অনেকদিন পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- ১৫, ডিসেম্বর ,২০২৩
- শুক্রবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। অনেকদিন হলো ঢাকাতে আসছি তেমন কোথাও যাওয়া হয় না কিন্তু ব্যস্ততম রাস্তা দেখে আর বের হতে ইচ্ছে করে না। ঘোরাঘুরি থেকে রাস্তার কষ্ট টাই অনেক বেশি হয়ে যায়। তাই কোন কাজ ছাড়াই এ ব্যস্ততম নগরীতে শুধু শুধু বের হওয়া হয় না।
আজকে বিকেলে হঠাৎ চলে গিয়েছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। হঠাৎ বললে ভুল হবে একটা কাজে গিয়েছিলাম। এলাকা থেকে এক বড় ভাই আসছে তার তিনটা ফ্রেন্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। তার মাঝে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া শেষ করে দিয়েছে এখনো সেখানেই থাকে। আর দুইটা ফ্রেন্ড আসছে চাকরির পরীক্ষা ছিল আজকে পরীক্ষা দিতে। তাই ভাবলাম সবাই যেহেতু এলাকার ভাই ব্রাদার অনেকদিন হলো দেখা-সাক্ষাৎ হয় না আড্ডাও দেওয়া হয় না ।তাই আমি এবং আমার সেই বড় ভাই চারটার পরপর বাইক নিয়ে বের হয়ে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে।
ধানমন্ডির ভিতর দিয়ে ভালই যাচ্ছিলাম যখন সিটি কলেজ পার হয়ে ওই রাস্তায় গেলাম তখন কি বড় এক জ্যাম। এই জ্যামের কারণে বাইরে বের হতে ইচ্ছে করে না অল্প সময়ের পথ তার দ্বিগুণ সময় লেগে যায়। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজয় একাত্তর হলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
কাল যেহেতু ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস তাই পুরা ঢাকা শহরটাই যেন নতুন রূপে সেজেছে ।আর আজকে ছুটির দিন হওয়াতে ব্যস্ততাও বেড়ে গিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকতেই দেখি সকল হল গুলো লাল সবুজে লাইটে রঙিন হয়ে গিয়েছে। এজন্য এক নতুন রূপের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় । কোন দিবস উপলক্ষে কখনো যায়নি তো আজকে গিয়ে চারিদিকে রঙিন আলোতে অনেক ভালো লাগছিল। ওখানে যেতেই মাগরিবের আজান হয়ে যায় আর যাদের সাথে দেখা করব তারাও হলে আছে ।আমি নামাজ পড়তে চলে যাই তারপর নেমেই সেই ভাইদের সাথে দেখা হল।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
অনেকদিন পর দেখা প্রথমেই সবার সাথে হাত মিলানো হলো আর চারিপাশের রঙিন লাইটের পরিবেশটাও দারুন লাগছিল। তারপর বাইকটা এখানে রেখে আমরা পাঁচজন ক্যাম্পাসের ভিতরে হাটাহাটি শুরু করি। আগে ক্যাম্পাসের ভিতরে অনেক ধরনের দোকানপাট ছিল এখন সেগুলো উঠিয়ে দিয়েছে। এখন যে দোকানপাট গুলো আছে সেগুলো লাইব্রেরীর ওইদিকে আমাদের পরিকল্পনা সেখানে যাব। দিনের বেলা ক্যাম্পাসের ভিতরে ভালোভাবে চিনলেও আমি রাতে সবকিছু ভুলে যায় কেমন যেন সব অচেনা লাগে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
তাই ভাইয়াদের পিছু পিছু আমি হাটতে থাকি হঠাৎ দেখা মেলে মধুর ক্যান্টিনের। মধুর ক্যান্টিন বেশ নামকরা এবং ঐতিহাসিক বটে। এর আগেও আমি এসেছিলাম এবং মধুর ক্যান্টিনে বসে খেয়েছিলাম কিন্তু অভিজ্ঞতাটা তেমন ভালো ছিল না তাই এবার আর ভিতরে প্রবেশ করিনি। তারপর হাঁটতে হাঁটতে লাইব্রেরীর সামনে দিয়ে টিএসসির সামনে চলে যায়।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
ওইখানে যেতেই দেখি অনেকগুলো ফাস্টফুড এর দোকান ,সেখানে দাঁড়িয়ে পিয়াজু এবং পাকোড়া খায়, পিয়াজু টা বেশি টেস্ট লেগেছে তবে পাকোড়া ভালো ছিল। আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে টিএসসি সামনে দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলে যায়। আজকে টিএসসিতে একটা অনুষ্ঠান হচ্ছে দেখলাম ।কালকে যেহেতু ১৬ই ডিসেম্বর চারিদিকে বেশ আয়োজন চলছে। যখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভিতরে প্রবেশ করতে যাচ্ছি তখন দেখি প্রচুর ভিড় আজকে ছুটির দিন হওয়াতে আর সন্ধ্যাবেলায় ভিড়টা মনে হলো অনেক বেশি। যে কয়বার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছি সবারই রাতে গিয়েছি বেশ ভালোই ছিল অভিজ্ঞতা। আজকে যেহেতু আমরা জনসংখ্যায় বেশি ছিলাম মজাটা বেশি করতে পারবো।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
এর আগে যেহেতু অন্য সাইডে ঘোরাঘুরি করেছি আজকে চলে গেলাম মুক্ত মঞ্চে আমি আগে কখনো যায়নি। রাতের বেলা সবাই চারিদিকে বসে বসে গল্প করছে আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং চারিপাশের পরিবেশ দেখছিলাম। তবে এখানকার পরিবেশ দেখে আমি অবাক। আমি কখনো ভাবতেও পারিনাই এখানকার পরিবেশ এত খারাপ হবে। এখানে ছেলে-মেয়ে সবাই একসাথে বসে ধূমপান করছে আর কিছু কিছু জায়গায় দেখি গান গাচ্ছে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
মুক্ত মঞ্চের ঠিক মাঝ বরাবর একটি স্থানে কয়টা মোমবাতি রেখে সাজিয়ে রেখেছে এবং ওখানেও দেখি সবাই বসে বসে আছে ,আবার দেখি কেউ কেউ আর ফটোশুট করছে। বেশ কিছু সময় আমরা সেখানেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আশেপাশের পরিবেশটা উপভোগ করি। তারপর যেহেতু রাত গভীর হয়ে যাচ্ছে আমাদের আবার বাসায় ফিরতে হবে তার মাঝে একটু ছোট কাজ আছে তাই আমরা এখানে দেরি না করে বেরিয়ে চলে আসি। তারপর আবার ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকে হলের সামনে থেকে বাইকটা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করি। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটা বেশ ভালই ছিল। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে অন্য কোন গল্প নেই ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।
জী,ভাইয়া আগামীকাল যেহেতু বিজয় দিবস তাই ঢাকা শহরের বড় বড় বিল্ডিং গুলি নতুন সাজে সেজেছে। সেই সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ও বিভিন্ন রঙে রাঙ্গিয়েছে। আপনার ফটোগ্রাফির সাথে অনুভূতিগুলো দারুন ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই ভাই বিজয় দিবস উপলক্ষে চারিপাশটা রঙিন হয়ে গিয়েছিল দেখতে বেশ ভালো লাগছিল
মতামত প্রকাশের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। গ্রামের এক বড় ভাইয়ের সাথে আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গিয়েছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে বিজয় দিবস উপলক্ষে অনেক আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় সাজানো শুরু হয়ে গিয়েছে সেই বিষয়ে আপনি সেখান থেকে দেখে এসেছেন। আসলে ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কে এশিয়া মহাদেশের অক্সফোর্ড বলা হয় সেখানে যদি বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান না হয় তাহলে কি হবে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার গঠনমূলক মতামত প্রকাশের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে ঢাকা শহরের প্রতিটা গলিতেই বলতে গেলে লাইটিং করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত আজকে শেয়ার করেছে বন্ধু। তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
জি বন্ধু প্রতিটা অলি গলিতে লাইটিং থাকে বিশেষ করে সরকারি বিল্ডিং গুলোতে লাইটিং বেশি করে। মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ঠিকই বলেছেন এই সময়টাতে ঢাকা শহর খুব লাইটিং করে এবং খুব সুন্দর ভাবে সাজে দেখতে খুব ভালো লাগে । মুক্তমঞ্চের মাঝ বরাবর মোমবাতি সাজিয়ে রেখে অনেকে ফটোশুট করছে সেটা শুনে তো ভালোই লাগছে । আমর ইউনিভার্সিটির এলাকাটাতে ঘুরতে খুব ভালো লাগে আমি মাঝে মাঝে সময় পেলে যায় ঘুরতে তবে রাতের বেলা কখনো যাওয়া হয়নি ।
আমারও আপু ইউনিভার্সিটি এলাকাতে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে পরিবেশটা অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। মতামত প্রকাশের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ