আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণ পর্ব -৫
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার , নভেম্বর ১/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। ইতিপূর্বে আমি আপনাদের মাঝে আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণের চারটা পর্ব শেয়ার করে ফেলেছি। সে পর্বগুলোতে আমি আমার দেখা আনছো কি নীলকুঠির বিভিন্ন জিনিসের বিবরণ দিয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুবই ইন্টারেস্টিং একটা জিনিস নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। যে জিনিসটার নাম আপনারা অনেকেই লেখাপড়ার মাধ্যমে জেনেছেন। কিন্তু আমি জানিনা প্রত্যেকের এই জিনিসটার দেখার সৌভাগ্য হয়েছে কিনা। আপনারা যারা নবাব সিরাজউদ্দৌলার ইতিহাস পড়েছেন তারা হয়তোবা অনেকেই জানেন ইংরেজদের শাসনামলে ইংরেজরা বাংলায় নীল চাষ করত। কিন্তু আপনারা কি বলতে পারেন সেই নীল বৃক্ষটি আপনারা কোনদিন দেখেছেন কিনা। হ্যাঁ আজকে আমি আপনাদের মাঝে সেই নীল বৃক্ষ নিয়েই কিছু কথা বলতে চলেছি।
আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণের মাধ্যমে আমার সেই নীল গাছ গাছ টি দেখার সুযোগ হয়েছে। পুরনো দিনের ইতিহাস বর্তমান যুগের মানুষের মাঝে তুলে ধরার জন্যই মূলত এই গাছটি এখন পর্যন্ত আমঝুপি নীলকুঠিতে রয়েছে। আমরা অনেকেই এই নীল গাছের কথা ইতিহাসে পড়েছি কিন্তু সত্য কথা বলতে আমাদের সবার এটা দেখার সুযোগ হয় না। মূলত আধুনিক যুগের মানুষদেরকে সেই গাছটিকে সরাসরি দেখার জন্যই মূলত এখন পর্যন্ত রেখে দেয়া হয়েছে এখানে।
এই নীল গাছটি অনেকটা সজিনা গাছের মতো হয়ে থাকে। পাতাগুলো অনেকটা সজিনা পাতার মতই। কিন্তু আকৃতির দিক থেকে গাছটি সজিনা পাতার মতো এতটা বড় হয় না। আমার দেখা নীল গাছ গুলো আকৃতিতে খুব একটা বেশি লম্বা ছিল না।
আপনারা যদি এই ছবিটি একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে আপনারা গাছে সেই নীল ফল দেখতে পাবেন । ফলটি আকৃতিতে অনেকটা ছোট হবার ফলে আমি এটা মাইক্রো ক্যামেরা দিয়ে ধারণ করেছে। হয়তোবা এই ফলটি আরো বড় হয় আমি যে সময় এখানে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম সে সময় এটা দেখতে অনেকটাই ছোট ছিল। ছোট থাকার পরেও আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য মূলত মাইক্রো ক্যামেরা দিয়েই এটা ধারণ করেছি।
নীল গাছের কাছেই একটা বসার জায়গা রয়েছে। যেখানে আমরা বসে বেশ কিছু ছবি ধারণ করলাম।
আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা হয়তোবা আজকে অনেকেই প্রথমবারের মতো নীল গাছ দেখতে পেলেন। আপনারা যদি কেউ এর আগে কোন সময় নীল গাছ দেখে থাকেন তাহলে তা আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর যদি আমার পোষ্টের মাধ্যমেই প্রথম নীলগাছ দেখে থাকেন সেটাও আমাকে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আমার এই আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণের পোস্টগুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগছে তা অবশ্যই আমাকে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মাধ্যমে।
শ্রেণী | আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণ পর্ব -৫ |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | আমঝুপি,গাংনী, মেহেরপুর, বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/breastfeeding.glassware.repurpose |
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
ভাইয়া নীল কুঠি বলে কি সেখানের সব গাছ নীল এমনকি ফল পর্যন্ত নীল। এই নীলের বাহার দেখে একটু অবাক হয়েছি। তবে আপনি আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণের সাথে সেই জায়গার খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন।এমনকি খুব সুন্দর কিছু অবাক করার মতো গাছের ফটোগ্ৰাফিও করেছেন। ধন্যবাদ ভ্রমণের এত সুন্দর মুহূর্তও শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বর্তমান সময়ে এই কাজগুলো দেখতে পাওয়া যায় না বললেই চলে
আপনি ঠিকই বলেছেন আপনার দৌলাতেই আজ জীবনে প্রথমবারের মতো নীল গাছ দেখলাম। এটা আমার কাছে অনেকটা সৌভাগ্যের এবং আশ্চর্যের।আপনার এই পোস্টটা স্কিপ করে গেলে হয়তো এই সৌভাগ্য আমার হতো না। সত্যিই বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট। তবে নীল গাছের ফল গুলোও দেখছি নীল। হা হা হা..
এটা জেনে ভালো লাগলো যে আমার পোষ্টের মাধ্যমেই আপনি প্রথম নীলগাছ দেখতে পেলেন
জি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই প্রথম নীল গাছ দেখতে পেলাম।এই নীলের জন্যেই এক সময় বাংলার মানুষকে কত অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। দেখে মনে হল এমন গাছ আমাদের এলাকায় অনেক দেখেছি। ধন্যবাদ নীল গাছ দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
তাহলে তো ভালোই হলো গাছটির সাথে মিলিয়ে নিতে পারলেন
আপনার পোস্ট দেখে ইতিহাসে পড়া নীল বিদ্রোহর কথা মনে পড়ে গেলো। নীলগাছ আমি কখনও দেখি নি। এই প্রথম দেখলাম। সত্যিই সজনে গাছেরমতই দেখতে। খুব ভালো লাগলো ছবিগুলো দেখে এবং আপনার লেখা পড়ে।
আমিও কোন সময় নীল গাছ গুলো দেখেছিলাম না এখানেই প্রথম দেখতে পেয়েছি