বান্দরবানের পথে পথে"তিন্দু বাজার এলাকা"
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- সাঙ্গু নদী
- ০৭,এপ্রিল ,২০২৪
- রবিবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো শেয়ার করতে চলেছি আমার বান্দরবান ভ্রমণের কিছু সুন্দর এবং কাহিনী গুলো। বান্দরবান ভ্রমণের গত পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম সাঙ্গু নদীতে ভ্রমণের মুহূর্ত। আমরা এই নদী ধরে এগিয়ে যাচ্ছি রেমাক্রির উদ্দেশ্যে। সাড়ে তিন ঘণ্টা বোট জার্নি করে আমাদেরকে যেতে হবে রেমাক্রি। রেমাক্রি যেতে অনেক আকর্ষণীয় একটি জায়গা মিলে সেটা হল সে জায়গাটির নাম হল তিন্দু। আর সাঙ্গু নদীর তীরে অবস্থিত হলো তিন্দু বাজার। তিন্দু অনেক জনপ্রিয় একটি জায়গা। বিশেষ করে যারা ভ্রমণ প্রিয় এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকে তাদের জন্য এই জায়গাগুলো অনেক বেশি আকর্ষণীয়।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আর যারা বাইক নিয়ে ট্রাভেল করেন তাদের স্বপ্নের রাস্তা বলতে পারেন এই তিন্দু যাওয়ার রাস্তা। বাংলাদেশের সব থেকে ভয়ংকর রাস্তা বলা হয়। এডভেঞ্চার পূর্ণ মানুষের জন্য এই রাস্তাটা অনেক বেশি আকর্ষণীয়। আমরা যেহেতু নদী পথে যাচ্ছি তাই আমরা এই ভয়ঙ্কর রাস্তা দেখাতে পারলাম না আপনাদের মাঝে। তবে নদীপথে সৌন্দর্যটাও অনেক বেশি।মেঘ-কুয়াশার দেশ তিন্দু এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো বর্ষাকালে এখানে নৌকায় চড়ে মেঘের ওপরে যাওয়া যায়, সাদাটে মেঘের ভেতর দিয়ে কিছুক্ষণ চললেই মাথা ভিজে যায়। এখানে শক্ত কঠিন পাথরকে সারাক্ষণই বুকে নিয়ে লক্ষ্য ছাড়া দৌড়ে বেড়ায় স্বচ্ছ পানির ঢল। তিন্দু এর দুই পাশ দিয়ে চলে গেছে দুটো ঝিরিপথ, সারা দিন সেখান থেকে কলকল করে ছুটে আসছে পাহাড়গলা স্বচ্ছ পানি।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
থানচি বাজার থেকে তিন্দু যেতে নৌকা পথে সময় লাগে দুই ঘন্টা ২০ মিনিট মতো। আর এই সময় নৌকা ভ্রমণে অনেক ধরনের সৌন্দর্য আপনার চোখে পড়বে। বড় বড় পাহাড় মাঝ দিয়ে বেয়ে চলেছে সাঙ্গু নদী এবং সব নৌকাগুলো ছুটে চলছে পর্যটকদের নিয়ে তার প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখানোর জন্য। আমরা যেহেতু ছিলাম সাঙ্গু নদীর পানি অনেকটাই শুকিয়ে গিয়েছে কিছু কিছু জায়গায় শুকিয়ে চড় জমে গিয়েছে। আবার কিছু কিছু জায়গায় পানি এতটাই কম নৌকা যেতে গেলে বেধে যাচ্ছে আর নিচের অনেক পাথর থাকে দেখতে বেশ ভালো লাগে। সাঙ্গু নদী একটি পাথর নদী এই নদীর নিচের তলদেশে বেশিরভাগ অংশই পাথর দেখাবে। এ পাথরই নদী ধরেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে রেমাক্রির উদ্দেশ্যে। দুই পাশে বড় বড় পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আপনি হারিয়ে যাবেন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে। তবে এই নৌকাগুলো চলার সময় যদি শব্দ কম হতো তাহলে প্রকৃতিটা আরো ভালোভাবে উপভোগ করা যেত।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
কিছু কিছু জায়গায় পানি এতটাই কমে গিয়েছে যে এখানে পানির ফ্ললো অনেক বেশি বেশ স্রোত হচ্ছে। এসব জায়গায় নৌকা যেতে অনেক বেশি বেগ পোহাতে হয়। কিছু কিছু জায়গায় তো আমাদেরকে নেমে যেতে হয়েছিল। বিশেষ করে যে নৌকার মাঝিগুলো অনেক বেশি অভিজ্ঞ তাদের কোন সমস্যা হয় না। আর এখানকার যে নৌকাগুলো চলে এ নৌকাগুলো পাথরের উপর দিয়েও যেতে সক্ষম অপমানের মধ্যে দিয়েও এরা চলে যেতে পারে। নৌকাগুলো বেশ শক্তিশালী হয়ে থাকে তবে এই নৌকাগুলো আবার ঢেউয়ের মাঝে চলতে পারে না। নৌকাগুলো দেখতেও বেশ কিউট এবং এর ইঞ্জিনে অনেক বেশি পাওয়ার সেজন্য এরা উপর দিকে উঠতে পারে। থানচি বাজার থেকে রেমাক্রির উচ্চতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ভোগ করতে করতে আমরা পৌঁছে যাই তিন্দুতে। তিন্দু বাজারে অল্প কিছু দোকানপাটে দেখা মেলে। বিশেষ করে যারা বাইক নিয়ে তিন্দুতে আসে তারা এখানে এসে রাত্রি যাপন করে এবং আশেপাশে এরিয়াটা ঘুরে দেখেন। আমরা যেহেতু রেমাক্রি যাব তাই আমরা তিন্দুতে দাঁড়ায়নি। তবে আমার ইচ্ছা আছে বাইক নিয়ে রাস্তা পথে তিন্দুতে আসার। তিন্দু বাজার পার হওয়ার পর যে এলাকাটা ওটা হল বড় পাথর নামে পরিচিত। এখানে অনেক বড় বড় পাথরের দেখা মেলে। আজকে আর বড় পাথর এলাকা নিয়ে আলোচনা করছি না পরবর্তী পর্বে বড় পাথরের সৌন্দর্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।
বান্দরবানের পথে পথে তিন্দু বাজার এলাকার সৌন্দর্যটা সত্যিই অনেক বেশি সুন্দর। তুমি সত্যি বলেছ বন্ধু ওই নৌকা ইঞ্জিনের শব্দ কম হলে প্রকৃতি আরো সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারতাম। তবে বান্দরবনের সৌন্দর্য সত্যি অপরূপ। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী ইঞ্জিনের শব্দ কম হলে আমরা প্রকৃতি টাকে আরো সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারতাম। ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য
আপনার ভ্রমন কাহিনী গুলো প্রতিনিয়তই অনেক ভালো লাগে আমার কাছে।
আজকে বান্দরবান ভ্রমণের দারুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলোর কথা কি বলব দেখে তো চোখ আটকিয়ে যাচ্ছে।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
প্রকৃতির সৌন্দর্যটাই এমন চারদিকে তাকালে চোখ আটকে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত প্রকাশের জন্য
তিন্দু বাজার এলাকা টা খুবই সুন্দর। অ্যাডভেঞ্চার পূর্ণ রাস্তা গুলোতে ভ্রমণ করার মজাটাই আলাদা। ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ ভালো লেগেছে দেখে। নদীর চারপাশের সৌন্দর্যগুলো মনমুগ্ধকর ছিল। আপনার ভ্রমণের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য।
মাঝে মাঝে ভাবি আপনাদের এলাকার পাশে যদি বাড়ি হতো, আপনাদের সাথে এত সুন্দর সুন্দর মুহূর্তে যোগদান করতে পারতাম। প্রিয় ভাই আমার বান্দরবানের পথে বেশ সুন্দর একটা মুহূর্ত তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। জায়গাটি আমার ভীষণ ভালো লাগতেছে। নৌকায় চড়ে এত সুন্দর মুহূর্ত আসলেই মন ভালো করার মত। প্রতিটি ছবি আমাকে মুগ্ধ করে তুললো। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনি আসলে আমাদের গ্রুপে মেম্বার ও বাড়তো। চলে আসেন একদিন ঘুরে যান।
আপনি একের পর এক এই ভ্রমণের পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করে আসছেন৷ আজকেও খুবই সুন্দর একটি পর্ব শেয়ার করেছেন৷ এখানে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এই তিন্দু বাজার এলাকা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম৷ একের পর এক আপনার ভ্রমণের পর্বগুলো দেখার মাধ্যমে বান্দরবানের অনেকগুলো নতুন জায়গা সম্পর্কে জানতে পারছি৷ আশা করি পরবর্তীতে আরো নতুন কিছু জায়গা আপনার কাছ থেকে দেখতে পারবো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
ধন্যবাদ গঠনমূলক মতামত প্রকাশের জন্য
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সবসময় ভ্রমণের পর্ব শেয়ার করার জন্য