ভ্রমন|| মনি পার্ক ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া। ||
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- মনি পার্ক
- ০৯,জানুয়ারি ,২০২৩
- মঙ্গলবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আবারো হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। অনেকদিন হলো আপনাদের মাঝে ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করা হয় না ।তাই আজকে ভাবলাম আপনাদের মাঝে ঘুরাঘুরির কিছু গল্প শেয়ার করব। যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা অবশ্যই জানবেন আমি ঘোরাঘুরি করতে একটু বেশিই ভালোবাসি। সময় পেলেই এদিক সেদিকে ঘোরাঘুরি করি। তবে সবথেকে বেশি ভালো লাগে প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করতে।
কিছু কিছু জায়গা আছে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হলেও প্রকৃতির অনেক ছোঁয়া থাকে এরকম একটি জায়গা মনি পার্ক। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর যদি ধরেন কৃত্রিমভাবে তৈরি করা পার্ক টি প্রকৃতির মাঝে গড়ে উঠেছে এর সৌন্দর্যটা একটু ভিন্নভাবে উপভোগ করা যায়। আজকে যে পার্কের কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ,এটি পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত যেহেতু নদীর একটি ছোঁয়া আছে তাই এখানকার সৌন্দর্যটা একটু ভিন্ন রকমের।
প্রথমে এটার লোকেশন নিয়ে আলোচনা করা যাক। এটি অবস্থিত কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার পদ্মা নদীর তীরে। সব থেকে ভালো পরিচয় এটি হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশেই অবস্থিত।
কিভাবে যাবেন এবং কিভাবে গেলে সুবিধা হয় সেটা নিয়ে আলোচনা করব। এখানে যেতে হলে আমরা যদি কুষ্টিয়া থেকে যায় তাহলে প্রথমে মজমপুর আসতে হবে অথবা কুষ্টিয়া বাস টার্মিনালে। সেখান থেকে পাবনাকে আমি যেকোনো একটি বাসে উঠে পড়তে হবে কুষ্টিয়া থেকে আনুমানিক দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। সম্ভবত ১০০ টাকা ভাড়া নিবে আর আপনারা নামবেন লালন শাহ সেতু ঠিক আগে। সেখান থেকে অটো , রিক্সা অনেক কিছুই দাঁড়িয়ে থাকে একটাতে করে চলে যাবেন মনি পার্কে।
আমরা যেহেতু বাইক নিয়ে গিয়েছিলাম প্রথমে একটু রাস্তা চিনতে অসুবিধা হয়েছে। তবে বিভিন্ন জায়গাতে দিকনির্দেশনা দেয়া আছে বলেই আমরা এগোতে থাকি। এই প্রথমে এলাকাতে যাচ্ছি একটু ভয় ভয় লাগছে কারণ এলাকাটা অনেক নিরব ছিল এবং চারিপাশের গাছপালা অনেক বড় বড় মনে হচ্ছিল কোন পাহাড় এই রাস্তায় চলে এসেছি।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
সবুজ শ্যামলের ঘেরা রাস্তাটি বেশ ভালো লেগেছে তবে অপরিচিত রাস্তা হওয়ায় একটু ভয় ভয় লাগছিল। রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় মনি পার্কে যাওয়ার দিকনির্দেশনা দেখে আমরা মনি পার্কে যেতে সক্ষম হয়েছি। প্রথমে গিয়ে চোখে পড়ে তার দৃষ্টিনন্দন গেট সত্যি বেশ দারুন ছিল এবং পাশেই দেখা যাচ্ছে লালন শাহ ব্রিজ এবং হার্ডিঞ্জ ব্রিজ সাথে দেখা যাচ্ছে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এক ফ্রেমে এতগুলো জিনিস দেখতে বেশ ভালো লাগছিল।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
তারপর আমরা বাইকটা নির্দিষ্ট স্থানে পার্কিং করে এখন এগিয়ে যাচ্ছি মনি পার্কে প্রবেশের উদ্দেশ্যে। এর দৃষ্টিনন্দন গেটটি সবারই নজর কারবে। আশেপাশের পরিবেশটাও বেশ নিরিবিলি ছিল এমন নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে সবারই অনেক বেশি ভালো লাগবে। সামনে একটি স্থানে দেখা মেলে এই পার্কটির প্রতিষ্ঠাতা এবং কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার একটি ওয়াটার মার্ক। তারপর সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি ইনফরমেশন গুলো পড়ি এবং সাথে ছবি উঠিয়ে নিই।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
এখন আমাদের কেটে ভিতরে প্রবেশের পালা তাই আমরা আস্তে আস্তে এগোতে থাকি টিকিট কাউন্টারের দিকে। যেহেতু এটার কাজ এখনো চলমান তাই টিকিট কাউন্টার এখনো রেডি হয়নি সেজন্য ভিতরে একটি টেবিলে বসে টিকিট বিক্রি করছে। জন প্রতি ৩০ টাকা এবং বাইরে ২০ টাকার বাইকের জন্য একটি টিকিট ক্রয় করে আমরা ভিতরে প্রবেশ করি।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
ভিতরে অনেক ধরনের ফুল গাছ রয়েছে এবং বসে থাকার জন্য অনেক জায়গা আছে সাথে পাশে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। বিশেষ করে একই সাথে নদী ব্রিজ এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। পরবর্তী কাহিনী গুলো আপনাদের মাঝে অন্য কোন পোস্টে শেয়ার করব সেই পর্যন্ত সাথেই থাকুন।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।
ভেড়ামারা এই পার্ক সম্পর্কে এর আগে আমি শুনেছি কিন্তু সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি এখনো। তবে চেষ্টা করলে যে কোন মুহূর্তে এ জায়গায় ভ্রমণ করে আসা সম্ভব। যাইহোক পার্কের সুন্দর দৃশ্য আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে। আশা করি আরো কিছু দেখাবেন।
জি ভাইয়া একদিন সময় করে চলে আসেন বেশ ভালো একটি জায়গা। মতামত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ
প্রকৃতির ছোঁয়া থাকলেই সেই জায়গাটা অনেক সুন্দর হয়ে ওঠে। আর মনি পার্ক এবং আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে পার্কের ভেতরটা অনেক সুন্দর। যদিও আপনি ওখানে যাওয়ার লোকেশন বা ঠিকানা সব পরপর লিখে দিয়েছেন। তবে আমার কখনো যাওয়া হবে কিনা সন্দেহ আছে। কিন্তু দেখে অনেক মজা পেলাম আর কি। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
জি প্রকৃতির ছোঁয়া থাকলে সত্যি জায়গাটিকে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য