যখন পরিবারের দায়িত্ব নিজের কাধেঁ।( beneficiary 10% @shy-fox)
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
পরিবারের দায়িত্ব অনেক বড় একটি বিষয়।যার উপর দায়িত্ব থাকে সেই বুঝে।পরিবারের দায়িত্ব বলতে পরিবারের সকল সদস্য সুখ দুঃখে, আনন্দ উল্লাসে একসাথে থাকা। এবং পরিবারের সকল কাজে সাহায্য সহযোগিতা করা এবং আর্থিক সাহায্য করা।আমি আজকে এমন একটি ছেলের গল্প বলবো সে অল্প বয়সে পরিবারের জন্য রোজগার করে।সে তার পরিবারের আর্থিক সাহায্য করে।চলুন শুরু করা যাক।
গল্পের ছেলেটি
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :https://w3w.co/loveliest.holdings.usher
আমি যে ছেলেটি গল্প বলব তার নাম আহমেদ রাব্বি। বয়স আনুমানিক ১৩থেকে ১৪ বছর। সে মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করে। সেই কাজের মাধ্যমে তার পরিবারের আর্থিক সাহায্য করে থাকেন।তার এই বয়সে স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করার কথা ছিল।কিন্তু তার ভাগ্যে সেটা হয়ে ওঠেনি।তার এই বয়সে পরিবারের আর্থিক সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিতে হয়েছে।তার বাবা একজন দিনমজুর। তার বাবার একার ইনকামে পরিবার স্বচ্ছলতা লাভ করতে পারেনি ফলে তাকে পরিবারের ভার বহন করতে হয়েছে।
গল্পের ছেলেটির কাজের সময়
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :https://w3w.co/loveliest.holdings.usher
তার কাজের দক্ষতা অনেক।সে ছোট ছোট সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করে।ছেলেটি এখন আস্তে আস্তে কাজ শিখছে।সে গ্রাডিং মেশিন দিয়ে বিভিন্ন জিনিস কেটে কাজে লাগায়।আমার মোটরসাইকেল যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আমি তার কাছে নিয়ে যায় সে খুব সহজেই ঠিক করে দেয়।তারপর আমি তারে একটু বেশি টাকা দেই।আর অল্প সমস্যা দেখা দিলে সে ঠিক করে দেয় কিন্তু টাকা নিতে চায় না।অল্পতেই সবার সাথে বন্ধুত্ব সুলভ আচরন করেন।
গ্যারেজ
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :https://w3w.co/loveliest.holdings.usher
এখন ছেলেটির ব্যবহার সম্পর্কে কিছু বলতে চায়।ছেলেটি নম্র ভদ্র প্রকৃতির।যারা যারা তার কাছে মোটরসাইকেল সাভিসিং করাতে আসে তাদের সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে।তারও তাকে ভালোবাসে।ছেলেটি এখনো সবধরনের কাজ করতে পারেনা। সে কাজ শিখতেছে মাত্র।দোয়া করি সে যেন কাজ শিখতে পারে।তার কাছে আমি মাঝে মাঝে আমার মোটরসাইকেল সাভিসিং করাতে যায়।সে সুন্দরভাবে আমার কাজ করে দেয় আর মাঝে মাঝে দুষ্টামি করে।দুষ্টামি করবেই না কেন তার তো এখন দুষ্টুমির আর সেই বয়সে সে রোজগারের জন্য কাজ করছে।সে কাজ করে আমাদের বাজারে মনোয়ার আটোজ এ।সবাই তার কাজের তারিফ করে।
এভাবে হাজারো ছেলে অল্প বয়সে পরিবারের আর্থিক উন্নতির জন্য লেখাপড়া বাদ দিয়ে বিভিন্ন জায়গা কাজে লেগে যায়।হাজারো ছেলেকে পরিবারের দায়িত্ব নিজের কাধেঁ বহন করতে হয়।জীবনটা অনেক কঠিন যদি মাথার উপর বটবৃক্ষ নামক বাবার ছায়া না থাকে।অথবা বাবা যদি উপার্জনে অক্ষম হয়। তখন নিজেকেই দায়িত্ব নিতে হয়।
খুবই হৃদয়বিদারক ব্যাপারটি। কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের শিশুর সংখ্যা অগনিত। যারা খুবই অল্প বয়সে পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছে। এই বাচ্চা গুলো কখনোই তাদের শৈশব উদযাপন করতে পারেনি। সমাজের বিত্তবানদের উচিত এই বাচ্চাদের দিকে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া।
ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাস্তব চিত্রে এমন মর্মান্তিক জীবন কাহিনী রয়েছে অসংখ্য।😥😥
এটাই বাস্তবতা। এভাবেই চলবে রাষ্ট কেউ কারো খোজ রাখেনা।😢
আমাদের সমাজের মানুষ বরই কঠিন। নিজের মতো করে চলে। আশে পাশের দিকে তাকাতে চাই না বেশি। আজ যদি তাকাতে তাহলে এতো ছোট বয়সে ছেলেটাকে।কাজ করতে হতো না। এই বয়সে তার খেলাধুলা আর পড়াশুনা করার সময়। সেই বয়সে সে পরিবার সামলাচ্ছে। সুন্দর ভাবে আজকের পোষ্টটা উপস্থাপন করেছেন। শুভ কামনা।
ঠিক বলেছেন।