স্কুল জীবনে পালন করা 21শে ফ্রেব্রুয়ারি স্মৃতি ||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য।
আজ -০৭ ফাল্গুন| ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | রবিবার| শীতকাল|
শহীদ মিনার
Device : Realme 7
What's 3 Word Location : https://w3w.co/tenseness.groovy.charge
আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব আমার পুরনো কিছু স্মৃতি যখন মাধ্যমিক বিদ্যালয় লেখাপড়া করতাম তখনকার কিছু সৃতি যা কখনো ভুলবার নয়। স্মৃতিটা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে। স্কুল লাইফে একুশে ফেব্রুয়ারি মানে আনন্দের একটি দিন সেদিন মানে অনেক কিছু করার প্লান। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পায়ে ফুল নিয়ে হেঁটে হেঁটে স্কুলে আসার মজাটা দারুন ছিল। আর ফুল জোগাড় করতে যে কত কিছুই করতে হতো সেটা তো সবারই জানা বিশেষ করে যারা আমরা গ্রামে বসবাস করি তারা এই বিষয়টি বেশি উপভোগ করে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে পুরনো স্মৃতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক।
২০ শে ফেব্রুয়ারি দুপুর দুইটার মধ্য স্কুল ছুটি হয়ে যেত। যারা সাধারণত দশম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রী থাকে তারা একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে স্কুলের প্রোগ্রামটি পরিচালনা করে। তো স্কুল ছুটি শেষে বাসায় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে শীতের কাপড় পড়ে স্কুলে চলে আসতাম। ফেব্রুয়ারি মাসে মোটামুটি শীত থাকে যার কারণে শীতের কাপড় সাথে নিয়ে বের হতে হয়। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে দৈর্ঘ্য রাত পর্যন্ত শহিদ মিনারে বিভিন্ন আনুসাঙ্গিক কাজ করতে হয়। তবে বন্ধুদের সাথে এক হয়ে যে কোন কাজ করতে বেশ মজা লাগে। বন্ধুদের মধ্যে কেউ শহীদ মিনার সাজানোর কাজে ব্যস্ত থাকে,কেউ রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকে আবার কেউ ফুল সংগ্রহ করতে ব্যস্ত থাকে। মজার বিষয় হচ্ছে আমি গ্ৰামের স্কুলে পড়তাম আর তাই শহর থেকে ফুল কিনে নিয়ে আসা সম্ভব হতো না। সন্ধ্যার পর বন্ধুরা এক দল একসাথে ফুল সংগ্রহ করতে যেতাম।গ্ৰামের প্রতিটি বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ চাষ করা হতো তার মধ্যে গাঁদা ফুল অন্যতম। আর সবার বাড়িতে গিয়ে গিয়ে ফুল নিয়ে আসতাম। প্রথমে গিয়ে তাদের কাছে ফুল চাইতাম তারা হয়তো কিছু দিত আর কেউ কেউ দিতে চাইত না তাদের বাড়িতে গভীর রাতে গিয়ে ফুল চুরি করে নিয়ে আসা হতো বেশি। আর রাতের বেলায় বন্ধুরা সবাই একসাথে বের হলে যে কত ধরনের ফাজলামো হয় সেটা না বেরোলে কেউ বুঝতে পারবে না।আর এই ধরনের ফাজলামো সাধারণত আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি তারা বেশি করে থাকি। বিশ ফেব্রুয়ারি রাতে আমরা যখন ফুল সংগ্রহ করতে বের হতাম ।তখন সবাই ঘুমিয়ে যেত আর আমরা ফুল গাছের কাছে গিয়ে গাছ থেকে ফুল গুলো তুলে নিয়ে আসতাম।
তখন এই বিষয়গুলো অনেক মজা লাগতো আর এখন এ বিষয়গুলোর কথা মনে পড়লে ভাবি ওই সময় যে কি পাগলামো করেছি। এভাবে সারারাত ধরে ফুল তুলতাম এবং এখন সাধারণত খেজুরের গাছ থেকে রস বের করা হয় তাই রাতের বেলায় খেজুরের গাছ থেকে রস চুরি করা হতো। আসলে সেই বয়সটায় ছিল ফাজলামো করার তখন এ বিষয়গুলো অনেক বেশি মজা পেতাম। সারারাত ধরে ফুল সংগ্রহ করে ফুলের ডালা সাজানোর জন্য কাজে লেগে পড়তাম। আজ সকালে এই ফুলের ডালা গুলো নিয়ে খালি পায়ে বন্ধুরা সবাই মিলে স্কুলে চলে আসতাম শহীদ মিনারে ফুলের ডালা দেওয়ার জন্য। শহীদ মিনারের ডালা দেওয়া পর্ব শেষ করে স্যার এবং স্কুলের সবাই মিলে রেলিতে অংশগ্রহণ করতাম। আর এই রেলিতে অনেক মজা হত। এখনও মাঝে মধ্যে মনে পড়ে সেই পুরোনো দিনের কথা কতইনা পাগলামো করেছি আমরা আর তখনকার সময় টা ছিল অনেক মজাদার এখন অবশ্য ওই সময়গুলো অনেক মিস করি। এখন আর সময় গুলো মিস করে কি হবে সময়গুলো তো আর ফিরে পাওয়া যাবে না।
এই ছিল আমার ছোট্ট স্মৃতি। আজ এ পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।
স্কুলজীবনে পালন করা প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান কোন দিনই ভুলে থাকা যায় না, আর চেষ্টা করলেও এটি ভোলা যায় না। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করার স্মৃতিকথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার এই স্মৃতি কথাটি পড়ার পরে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
আসলে স্কুল জীবনের স্মৃতি কখনো ভোলা যায়না। প্রায় সব স্কুলে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করা হতো। একুশে ফেব্রুয়ারি আসলই,কোথায় ফুল পাওয়া যায়।খালি পায়ে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়া।আপনার পোস্ট পড়ে, পুরানো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে
ঠিক বলেছেন স্কুল লাইফের অনেক স্মৃতি আছে যা কখনো বলা সম্ভব না। স্কুল লাইফের থাকতে প্রতিনিয়ত একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করা হতো। এখন আর সে ভাবে পালন করা হয় না আর মজা হলো হারিয়ে গেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য।
জি ভাই একদম ঠিক কথা বলেছেন একুশে ফেব্রুয়ারীতে আমরাও ঠিক এই ভাবে উদযাপন করতাম । যাই হোক আজকের রাত পেরোলেই কালকে একুশে ফেব্রুয়ারি আর বাঙালি জাতির কাছে এই দিনটি খুবই স্মৃতি শীল। কালকে আমাদের ওমর ভাইদের প্রতি দোয়া করব এবং তাদেরকে শুভেচ্ছা জানাবো ধন্যবাদ ভাই আগাম আপনি একুশে ফেব্রুয়ারির পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জন্য অনেক স্মরণীয় একটি দিন। আমাদের উচিত ভাষা শহীদদের জন্য দোয়া করা। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামত প্রকাশের জন্য।
সত্যি ভাইয়া স্কুল জীবনের সেই সৃতি গুলো কখনো ভুলার মতো নয়।ভাইয়া আমিও আপনার মতো ২০ তারিখ রাতে আমার ছোট ভাই কে কত যে ফুল চুরি করেছি🤭।আসলে কারো কাছে ফুল চাইলে দিতে চাই তো না তাই আর কি।তবে ভাইয়া এই দিন গুলো অনেক ভালো ছিল অনেক মিস করি 😭।
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পুরনো দিনের সৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। আপনার জন্য অনেক দুআ ও শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
যাক শুনে ভালো লাগলো আপনি ওই সময় ফুল চুরি করেছেন এটা আসলে অনেক মজার একটি বিষয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার গঠনমূলক মতামত প্রকাশ করার জন্য।
বলবেন না কাউকে ভাইয়া🤭🤭
আচ্ছা ঠিক আছে🙄🙄
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি...............
আপনার পোস্টের শহীদ মিনারটি দেখেই গানটি গাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে। আজ একুশে ফেব্রুয়ারি আর এই দিনের জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি অন্তরের অন্তস্থল থেকে। আপনার মত আমারও স্কুল জীবনের একুশে ফেব্রুয়ারির অনেক স্মৃতি মনে গেঁথে আছে। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন প্রভাতফেরির সময় স্কুলের সকল শিক্ষকসহ খালি পায়ে হেঁটে শহীদ মিনারে ফুল দেবার স্মৃতি আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। আপনার পোষ্টটি পড়ে খুব সহজেই মনে পড়ে গেল সেই সব কথা। পুরানো সেই স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দেবার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা রাখছি।
আসলে ভাইয়া একুশে ফেব্রুয়ারি মানে বাঙালি ভাষাভাষীদের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। যখন ইস্কুল লাইফের ছিলাম তখন অনেক স্মৃতি জমেছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।
একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের প্রত্যেকের জীবনে উল্লেখযোগ্য একটি দিন। একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে আমাদের সবারই ছোটবেলার অনেক স্মৃতি রয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারির আগে রাত্রে আমরা ফুল সংগ্রহ করতাম কেউ আবার বাড়িতে কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার বানাতাম। আসলে একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে ছোটবেলার স্মৃতি গুলো ভুলে যাওয়ার নয়। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সব স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। শুভকামনা রইল।
জি ভাইয়া ঠিকই বলেছেন একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য অনেক মূল্যবান একটি দিন। বিশেষ করে যখন ছোট ছিলাম তখন এই দিনগুলো অনেক ইনজয় করতাম অনেক স্মৃতি রয়েছে এই দিনগুলো নিয়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ে আমার স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল। আপনার স্কুল জীবনের কাহিনী সাথে আমার স্কুল জীবনের কাহিনী অনেকটাই মিলে গিয়েছে। আমরাও রাতের বেলায় ফুল সংগ্রহ করতে যেতাম। আমি এখনো স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো খুব মিস করি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
যাক শুনে ভালো লাগলো আমার স্মৃতির সাথে আপনার স্মৃতির অনেক মিল রয়েছে। সে সময়টা প্রায় সব ছেলে মেয়েরাই একই ধরনের কাজ করে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।
আপনার পোস্টটি পড়ে ভাই স্কুল জীবনের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। যেগুলো মনে হলে অনেক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। কতই না সুন্দর ছিলো তখনকার দিনগুলো।একুশে ফেব্রুয়ারি, 16 ডিসেম্বর,26 শে মার্চ এসব বিশেষ দিন গুলোর অপেক্ষায় থাকতাম সব সময়।শুভকামনা আপনার জন্য ভাই এগিয়ে যান।
জি ভাইয়া স্কুল জীবনে আমাদের অনেক স্মৃতি রয়েছে যা হঠাৎ করে মনে পড়ে যায়। একুশে ফেব্রুয়ারীতে অনেক স্মৃতি জমা হয়েছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।
স্কুল জীবনে পালন করা 21শে ফ্রেব্রুয়ারি স্মৃতি গুলো সত্যি মনে রাখার মতো যখন একুশে ফেব্রুয়ারির আগের দিন রাত্রে ফুল যোগানের কাজে ব্যস্ত থাকতাম এই জিনিসটা খুবই ভাল লাগত আপনার অনুভূতি প্রায়ই আমার অনুভূতির মতই খুব সুন্দর লিখেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য
সত্যি ওই সময়টায় বেশি মজার ছিল যখন আমরা রাতে ফুল জোগানোর জন্য বের হতাম। সকালে যখন ফুল দিতে আসতাম সেদিনটা অনেক মজার ছিল অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।