন ওইভাবে রাগ করেনি, তারপরও কেন যেন ভয় পেতাম। যখন প্রথম সিঙ্গাপুর যায় তখন বেশ ছোট ছিলাম তেমন কিছু বুঝতাম না ওইভাবে মেশা হয়েছিল না চাচার সাথে। বেশ কয়েক বছর বাড়িতে ছিল তখন বেশ মিশা হয়েছে তার সাথে ছোটবেলার মতো ভয়টা আর কাজ করতো না। বাবার পরে দ্বিতীয় অভিভাবক বলা যায়। আমার অনেক কিছুই সম্পর্কেই তিনি খবর রাখতেন।
সবসময়ই ভাবতেন আমাকে নিয়ে কোনটা আমার জন্য ভালো হবে আমি কি করতেছি না করতেছি সবকিছু খবরই রাখতেন। তবে আমি তার সাথে বেশি কথা বলতাম না আমি যে ছোটবেলার একটা ভয় আছে, ছোটবেলা থেকে বেশি কথা বলি নাই তাই এখনো বলা হয়ে উঠত না। একান্তই কাজের কথা ছাড়া তার সাথে কথা বলা হতোনা। তবে আমাদের একটা সার্কেল আছে বন্ধু এবং বড় ভাইদের নিয়ে তাদের সাথে আমার চাচার অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল ।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
একসাথে অনেক পিকনিক করেছি বিভিন্ন জায়গায় বাইক নিয়ে ঘুরতে গিয়েছি। আমার ছোট ছোট কিছু স্বপ্ন তার দ্বারা পূর্ণ হয়েছে অর্থাৎ স্বপ্ন পূরণ করতে সাহস পেয়েছি। অনেক শখের মোটরসাইকেল কিনেছি তার উৎসাহতে। এখন তার বিদায় মুহূর্তটা অবশ্যই কষ্টের হবে, আমাদের সার্কেলের সবাই বেশ মিস করবে তাকে।
অনেক মজার মানুষ ছিল সবার সাথেই হাসিমুখে কথা বলতো। আবার কবে দেখা হবে কবে আবার একসাথে আড্ডা হবে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা ভালো জানে। কালকে রাতে তার ফ্লাইট সারাটা দিনই বেশ বৃষ্টি হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল তার বিদায় মুহূর্তে আকাশটাও কেঁদে দিয়েছে আকাশ থেকেও গড়িয়ে গরিয়ে অশ্রু পরছে। আমরা সবাই গিয়েছিলাম তার বিদায় দিতে। বৃষ্টি ভেজা দিনে বিদায় মুহুর্তটা ভিজতে ভিজতে বেশ কষ্টের সাথে দিতে হয়েছে।
তার ফ্লাইট ছিল রাত 9:40 মিনিটে তিনি সাতটার দিকে এয়ারপোর্টে চলে আসেন আমরা অবশ্য তার আগে গিয়ে বসে ছিলাম। তার ছোটখাটো কাজ শেষ করতে একটু সময় লেগে গিয়েছিল আসতে।চেকইন সময় হয়ে যাচ্ছিল তাই আমরা বেশি সময় গল্প করতে পারেনি। খুব ইচ্ছে ছিল কিছু সময় আমরা বিভিন্ন গল্প করবো আবার কবে দেখা হয় বা না হয় কে জানে। তবে সময়ের স্বল্পতার জন্য মন খুলে গল্প করা হয়নি। তার মুখেও স্বদেশ, পরিবার, আত্মীয়স্বজন ছেড়ে যাওয়ার ছাপ, ওভাবে কথাও বলা হবে না কষ্ট নিয়ে তো আর মন খুলে কথা বলা যায় না। সে দ্রুতই চলে গেল এয়ারপোর্ট এর ভিতরে হয়তো আমাদের দেখে তার মনটা আরো বেশি খারাপ হয়ে যেত সেজন্য হয়তো চলে গিয়েছিল। কারণ আমরা তো একসাথে অনেক বেশি আড্ডা দিয়েছি।
বাজারে আমার চাচার একটি দোকান আছে আমরা সবাই বিকেলে গিয়ে ওখানে আড্ডা দিতাম। দোকানটা অবশ্য আছেই তবে সে মানুষটা আর থাকবে না দোকানে বসে। কথা আর বেশি না বলি তবে আল্লাহ সুবাহানাতালার কাছে একটি দোয়া করি সে যেন ভালোভাবে থাকতে পারে, এই দেশ ছেড়ে গিয়েও সেজন্য হাসিমুখে সময়গুলো কাটাতে পারে এবং তার লক্ষ্য পূরণ করে যেন আমাদের মাঝে আবার দ্রুত ফিরে আসে।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।
আসলে যে কোন ধরনের বিদায় মানে বেদনাদায়ক। আমি আশা করি আপনার চাচা প্রবাসে গিয়ে তার লক্ষ্য পূরণ করে আবার আপনাদের মাঝে ফিরে আসবে। আমি দোয়া করি আপনার চাচা যেন প্রবাসে সবসময় শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকে।
ইনশাল্লাহ ভাইয়া তুমি তার লক্ষ পূরণ করে আমাদের মাঝে আবার ফেরত আসবে। আপনার দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করুক আমিন। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
রতন ভাইয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
ভাই যেন প্রবাস জীবন ভালোভাবে পার করে উদ্দেশ্য সফল করে আবার আমাদের মাঝে ফেরত আসেন
সাময়িকভাবে এই কয়টি বছর রতন ভাইকে খুব মিস করব। হয়তো কথা হবে মাঝে মাঝে কিন্তু সে আগের মত চোখে দেখে হয়তো সময়টা পার করা হবে না।
ঠিক বলেছেন অবশ্যই তাকে আমরা অনেক বেশি মিস করবো কারণ সবসময়ই দেখা হতো তার। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
হ্যাঁ আমাদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করত বাজারে গেলেই রতন ভাইয়ের দোকানে না গেলে ভালোই লাগে না। এখন দোকানে গেলে ফাঁকা মনে হবে মানুষ কোন পরিস্থিতির শিকার হয়ে কোথায় যাবে সেটা কেউ জানেনা সবই ভাগ্যে নির্ধারণ। যাইহোক, এটাই জীবন সবকিছু মেনে নিতে হবে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসুক আবার তার সাথে দেখা হবে সেই কামনাই করি। যদিও বিদায় বেলা খুবই কষ্টের তবুও তার জন্য দোয়া করি।
হ্যাঁ এখন বাজারে গেলে অনেক বেশি মিস করবো দোকানে গেলে আর টাকা দেখতে পাবো না সেই পরিচিত জায়গা কিন্তু পরিচিত মানুষটা থাকবে না। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
সত্যিই গত কালকের বিদায়টা যেন অন্যরকম ছিল গতকাল সারাদিন যেমন আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়ছিল ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের মনে অনেক বেশি কষ্ট ছিল। আসলেই আপনার চাচা অনেক ভালো মানুষ সবার সঙ্গে এত ভালোভাবে বুঝতে পারে যে বোঝাই যায় না যে এই মানুষটাকে এত বয়স হয়েছে। খুব মিস করবো বিশেষ করে যখন বাসায় যাব দোকানের উপর যখন যাব তখন এই মানুষটার কথা অনেক বেশি মনে পড়বে। জীবিকার তাগিদে মানুষ প্রবাস জীবনে পদার্পণ করে এটা আসলে মেনে নিতে হবে, সবসময়ই তার ওপর দোয়া থাকবে আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ রাখে এবং খুব ভালোভাবে আমাদের মাঝে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
তিনি মিস করার মতই মানুষ অবশ্যই আমরা সবাই নিজ করব এবং তার জন্য দোয়া থাকবে সবসময়। মতামত প্রকাশের জন্য জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আসলেই বন্ধু বিদায়ের মুহূর্ত সবসময়ই অনেক কষ্টের হয়। সত্যি বলতে এই মানুষটাকে সবাই প্রচুর পরিমাণে মিস করবে পরবর্তীতে। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই বন্ধু বিদায়ের মুহূর্তটা সবসময় কষ্ট হয়। তবে সামনে স্বস্তির নিঃশ্বাসের জন্য একটু কষ্ট করে কিছু হবে না। অসংখ্য ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য
তার সাথে জড়িয়ে থাকা স্মৃতিগুলো খুব মনে পড়বে। আজ যাকে বিদায় দেয়া হলো সে আমাদের বড় ভাই হলেও আমাদের অভিভাবকের মতো ব্যবহার করত। সব সুখ দুঃখ তার সাথে শেয়ার করা হতো। কোন বিপদে পড়লে তার কাছ থেকে যে কতবার হেল্প পেয়েছি তা আর বলে বোঝাতে পারবো না। হয়তো কিছুদিন পরে আবার তার সাথে দেখা হবে কিন্তু যতদিন দেখা হবে না তাকে ছাড়া পথ চলতে অনেক কষ্ট হবে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি সে যেন সুস্থ শরীর নিয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।
নিশ্চয়ই কষ্টের পরে রয়েছে স্বস্তি আমরা সেই স্বস্তির আশায় আছি। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
যেকোনো বিদায় আমাদের জন্য কষ্টের।আপনার চাচা দ্বিতীয়বারের জন্য প্রবাসে পারি দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।আসলে মানুষের জীবন পাখির মতো।বেশি আপন মানুষের স্মৃতিগুলো ভুলে থাকা যায় না,তেমনি সময় কাটানো দোকানটিও।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই আপু মানুষের জীবন পাখির মতই। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ