বান্দরবানের পথে পথে||নীলগিরির উদ্দেশ্যে যাত্রা ||
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- বান্দরবান ভ্রমন
- ০৫,মার্চ ,২০২৩
- মঙ্গলবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এই তো কিছুদিন হল বান্দরবান ভ্রমণ শেষ করে বাসায় ফিরেছি। বান্দরবান ভ্রমণের দিনগুলো অসম্ভব সুন্দর ছিল। বান্দরবান ভ্রমণের গত পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম নীলাচলের সৌন্দর্য। সেদিন এর মত ঘোরাঘুরি শেষ করে আমরা রেস্ট করার জন্য রুমে চলে এসেছিলাম আমাদের পরবর্তী দিনের গন্তব্য নীলগিরি ও থানচি বাজার হয়ে রেমাক্রি গিয়ে রাত্রি যাপন করব। পর্যায়ক্রমে আমি বান্দরবানের সৌন্দর্য আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। অবশ্য সেদিন রাতে আমরা বান্দরবান শহরটাকে ঘুরে দেখার জন্য বের হয়েছিলাম। শহর ঘুরে দেখার গল্পটা অন্য একদিন শেয়ার করব আজকে চলুন বান্দরবানের সৌন্দর্য দেখি।
যেহেতু আমাদের গন্তব্যটা অনেক দূর এবং অনেকটা পথ জার্নি করতে হবে তাই আমরা রাত্রি না থেকে দ্রুত ঘুমিয়ে যাই ।কারণ সকাল পাঁচটার দিকে উঠে আমাদেরকে যাত্রা শুরু করতে হবে। রীতিমতো আমরা সবাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে বাইরে চলে আসি। আর আমাদের গাড়ি আগের দিন রাতে ঠিক করা হয়ে গিয়েছিল। আমাদেরকে নিয়ে যাবে নীলগিরি তারপর থামচি চলে যাব। দুই দিনের জন্য গাড়ি রিজার্ভ করে রেখেছিলাম যার ভাড়া গুনতে হয়েছিল ১২০০০ টাকা। সকালে বের হয়ে দেখি কুয়াশাচ্ছন্ন চারিপাশ বেশ শীত লাগছে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমরা হোটেল থেকে বাইরে বের হয়েই দেখি আমাদের জন্য গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ভাই রাস্তায় অন্যতম একটি মজা হল চাঁদের গাড়িতে ঘুরে বেড়ানো এবং পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা। সেজন্য আমি দ্রুত চাঁদের গাড়িতে উঠে একদম সামনে চলে যাই যাতে এখানে দাঁড়িয়ে ভালোভাবে প্রকৃত উপভোগ করা যায়। সচরাচর বান্দরবান শহর থেকে যেসব গাড়ি নীলগিরি যায় সেগুলোর ভাড়া একদম ফিক্সড । আমরা যে গাড়িটা ভাড়া করেছিলাম নীলগিরি যাওয়ার জন্য অন্য রাস্তা ধরে যাবে। কারণ এখানকার সমিতি আছে তাদের গাড়িগুলো শুধু এদিক দিয়ে নীলগিরি যায় এবং ভাড়া ফিক্সড হয়ে থাকে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
তবে ভালোই হয়েছে আগেরবার যখন বান্দরবান এসেছিলাম তখন যেদিক দিয়ে নীলগিরি গিয়েছি এবার পুরা ভিন্ন রাস্তা দেখতে দেখতে যেতে পারবো। বান্দরবানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বলুন তো কার না ভালো লাগে। সকালের শীতল হাওয়া পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা এ যেন অ্যাডভেঞ্চার অনেক বেশি ভালো লাগছিল এমন পরিবেশে ঘুরে বেড়াতে। কিছু কিছু মুহূর্ত আছে যা টাকা দিয়েও কিনা সম্ভব না। সবকিছুর যাচাই টাকা দিয়ে হয় না। কেউ কেউ আছে টাকা ফুরিয়ে যাবে জন্য ভ্রমণ করে না।
কিন্তু ভ্রমণে এসেছে মজাটা পাবো সেটা টাকা গুছিয়ে তো লাভ নেই। ভিন্ন রাস্তা দিয়ে কিছু পথ এগুনার পরে একটি বিজেপি চেকপোস্ট এর দেখা মেলে সচরাচর সকালে এ রাস্তা দিয়ে কেউ যাতায়াত করে না বিশেষ করে টুরিস্ট। তাই আমাদের গাড়িটা দেখে তারা দাঁড়াতে বলল এবং আমাদের আইডেন্টিটি রেখে দিল। অর্থাৎ আমাদের কাছে যেসব আইডি কার্ডের ফটোকপি ছিল সেখান থেকে একটি করে নিয়ে নিল। বান্দরবান ভ্রমণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পাঠ হল ভোটার আইডি কার্ডের ৪ থেকে ৫ কপি ফটোকপি রাখা। চেকপোস্ট পার হওয়ার পর অপরূপ সৌন্দর্যের দেখা এইমাত্রই সূর্যকে দিয়েছে পাহাড়ের চূড়া থেকে। মনে হচ্ছে সূর্যটা পাহাড়ের ওই পাশেই লুকিয়ে ছিল।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
সকালে স্নিগ্ধতায় নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। পাহাড়ের সকাল যে এত সুন্দর হয় এর আগে কখনো দেখা হয়েছিল না। যখন উঁচু পাহাড়ে উঠছে চারপাশটা নিচু এবং সূর্যের আলো পতিত হয়ে অপরূপ সৌন্দর্যের সাক্ষী হয়েছে আমরা। অসম্ভব সুন্দর মুহূর্তগুলো আমরা পার করেছি এই সকালে। শীতের মধ্যেও আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সকালে সৌন্দর্য উপভোগ করছি। সূর্যের এই উদয়টা কখনো ভুলবার নয় আর যেহেতু দাঁড়িয়ে ছিলাম চাঁদের গাড়িতে ফাঁকা ফাঁকা রাস্তা পাড়ি দেওয়ার সময় তেমন বেশি ছবি উঠাতে পারিনি। যেসব স্থানে পানি ছিল অর্থাৎ ছোট পুকুর মত ছিল সেই পানি দিয়ে ধোঁয়া উঠছিল দেখতে অসম্ভব দারুন লাগছিল। পাহাড়ের রূপ বিভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন রকমের এই সৌন্দর্য দেখে নিজেকে হারিয়ে ফেলি প্রকৃতির মাঝে। এইতো সকাল থেকে অনেকটা পথ চেয়ে আনন্দ হল ছোট একটা ব্রেকের প্রয়োজন। হঠাৎ করেই একটি ছোট জায়গা পালাম সেখানে কিছু দোকানপাট ছিল আমরা সেখানে একটি ব্রেক নেই।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
আমরা যেহেতু সকালের নাস্তা করিনি তাই হালকা কিছু খাবারেরও প্রয়োজন আছে আর যেহেতু শীতের সকাল তাই প্রথমেই আমরা রং চা অর্ডার করি। রং চা এই ওয়েদারের সাথে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। তারপর ছোলা আর মুড়ি খেলাম সকালের নাস্তাটা মোটামুটি ভালই হয়েছিল। ওইখানে কিছু পাহাড়িদের কাজের জন্য পাহাড়ি দা ছিল আমরা সেগুলো নিয়ে অনেকগুলো ফটোশুট করি। এমন পরিবেশে ঘুরতে এসেছি ফটোশুট না করলে তো আর হয় না। তাইতো সবাই একে একে ফটোশুট করি। তারপর আবার যাত্রা শুরু করি নীলগিরির উদ্দেশ্যে। তবে দুঃখের বিষয় হল আমাদের নীলগিরি যাওয়া হয়ে ওঠেনি। নীলগিরি না যাওয়ার কাহিনী গুলো পরবর্তী পোস্টে আলোচনা করব। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।
নিচের ছবিতে একদম গুন্ডা গুন্ডা লাগছে হা হা হা।
সকাল বেলায় পাহাড়ি রাস্তায় চাঁদের গাড়ি ছাড়া পুরোপুরি অ্যাডভেঞ্চারের ফিল নেওয়া যায় না। তাছাড়া পাহাড়ের উপর থেকে সূর্যের দৃশ্যটা অন্যভাবে উপভোগ করা যায় তারপর যদি সেটা শীতের সকাল হয় তবে তো কোন কথাই নেই।
আমি তো গুন্ডাই। পাহাড়ের প্রকৃতিই আসলেই মনমুগ্ধকর। ধন্যবাদ মতামত প্রকাশের জন্য
সেদিনের সেই কথা এখনো মনে পড়লে কাটা দেয়, খুব সকালবেলা শীতের মধ্যে ঘুম থেকে উঠে নীলগিরির উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলাম কিন্তু আফসোসের ব্যাপার হচ্ছে নীলগিরিত আর যেতে পারলাম না। নীলগিরিতে না যাওয়ার পিছনে যদিও বিশাল এক কাহিনী রয়েছে যাই হোক তবে পথিমধ্যে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম পাহাড়ি রাস্তায়। এরকম সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। যাই হোক পরবর্তী গল্প পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
তোমার তো গায়ে কাটা দিবে কারণ তুমি যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে যখন সুস্থ হয়েছো বেশ ভালো লেগেছিল কিন্তু ঘুরাঘুরি করতে।
নীলগিরির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার মাধ্যমে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন৷ আসলে বাংলাদেশের অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে যা আমরা এখনো ভ্রমন করতেও পারিনি। অনেকেই অনেক জায়গায় বসবাস করার কারণে সবগুলো জায়গা ভ্রমন করা হয়নি৷ তবে আপনি যেভাবে ধাপে ধাপে আপনার ভ্রমণের পর্বগুলোর মাধ্যমে বান্দরবানে যাওয়ার পথের যে সকল সৌন্দর্যগুলো রয়েছে সেগুলোর অপরূপ সৌন্দর্য আপনার পোস্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছেন তা দেখে অনেক শান্তি লাগছে৷ অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ও মুহূর্ত আপনি শেয়ার করে যাচ্ছেন৷ পরবর্তীতে আরো সুন্দর সুন্দর কিছু মুহূর্ত দেখার আশায় রইলাম৷
বাংলাদেশের অনেক অনেক সুন্দর জায়গা আছে যেগুলো আমরা এখনো দেখতে পারিনি। বিশেষ করে বান্দরবানটা অনেক বেশি সুন্দর। মতামত প্রকাশের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ