নতুন বছরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিছু পরিবর্তন
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার , ফেব্রুয়ারি ৩/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। দেখতে দেখতে আরো একটা নতুন বছর আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে গিয়েছে। আর নতুন বছর মানে এই নতুন কিছু সংযোজন এবং পুরাতন ভুলত্রুটিকে সংশোধন করে নেয়া। আপনারা হয়তোবা জানেন আমাদের স্কুলটি একটা ক্যাডেট মুখে স্কুল যার কারণে আমরা চেষ্টা করি সব সময় আমাদের স্কুলের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে সকল বিষয়ে পারদর্শী করে গড়ে তুলতে। সেই চিন্তা ধারাকে সফল করার লক্ষ্যে আমরা এবার বেশ কিছু পরিবর্তন আমাদের কার্যক্রমের মধ্যে নিয়ে এসেছি
আপনারা হয়তোবা এর আগেকার আমার পোস্টগুলো দেখে জেনে থাকবেন যে আমরা প্রত্যেক সপ্তাহে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতাম। কিন্তু সরকারিভাবে আমাদের দেশে শুক্রবার এবং শনিবার ছুটি থাকার কারণে সেই নিয়মের ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। এখন থেকে আমরা প্রত্যেক এক সপ্তাহ পরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবারে আয়োজন করব।
আর ওই যে বললাম আমরা ক্যাডেট মুখি এভাবে আমাদের স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনা করি, আসলে ক্যাডেট এর সেই সকল শিক্ষার্থীদের এই বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হয় যারা সকল বিষয়ে পারদর্শী। আর সকলকে পারদর্শী করে গড়ে তোলার জন্য এই ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এর মধ্য দিয়েই তারা তাদের মনের মধ্যে কার ভয় ভীতি দূর করতে পারে। আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে যে সকল ছাত্র-ছাত্রী বেশি অংশগ্রহণ করে তারা আস্তে আস্তে সকল বিষয়েই পারদর্শিতা অর্জন করে ফেলে তার সব থেকে বড় কারণ হচ্ছে তার মনের মধ্যে আর কোন ভয় থাকেনা।
ইতিমধ্যে জেনেছেন যে নতুন বছর হবার ফলে আমাদের স্কুলে প্রচুর পরিমাণে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। যার ফলে এখনকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো অনেক দীর্ঘ সময় ধরে আয়োজন করতে হচ্ছে। আর ওই যে আগে বললাম সকল শিক্ষার্থীদের কে আমরা সমানভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই তাই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রত্যেকে যেন প্রত্যেকটি বিষয়ে পারদর্শিতা অর্জন করতে পারে সেই বিষয়টিকে বেশি প্রাধান্য দিতে। তাই আমরা এখন থেকে নতুন বছরের নিয়ম অনুসারে চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রত্যেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করব। আর এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমাদের স্কুলে প্রত্যেকটি স্টুডেন্টের অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। এতে করে দেখা যাবে তারা সকলেই সকল বিষয়ে পারদর্শিতা অর্জন করে যাবে।
আমাদের স্কুলের নতুন ধরনের এই কার্যক্রমটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনাদের এই উদ্যোগ খুবই ভালো এবং প্রশংসাযোগ্য। সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলো বাচ্চাদের মন-মানসিকতা বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আশা করা যায় এতে করে তাদের পড়াশোনার প্রতিও আগ্রহ অনেক গুণে বেড়ে যাবে।
তাদের আগ্রহের পরিমাণটা বৃদ্ধি করার জন্যই এটা করা হয়েছে।
আপনাদের স্কুলের এই উদ্যোগটি কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে দেখে। আপনারা প্রত্যেকে এক সপ্তাহ পর পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর আয়োজন করবেন বৃহস্পতিবারে এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আমার কাছে। বাচ্চারা একে একে অংশগ্রহণ করছে। এরকম উদ্যোগ কিন্তু বেশ ভালোই। আপনাদের উদ্যোগ দেখে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি এরকম অনুষ্ঠানগুলো ভালই হয়। আমাদের সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে একটু বেশি ভালো লাগলো।
পড়াশোনার পাশাপাশি এগুলো প্রত্যেকের শেখা খুবই জরুরী।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের দক্ষতাগুলো প্রকাশের সুযোগ পায়। যেমন আমরা সকলেই আমার বাংলা ব্লগে কাজ করে আমাদের যোগ্যতাগুলো প্রকাশ করতে পারছি। আর ঠিক তেমনি একটি ভালো অবস্থানে যেতে হলে শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে। আর আপনাদের স্কুলে এমন ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যার কারণে যে কোন শিক্ষার্থী নিজেকে অনেকটা দক্ষ করে তুলতে পারবে। আর আপনারা এভাবে এগিয়ে যাবেন সেই প্রত্যাশা রইল।
তাদের দক্ষতা গুলো বের করে আনার জন্যই আমাদের এটা করা হয়েছে।
এরকম উদ্যোগ গুলো আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের দক্ষতা গুলো প্রকাশ করতে পারে এরকম উদ্যোগের মাধ্যমে। সেজন্য সব স্কুলে এরকম উদ্যোগ থাকা খুবই প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা এভাবে সব সময় নিজেদের দক্ষতা প্রকাশ করতে পারবে আপনাদের এই উদ্যোগের কারণে। আপনারা প্রতি এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবারে এই আয়োজনটি করবেন। এরকম একটি বিষয় সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে একটু বেশি ভালো লেগেছে।
আমিও মনে করি প্রত্যেকটি স্কুলেই এই ধরনের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
আপনারা খুবই চমৎকার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন আসলে এরকম উদ্যোগ গ্রহণকে আমি সবসময়ই প্রশংসা করি। কারণ লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ কে জাগ্রত করার জন্য এরকম সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করাটা খুবই জরুরী। এই সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের ভেতরকার ভয় অথবা জড়তা যেটাই বলেন না কেন দূর হয়ে যাবে । ধন্যবাদ জানাই আপনাদের এইরকম সুন্দর উদ্যোগকে।
এই উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে দেখেছি তাদের মধ্যকার জড়তার পরিমাণ অনেক কমে গিয়েছে।