লাইফস্টাইলঃ রাতের বেলায় মেলাতে লোভনীয় খাবার খাওয়া
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। রাতের বেলায় হঠাৎ করে মেলায় ঘুরাঘুরি করার বিষয়গুলো আমি পূর্বে একটা পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। সেই মেলায় ভ্রমন করতেছে যে আমরা শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের জিনিস কেনাকাটা করেছি তা কিন্তু নয়। মেলাতে যাবার পরে অনেক খাওয়া-দাওয়া ও করেছি। প্রথমত আমাদের মেলায় যাবার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তুহিন ভাইয়া এর ছেলের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলনা কেনা। যেহেতু মেলাতে চলে এসেছি আর সেখানে আসার পরে খাওয়া দাওয়া না করে গেলে কেমন হবে তাই আমরা দুজনে বিভিন্ন ধরনের জিনিস খাওয়া-দাওয়া করতে শুরু করে দিলাম।
কেনাকাটা শেষ হয়ে যাবার পরে দেখতে পেলাম তুহিন ভাইয়া বিভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি করতে শুরু করেছে হয়তোবা সে কোন একটা পোস্টের মাধ্যমে সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করবে। ভাইয়া দেখো দেখি আমিও কয়েকটা ফটোগ্রাফি চটপট ধারণ করে ফেললাম। যেহেতু আমার রিয়েল মি মোবাইলটা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাই ফটোগ্রাফি গুলো কতটা ভালো হয়নি।
ফটোগ্রাফি করার কাজ শেষ হতেই থাকে তুহিন ভাইয়াকে বললাম জলের আমরা এবার একটু চটপটি খেয়ে নেয়। যদিও একটা ছোট্ট ছেলে চটপটি তৈরি করছিল কিন্তু চটপটিটা খেতে খুবই মজাদার ছিল।
চিংড়ি মাছ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে তাই দেখতে পেলাম চিংড়ি মাছের তৈরির বড়া বিক্রি হচ্ছে তখন লোভ সামলাতে পারলাম না। লোভেরও সে তাড়াতাড়ি করে চিংড়ি মাছের বড়ার দোকানে চলে গেলাম আর খেতে শুরু করে দিলাম।
আর শেষের অংশে আমরা দুই ভাই চলে গেলাম জিলাপির দোকানে প্রথমে আমরা দুজনে সেখানে দাঁড়িয়ে জিলাপি খেতে শুরু করে দিলাম। আর জিলাপি খাওয়া শেষ হয়ে যাবার পরে আমরা দুজনেই এক কেজি করে জিলাপি কিনে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে আসলাম। লক্ষ্য করে দেখেছি এই ধরনের মেলাতে ভ্রমণ করতে গেলে খাওয়া-দাওয়া করার মজাটা অন্যরকমের হয়। বিশেষ করে রাতের বেলায় যে মেলাগুলো হয়ে থাকে সেখানে খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণটা অনেক বেশি থাকে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
মেলাতে ভ্রমণ করতে গেলেন আর একা একাই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আসলেন। আমি বাড়িতে নেই তাই আমার জন্যও কিছুটা জিলাপি আনলেন না। পরবর্তী দিনে অবশ্যই আমার জন্য কিছু জিলাপি কিনে আনবেন।
আসলে ঐ দিন রাতের বেলায় হঠাৎ করে মেলাতে গিয়ে অনেক খাবার খেয়েছিলাম। খাবারগুলো কিন্তু সত্যি অনেক লোভনীয় ছিল। বিশেষ করে চটপটি আর ভুরি এটা খেতে ভীষণ ভালো লাগছিল। গুড়ির জিলাপি টা খেতেও কিন্তু ভীষণ ভালো লাগছিল। এখানে আরেকটা বিষয় পান ভিন্ন ধরনের মসলা দিয়ে পান এটাও কিন্তু অনেক সুন্দর ছিল। সব মিলে খুব চমৎকার একটা সময় কাটিয়েছি।
মেলায় গেলে বেশ আনন্দই হয়।কেনাকাটা খাওয়া দাওয়া সব মিলিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছেন আপনি আর তুহিন ভাইয়া।চিংড়ি মাছের বড়া খেয়ে জিলাপি খেলেন এবং বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে এসেছিলেন।সব মিলিয়ে দারুন মুহূর্ত ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বাহ এত সুন্দর সুন্দর খাবারের গ্রাম যেন আমার নাকে আসতেছে এখন। কিন্তু কি আর করার খেতে পারব না। যাই হোক আপনি তো মেলায় গিয়ে বেশ মজার খাবার খেলেন দেখলাম। বিশেষ করে এখনকার সময়ের দিনের থেকেও রাতের মেলা গুলো বেশ জমজমাট হয়। কিছুদিন আগে আমরাও মেলায় গিয়েছিলাম কিন্তু ছোট বাচ্চারা থাকার কারণে তাড়াতাড়ি চলে আসতে হয়েছে। কারণ বেশি রাত করলে কখন কি হয় বলা যায় না। আজকে আপনি খুব সুন্দরভাবে খাওয়া-দাওয়ার করার পোষ্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।
আসলে এমন লোভনীয় খাবার যার ঘ্রান তোমাকে আসবেই।
মেলায় ঘুরতে গেলে বিভিন্ন রকমের লোভনীয় সব খাবার গুলো দেখে অনেক ভালো লাগে। সেই সাথে মজার মজার খাবার গুলো খেতেও ভালো লাগে। ভাইয়া আপনার অনুভূতি জেনে অনেক ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
যে কোন জায়গাতে গেলেই লোভনীয় খাবার গুলো দেখে আর লোভ সামলাতে পারি না।
তুহিন ভাইকে সাথে নিয়ে আপনি মেলায় ঘোরাঘুরি করেছেন এবং অনেক কিছু খাওয়া-দাওয়া করেছেন, সেটা তো বুঝতেই পারলাম ভাই। তাছাড়াও কিছু কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে, কতটা টেস্টি ছিল খাবার গুলো। বিশেষ করে চটপটি এবং জিলাপি দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না🤤। আমাদের এখানেও এরকম ছোট ছোট অনেক মেলা বসে। সেখানে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাই এবং টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করি। সেই কথাগুলোই মনে পড়ে গেল আসলে আপনার এই পোস্ট দেখে।
হঠাৎ দুজনে রাতের বেলাতে অনেক মজা করেছিলাম এবং খাবার খেয়েছিলাম।
বেশ ভালো কথা ভাই। আমি এইগুলো যদিও আপনার ব্লগটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম।