"বান্দরবানের পথে পথে || তমাতঙ্গী থেকে থানচি বাজার। "
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- তমাতঙ্গী হতে থামচি বাজার।
- ৩০,মার্চ ,২০২৪
- শনিবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আপনারা অবগত আছেন যে আমি ইতিমধ্যে বান্দরবান ভ্রমণ করেছি । বান্দরবান ভ্রমণের কিছু পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব তামাতঙ্গী হতে থানচি বাজার পর্যন্ত যাওয়ার সৌন্দর্য এবং ওখানকার কার্যক্রম। আমরা প্রকৃতি দেখার উদ্দেশ্যে বের হয়েছি অনেক সকালে সারাদিন এদিক সেদিকে ঘুরাঘুরি করে আমরা দুপুরের দিকে চলে যাব রেমাক্রিতে। আর আমাদের রেমাক্রি যেতে হলে প্রথমে থানচি বাজারে যেতে হবে ওখান থেকে অনেক ধরনের প্রসেস শেষ করে নৌকায় করে যেতে হবে। আরো অনেক গল্প আছে সেগুলো পরে শেয়ার করব আজকে আপাতত তমাতঙ্গী হতে থানচি বাজারে সৌন্দর্য উপভোগ করি।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমরা যখন থানচি বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা করি তখন ১১ টা বেজে কিছু সময় হয়েছে। আমরা চাইলে তমা টঙ্গী ভিউ পয়েন্টে আরেকটু সময় কাটাতে পারতাম কিন্তু আমাদের যে রেমাক্রি যেতে হবে। সেজন্য আর বেশি সময় নষ্ট না করে থানচি বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা করি। পাহাড়ি রাস্তার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি থানচি বাজারের উদ্দেশ্যে। পাহাড়ি উঁচু-নিচু রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় প্রকৃতি আপনাকে আপন মনে থাকবে তার নিজের সৌন্দর্য দেখার জন্য। আর আমি যেহেতু চাঁদের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম উঁচু নিচু রাস্তাটা অনেক বেশি উপভোগ করছিলাম। দূরে বড় বড় পাহাড় দেখা যায় আমরা রাস্তা দিয়ে ঘুরে ফিরে সেই পাহাড়ের উপরে উঠবো।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
তমা তঙ্গী হতে থানচি বাজারে দূরত্ব 5 কিলোমিটার হবে কিন্তু এই আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে যেতে একটু সময় বেশি লাগে। তবে আমরা যে গাড়িতে গিয়েছিলাম সে অনেক অভিজ্ঞ আমাদের খুব দ্রুত পৌঁছে দেয় থানচি বাজারে। আমাদের এখন অনেক কাজ বাকি ভোটার আইডি কার্ডের আরো দুইটা করে ফটোকপি লাগবে। কিন্তু আমার কাছে ছিল একটি তাই আবার আরেকটি ফটোকপি করার জন্য খুজতেছি দোকান। রেমাক্রি যেতে হলে অবশ্যই গাইড নিতে হবে। আমরা আগে থেকে গাইড ঠিক করে রেখেছিলাম থানচি বাজারে গিয়ে আগে তার সাথে দেখা করি। কারণ রেমাক্রিতর যেতে হলে অনেক প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হয় আর গাইড বাধ্যতামূলক।অবশ্যই খুঁজতে খুঁজতে একটি দোকান পেলাম সেখানে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি করে নিলাম।আমাদের এখানে যেতে যেতে দুপুর হয়ে গিয়েছিল তাই দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য একটি রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম।ততে সময়ে গাইড আমাদের সকল কাগজ পাতি রেডি করে ফেললো
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমাদের এখন পরবর্তী কাজ হল থানাতে গিয়ে আমাদের ডকুমেন্টগুলো জমা দেওয়া।খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমাদের ব্যাগগুলো নিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম গাইড এর পিছে পিছে থানার উদ্দেশ্যে। এটা যেহেতু পাহাড়ি এলাকায় এখানে হাঁটাহাঁটি করতে অনেক বেশি কষ্ট হয় তারপর ছিল অনেকগুলা ব্যাগ। এই ব্যাগ নিয়ে হাঁটতে আছে হাঁটতেই আছি তবুও থানার দেখা নেই। থানচি উপজেলার থানা আমাদের এখানে গিয়ে ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে হবে এবং সেখান থেকে অনুমতি নিতে হবে। এখানে অবশ্য সবারই অনুমতি দিয়ে দেয়।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
অবশেষে অনেক কষ্টে পাহাড় বেয়ে বেয়ে থানাতে পৌঁছালাম। ওইখানে গিয়ে দেখি আরো মানুষের ভিড় জমে আছে সবাই পর্যটক। সবাই প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে এসেছে। আমরাও একটি পাশে দাঁড়িয়ে থাকলাম আমাদের গাইড গিয়ে আমাদের ডকুমেন্টগুলো থানাতে সাবমিট করল। কিছুক্ষণ পর একটি মেয়ে পুলিশ অফিসার আমাদের সবাইকে একটি স্থানে দাঁড়াতে বলল। তারপর সে তার মোবাইল ফোন বের করে আমাদের সবার একটি ছবি তুলে রাখলো।অবশেষে আমাদের এখানকার কাজ শেষ আমাদেরকে এখন যেতে হবে নৌকার ঘাটে।এই কাহিনীগুলো আপনাদেরকে পড়ে শেয়ার করব।আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে অন্য কোনো গল্প নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।
তামাতুঙ্গী থেকে থানচি যাওয়ার রাস্তাটা অনেক সুন্দর ছিল। বিশেষ করে থানায় যেয়ে সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম। থানার পরিবেশটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যদি এখানে উঠতে অনেক কষ্ট হয়েছিল। ওঠার সময় সামনের কিছু দৃশ্য অনেক আকর্ষণীয় ছিল। থানার গেটের সামনে সুন্দর কিছু জিনিস দাঁড়িয়ে ছিল যা সবাইকে মুগ্ধ করেছে। ধন্যবাদ মামা সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য
থানাতে যাওয়ার সময় পরিবেশটাও সুন্দর ছিল এবং দারুন দারুন কিছু জিনিস দেখেছিলাম। সব মিলিয়ে বেশ মজা করেছি। ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য
বান্দরবানের আঁকাবাঁকা রাস্তাগুলো আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। সেই সাথে থানচি থানা পাহাড়ে হওয়ায় উপরে উঠতে তো সবাই হাপিয়ে যাচ্ছিল। পোষ্টের মাধ্যমে পুরনো স্মৃতিগুলো যেন আবার ঝালাই হয়ে যাচ্ছে হা হা হা।
আসলেই অনেক বেশি কষ্ট হয়েছিল আমাদেরকে উঠতে ব্যাগগুলো বেশ ভারী ছিল। ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য
বান্দরবানের পথে পথে দারুণ একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন বোঝাই যাচ্ছে। বিশেষ করে তামা তুঙ্গী গিয়ে এই টাকা অসুল হয়ে গিয়েছিল। তমাতুঙ্গী অনেক বেশি সুন্দর ছিল চারিদিকে পাহাড় আর যেখানে আমরা দাঁড়িয়েছিলাম সেটাকে মনে হয়েছিল কোন এক পাহাড়ের ঢাল, যাইহোক থানচি বাজারে গিয়েও আমরা অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। আপনার কাটানো মুহূর্তটা আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বান্দরবানের কাটানো মুহূর্তগুলোই অসম্ভব সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য
আপনি একের পর এক বান্দরবান ভ্রমণের খুব সুন্দর কিছু মুহুর্ত শেয়ার করে আসছেন৷ আজকেও খুব সুন্দর একটি পর্ব শেয়ার করেছেন৷ আজকের এই তমাতঙ্গী থেকে থানচি বাজার এর খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন৷ খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার মাধ্যমে এখানকার সকল সৌন্দর্য আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
পরবর্তী পোস্টগুলোতে বান্দরবানের গহীনের সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা করব। ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য
বাহ! বেশ ভালো৷ বান্দরবান এর গহীনের সৌন্দর্য দেখার আশায় রইলাম।
চাঁদের গাড়ি গুলোতে করে পাহাড়ি রাস্তায় খুব সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। থানার পরিবেশটা খুবই সুন্দর। আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো শেষ করে অন্য আরেকটি জায়গায় যাবার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখতে পেরে ভালো লাগলো। পরবর্তী পোস্ট দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
থানার পরিবেশটা সুন্দর কিন্তু উঠতে অনেক বেশি কষ্ট হয়েছিল। ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য
বান্দরবনের রাস্তা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ গুলো দেখলেই মন শান্ত হয়ে যায়। সুমন ভাইয়ের সব গুলো বান্দরবনের পোষ্ট পড়েছি। আপনাদের এই জার্নিটায় আমি অনেক কিছু দেখেছি ও শিখেছি। ধন্যবাদ।
সুমন ভাই তো আগে আগে পোস্ট করে শেষ করে ফেলেছে এখন আমাদের পালা। আসলেই অনেক বেশি সুন্দর প্রকৃতি। ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য