নিজের স্বাধীন যানবাহনে করে ঢাকাতে যাওয়া||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য
আমি রাহুল আমার ইউজার নেমঃ @mrahul40 বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ - ২২ জৈষ্ঠ্য,|১৪২৯ বঙ্গাব্দ||রবিবার||গ্রীষ্মকাল||
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাশি কেমন আছেন সবাই? আজকে আপনাদের মাঝে আবার হাজির হলাম নতুন একটি ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে। হয়তোবা টাইটেল দেখে বুঝে গিয়েছেন কে নিয়ে কথা বলব এখানে আমি উল্লেখ করেছি স্বাধীন যানবাহন আর একমাত্র স্বাধীন যানবাহন আমার কাছে মনে হয় মোটরসাইকেল। কারণ মোটরসাইকেল নিয়ে সব জায়গাতেই ঘুরতে যাওয়া যায় প্রচন্ড জ্যাম হোক আর যেটাই হোক খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে বের হয়ে চলে যাওয়া যায়। আর নিজের বাইক থাকলে ইচ্ছামত যেখানে বিশ্রাম নেওয়ার প্রয়োজন মনে হয় সেখানে বিশ্রাম গ্রহণ করা যায়। সেজন্যই আজকের পোস্টের টাইটেল দেওয়া স্বাধীন যানবাহন। গত পোস্টে আপনারা হয়তো দেখেছেন আমি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এবার ঢাকাতে তো আসতেই হবে এখানে এখন ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখছি এখানে লেখাপড়া কন্টিনিউ করতে হবে ।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location:
তাই আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই ঢাকা ভ্রমণ করব দুই চাকার মোটরসাইকেল নিয়ে। থাকবেনা রাস্তায় কোন জ্যাম লাগবে না পরের অধীনস্থ কোন গাড়িতে যাওয়া তাই এই সিদ্ধান্ত তা গ্রহণ করি। আমরা সকাল সাড়ে দশটায় বাসা থেকে বের হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ।বেশি সকালে বের হতে পারলে আরও বেশি ভালো লাগতো তবে কিছু কাজের জন্য আমাদের বের হতে হতে প্রায় দশটা বেজে যায়। আমাদের এলাকা থেকে ঢাকা শহর 200 কিলোমিটার হবে। এটা আমার দ্বিতীয় বার মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকাতে আসা এর আগে আমি একবার এসেছিলাম তাই কিছুটা অভিজ্ঞতা আছে তাই কোন ধরনের ভয় না পেয়ে বের হয় ঢাকার উদ্দেশ্যে। আমি এবং আমার রুমমেট আস্তে আস্তে রিলাক্সে বাইকে চড়ে রওনা করে বাইক ড্রাইভ করতে ছিলাম আমি আর ভাইয়া পেছনে বসে ছিল। কুষ্টিয়া থেকে রাজবাড়ী হাইওয়ে সবসময় ফাকা থাকে বেশ ভালো লাগে রাস্তাটি আমার অনেক সুন্দর যেমন চাপ ছিল না আমরা আস্তে আস্তে এগোতে থাকি। 70 কিলোমিটার যাওয়ার পর আমারা একটি ছোট্ট বিশ্রাম নেই আর পানি পান করি।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location:
তারপর আমরা আবার যাত্রা শুরু করি আমরা ফেরিঘাটে পৌঁছায় দুপুর বারোটার দিকে। মোটরসাইকেল নিয়েছে ফেরি পার হবো তাই কোন প্যারা ছাড়াই একটি ফেরিতে উঠে পড়ি এখানে কোন বাসের সিরিয়াল দেওয়া লাগল না এতে আমাদের সময়টাও বেঁচে গেল।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location:
ফেরিতে উঠতে ভরপুর সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে গেলাম নদীর সৌন্দর্য বেশ ভালোলাগছিলো একটি দিকে যখন মেঘ কালো হয়ে এসেছিল তখন নদীর পানির কালার টা যেনো কেমন চেঞ্জ হয়ে গেল যা দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। আর এই নদীর পানি এই সময়ে দুটি কালারে দেখা যায় একটি হলো পদ্মা নদীর পানি আর একটু যমুনা নদীর পানি দুটি দুই কালারের প্রাণী দেখা যায় একে অপরের সাথে মিশে যায় না।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location:
এই সৌন্দর্যটা আমাকে অনেক মুগ্ধ করে এবং ভাবায় আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে আল্লাহ কত মহান কত শক্তিশালী একটি নদীর দুটি রঙের পানি প্রবাহিত হচ্ছে তারপরও এই দুটি পানি একে অপরের সাথে মিশে যাচ্ছে না। আমাদের ফেরি পার হতে 40 মিনিট সময় লাগে তারপর আমরা আবার বাইক রাইড শুরু করি। আমরা দীর্ঘ সময় বাইক রাইড পর নবীনগর পার হয়ে এসে এদিকে একটি শান্ত জায়গাতে কিছু সময় বিশ্রাম গ্রহণ করার জন্য সিদ্ধান্ত নেই এবং একটি ছায়াযুক্ত স্থানে কিছু সময় বিশ্রাম গ্রহণ করে তারপর আবার যাত্রা শুরু করি। ঢাকাতে প্রবেশ করতেই দেখা মেলে জ্যাম আর জ্যাম এর কারণে অসহ্য হওয়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য মোটরসাইকেল অনেক নিরাপদ একটি যানবাহন। এটাতে সময় নষ্ট খুব কম হয় অনেক জ্যাম কাটিয়ে আমরা বাসাতে পৌঁছায়। আমাদের আসতে সময় চার ঘন্টার মতো লেগে যায়। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে অন্য কোন গল্প নেই ধন্যবাদ সবাইকে।
স্বাদিন যানবাহনে করে আপনি সহসায় পৌঁছে গেলেন ঢাকায়। তবে মাঝেমধ্যে বিরতি নিয়েছেন, আপনি ঠিকই বলেছেন কোন যানজটে পড়তে হয় না নিজের ইচ্ছে মত নিজে ব্রেক নিলেন আবার ছুটলেন নিজের গন্তব্য। তবে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় মোটরসাইকেল হচ্ছে মরণফাঁদ। আমার মতে মোটর সাইকেলে লংড্রাইভে না যাওয়াটাই সবচেয়ে বেটার। যাইহোক আল্লাহর রহমতে গন্তব্যে পৌঁছেছেন এটাই শুকরিয়া আদায় করছি। তার সাথে আমাদেরকে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
সেটা ঠিক বলেছেন কিন্তু আমারতো মোটরসাইকেল নিয়ে দেশ ঘুরে দেখার ইচ্ছা
নিজের স্বাধীন যানবাহনে করে ঢাকাতে যাওয়া অনুভূতি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। সাথে চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য
নিজের একটি মোটরসাইকেল থাকলে আসলেই চলাফেরা করে অনেক শান্তি পাওয়া যায়। তবে আমি হাইওয়েতে মোটরসাইকেল চালানোর পক্ষে নই। কারণ ইদানিং প্রচুর মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট হচ্ছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাইওয়েতে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টে মানুষ মারা যাচ্ছে। আমার কাছে হাইওয়েতে মোটরসাইকেল চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়। যাই হোক শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে ঢাকায় পৌঁছান পেরেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। ভালোই লিখেছেন। ছোটখাটো কিছু ভুল আছে। সেগুলো সংশোধন করে নেবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন কিন্তু আমারতো বাইক নিয়ে দেশ ঘুরে দেখার ইচ্ছা ইনশাল্লাহ পূরণ করব
স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার জন্য মোটরবাইক এর কোন বিকল্প নেই। আমিও বাইকে করে সব জায়গায় ঘুরতে অনেক পছন্দ করি। ঢাকাতে অনেকবার বাইক নিয়ে গিয়েছি। শুনে খুবই ভালো লাগলো খুব সুন্দর ভাবে আপনি ঢাকাতে পৌঁছে গেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমিও ভাই বাইক নিয়ে ঘুরতে অনেক পছন্দ করি
তাহলে আর দেরি কেন কিছুদিন পরেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে তারপরেই একটা বাইক ট্যুর হয়ে যাক।
আমার অনেক ইচ্ছে আছে বাইক রাইড করে গ্রাম থেকে ঢাকা আসবো তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য এই শখটা পূরণ করতে পারতেছি না। আশা করি খুব তারাতারি লাইসেন্স হয়ে যাবে।
দ্রুত ড্রাইভিং লাইসেন্স করে করে ফেলুন তাইতো হয়ে যায়।
আসলে নিজে যদি একটা বাইক থাকে তাহলে কিন্তু খুবই স্বাধীনভাবে রাস্তা থেকে যাওয়া যায়। এছাড়া ঢাকার রাস্তায় যে জ্যাম তাতে রাস্তায় বসে থাকতে থাকতে দিন শেষ হয়। তবে আমি একটা কথা বলবো আজ কাল হাইওয়েতে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট হচ্ছে। তাই সব সময় সাবধানে এবং সতর্কতার সাথে মোটরসাইকেল চালানোর চেষ্টা করবেন।
ইনশাআল্লাহ ভাই।
স্বাধীনভাবে একটি যাত্রা করেছেন যেটা খুব উপভোগ করেছেন বুঝতে পারলাম। আর ঢাকা পৌঁছাতে আপনার মাত্র চার ঘণ্টা সময় লেগেছে ব্যাপারটা সত্যিই অনেক আশ্চর্যজনক। দিনটা একটু মেঘলা ছিল রোদ এর প্রকোপ কম ছিল যার কারণে আপনাদের যাত্রাটা আরো সুন্দর হয়েছে। সাবধানে থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় করি।
ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য
চলাফেরায় স্বাধীনতা মানে জীবনের সব স্বাধীনতা আপনি স্বাধীনপ্রিয় লোক তাই হয়ত এমনটা করেছেন আর দূরপাল্লার যাত্রা অনেকে ভাবে করতে চায়না আপনার সাহসের প্রশংসা করতে হয়।
বাইক নিয়ে ঘুরতে আমার অনেক ভালো লাগে । মতামত প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
যার যার জীবন তার তার স্টাইল। আপনারটা জেনে ভালই লাগলো।
নিজের যানবাহনে চড়ে ঢাকায় যাওয়ার অনুভূতি দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি। পাশাপাশি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোষ্ট উপহার দেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য