এ বিদায় ই শেষ বিদায় নয়
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শনিবার , ডিসেম্বর ৩১/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। বিদায় শব্দটি শুনলেই যেন আমাদের মনের মধ্যে কষ্ট চলে আসে আর চোখে চলে আসে জল। আসলে শব্দটি ই এখন। বিদায় দু ধরনের হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে ক্ষণস্থায়ী বিদায় অন্যটি চিরস্থায়ী বিদায়। ঠিক তেমনি একটি ক্ষণস্থায়ী বিদায়ের সাক্ষী হল আজকে গ্রীনরেইন পরিবার। মুহূর্তটা সত্যি আবেগপ্রবণ ছিল। দীর্ঘ একটি বছর অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীরা আজকে বিদায় নিয়ে চলে গেল প্রথম ঠিকানায়। বিদায়ের এই দিনে প্রথমেই আমাদের গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ শামসুল আলম বিদায়ী শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করলেন। বক্তব্যের মধ্যে ছিল কষ্ট আর চোখে ছিল জল। আসলে জল আসবেই না কেন, এরাই স্কুলের প্রথম বিদায়প্রাপ্ত শিক্ষার্থী।
প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যের পরে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটি শিক্ষক এবং বক্তব্য দিতে আগ্রহী অভিভাবকদের কিছু অশ্রুসিক্ত বক্তব্য আমরা শুনলাম।
তারপরে বিদায়ী শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে সাইফুল্লাহ গালিবকে বক্তব্য প্রদান করার জন্য ডেকে নেয়া হলো। আসলে কি বলবে সে,এ যেন শুধুই কান্না। আসলে এটাই বাস্তবতা। যেখানে সে অনেক ছোট ভাই বোনের সাথে আনন্দে কষ্টে সময় বার করেছে আজকে তাদেরকে ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে।
এরপরে বিদায়ী শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে আফিক আবরার নয়ন কে বক্তব্য প্রদানের জন্য ডেকে নেয়া হলো। নয়নের ক্ষেত্রেও ঠিক একই অবস্থা এ যেন শুধুই অস্ত্র সিক্ত কান্না। তারপরে সে ছোট বড় সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে পরবর্তী শিক্ষাজীবনের জন্য দোয়া চেয়ে বক্তব্য শেষ করল।
এরপরে আমাদের স্কুলের উপদেষ্টা জনাব মোহাম্মদ আকছেদ আলী বিদায় শিক্ষার্থী দের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করলেন। আজকের এই দিনে তিনি একদিকে যেমন উপদেষ্টা ঠিক তার বিপরীত দিকে ছিল বিদায়ী ছাত্র আফিক আবরার নয়নের বাবা। সেই কারণে তিনি ও খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে বক্তব্য প্রদান করলেন।
অনুষ্ঠানের ঠিক শেষ প্রান্তে বক্তব্য প্রদান করার জন্য ডেকে নেয়া হয় আজকের অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জনাব মোঃ সিরাজুল হককে। তিনি এই বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের শিক্ষা জীবনের জন্য কিছু পরামর্শ প্রদান করলেন। তিনি তাদেরকে সুন্দরভাবে বোঝালেন এ বিদায় শেষ বিদায় নয়। শিক্ষাজীবনে এমন বিদায় বহুবার নেয়া লাগবে। আর এ বিদায় হবে পরবর্তী জীবনের পথ চলার রাস্তা। এছাড়াও তিনি সকলের উদ্দেশে বিভিন্ন কথা বলে তার বক্তব্য শেষ করলেন।
গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের আজকের এই প্রথম বিদায় অনুষ্ঠান সারা জীবন সকলের স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার স্কুলের বিদায় শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। তারা যেন জীবনে সফল হয় এই প্রত্যাশাই করি। আসলে আপনার পোস্ট পড়ে নিজের স্কুল জীবনের বিদায় মুহূর্ত গুলো মনে পড়ে যাচ্ছিল। সত্যি সেই দিনটি খুবই কষ্টের ছিল। ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তাদেরকে বিদায় দিতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছিল আপু।
বিদায় কথাটা ভারি অদ্ভুত। বিদায় নিতেও কষ্ট হয় আর দিতেও।আপনার বিদ্যালয়ের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক শুভকামনা। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মূহুর্ত আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।
এই শুক্রবারে তারা ক্যাডেট এ পরীক্ষা দিতে যাবে দোয়া করবেন আপু।
আসলে ক্ষণস্থায়ী বিদায় অনেকটা কষ্টের এবং অনেকটা আনন্দেও ৷ আপনাদের বিদায় শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইল ৷ আশা করি তারা জীবনে ভালো কিছু করবে ৷
ঠিক বলেছেন এই বিদায়টা ক্ষণস্থায়ী হলেও অনেক দুঃখের হয়।
এগুলো পড়ে দশম শ্রেণীতে নিজের স্কুল ছেড়ে আসার কথা মনে পড়ছে। কি যে কেঁদেছিলাম ছেলে মেয়ে সবাই।সে এক আলাদা অনুভূতি। মনে হচ্ছিল সবাই এমন ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে যে আর কোনদিনও দেখা হবে না। এই আবেগগুলো স্কুলেই পাওয়া যায়। কলেজে এগুলো থাকে না।
পোস্ট লেখার সময় আমার নিজেরও স্কুল জীবনের বিদায় অনুষ্ঠানের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল।