জেনারেল রাইটিং: রংবেরঙের সাজে সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার, মে ৪/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন যে আমি পেশাগতভাবে একজন শিক্ষক। আমি সব সময় আমাদের স্কুলের ভালো-মন্দ বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। দীর্ঘদিন আমাদের স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়েছিল না। তার সব থেকে বড় কারণ ছিল রমজান মাস এবং ঈদ। ঈদের পরে আজকেই প্রথম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। এর জন্য আমি পূর্বেই ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বলে দিয়েছিলাম তোমরা সবাই তোমাদের ঈদের জন্য কেনা জামা কাপড় পড়ে আসবা। একই সাথে তোমরা সবাই সুন্দর করে সাজুগুজু করে স্কুলে আসবা। এই দিনে স্কুল ড্রেস পরার কোন প্রয়োজন নেই। যখনই আমি এই কথাটা তাদেরকে বলেছিলাম তারা তো মহা খুশি। তারা সকলেই আনন্দে লাফাতে শুরু করে দিয়েছিল।
প্রতিনিয়ত আমাদের অনুষ্ঠান যেভাবে পরিচালিত হয় আজকের তার ব্যতিক্রম কিছু করা হয়েছিল না। প্রত্যেকবারের মতো এবারও কোরআন তেলাওয়াত এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। আর এই কোরআন তেলাওয়াত এই অংশগ্রহণ করেছিল আমাদের স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী লামিয়া খাতুন।
কোরআন তেলাওয়াত শেষ হয়ে যাবার সাথে সাথেই চলে আসে জাতীয় সংগীত এর পালা। আমরা সকলেই দাঁড়িয়ে পড়লাম এবং একসাথে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করলাম।
এরপরে পর্যায়ক্রমে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যারা নাম দিয়েছিল তাদের সকলকে ডাকা হচ্ছিল। আর তারা সকলে সামনে এসে বিভিন্ন ধরনের পারফরম্যান্স করেছিল। আজকের এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত , ইসলামিক সংগীত, গান এবং নৃত্য ছিল। তারা সকলেই অনেক ভালো পারফরম্যান্স করেছিল। যদি কেউ আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ভিডিওগুলো দেখতে চান তাহলে আমাদের স্কুলের ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করতে পারেন। আমি প্রতিদিনই তো আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সকল ভিডিও প্রকাশ করে থাকি।
অনুষ্ঠানের মাঝে আমার প্রিয় ছাত্রী চলে এসেছিল আমার কাছে। সেও আজকে সাজুগুজু করে স্কুলে এসেছিল। যখন আমি ভিডিও করছিলাম তখন সে আমার কাছে এসে বললে স্যার এখন ভিডিও করা বাদ দেন আমি আর আপনি এখন ছবি তুলব। তাই তার কথা রাখার জন্য ভিডিও করা বন্ধ করে দিয়ে দুজনে কয়েকটা ছবি তুললাম।
অনুষ্ঠানে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা অভিনয় করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিন্তু সময়ের স্বল্পতার কারণে সেটা হয়নি। পরবর্তীতে আমি তাদের সেই অভিনয়টা শ্রেণীকক্ষের মধ্যে দেখলাম এবং ভিডিও করলাম। অভিনয়ের ভিডিওটা ইতিমধ্যেই আমি ইউটিউব এ আপলোড দিয়ে দিয়েছি।
প্রতিনিয়ত গ্রহণ করা আমাদের স্কুলের এই কার্যক্রম গুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে মামা আপনাদের স্কুলের সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগে। আমি বেশ কয়েকবার উপস্থিত ছিলাম আপনাদের স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। প্রথমে আপনারা কোরআন তেলোয়াত দিয়ে শুরু করেছিলেন এই বিষয়টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমরা সব সময় চেষ্টা করি আমাদের ফুলের কাজের ধারাবাহিকতা আরো বৃদ্ধি করার জন্য।
পড়ালেখার পাশাপাশি এরকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো বাচ্চাদের জন্য অনেক বেশি জরুরী। তাছাড়া প্রতিদিন স্কুল ড্রেস পরে আসে এজন্য স্কুল ড্রেস ছাড়া আসতে বলাতে তারা অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। তাছাড়া চতুর্থ শ্রেণীর বাচ্চাদের অভিনয়টা না হলেও আপনি ক্লাসে দেখছেন জন্য ভালো লাগলো। তারা নিশ্চয়ই অনেক প্রিপারেশন নিয়েছিল। ভালো লাগলো বাচ্চাদের এত আনন্দ দেখে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
এই জন্যই আমি সকলকে স্কুল ড্রেস বাদে অন্য ড্রেস পড়তে বলেছিলাম।
আপনাদের স্কুলের বিভিন্ন পোস্টগুলো প্রায় সময় দেখে থাকি। আপনাদের এই কার্যক্রম গুলো ভীষণ ভালো লাগে। আর শিক্ষার্থীদের জন্য এগুলো খুব প্রয়োজন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। খুব সুন্দর ভাবে সবকিছু আয়োজন করে থাকেন। ইউটিউবে আপলোড দেওয়া ভিডিও গুলো দেখতে পারলে আরো ভালো লাগতো। ধন্যবাদ ভাইয়া মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
Greenrain laboratory School
এইভাবে যদি আপনি ইউটিউবে সার্চ দেন তাহলে আশা করি অবশ্যই আমাদের ভিডিও গুলো আপনি দেখতে পাবেন।
আপনাদের স্কুল সম্পর্কে অনেক পোস্ট আমি পড়েছি এর আগেও। আপনাদের সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের এত সুন্দর একটা মুহূর্ত দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনি আপনার প্রত্যেকটা স্টুডেন্টকে বলে দিয়েছিলেন তারা যেন তাদের ঈদের জন্য কেনা জামা পড়ে আসে। তারা সবাই তাদের ঈদের জামা পড়ে এসেছিল সবাইকে দেখতে ভীষণ ভালোই লাগছিল। যাই হোক আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা ভালো লাগলো।
তারা তাদের বন্ধু বান্ধবীদেরকে দেখাতে পেরেছিল না । এইজন্যই মূলত এই উদ্যোগটি গ্রহণ করেছি।
আপনাদের স্কুলের উদ্যোগটি আমার খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। আপনারা সব সময় সাপ্তাহিক সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এটা জেনে ভালো লাগলো। এটাই ছিল আপনাদের ঈদের পরের সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি। আপনি তো দেখছি অনুষ্ঠানের মাঝে আপনার প্রিয় ছাত্রীর সাথে সেলফি নিয়েছেন। খুবই মিষ্টি দেখতে আপনার প্রিয় ছাত্রী। ভালোই মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন আপনারা।
সে স্কুলে আসার পর থেকে সব সময় আমার সাথে থাকতে পছন্দ করে।
রংবেরঙের সাজে আপনার স্টুডেন্ট গুলোকে দেখে ভীষণ ভালোই লেগেছে। আপনাদের স্কুলের এই উদ্যোগটি আমার কাছে ভীষণ ভালোই লেগেছে দেখতে। খুবই সুন্দর একটা উদ্যোগ এটি। ঈদের পর এই প্রথম এটি সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। আপনার প্রত্যেকটা স্টুডেন্ট তাদের ঈদের জামা পড়ে এসেছে সবাইকে দেখতে খুবই ভালো লাগছে। অনুষ্ঠানের মাঝখানে আপনার প্রিয় ছাত্রী চলে এসেছিল আপনার কাছে। যখন আপনি ভিডিও করছিলেন তখন ও আপনাকে বলেছিল ভিডিও করা বাদ দিতে এবং আপনাদের দুজনের ছবি তোলার জন্য বলেছিল। এরপর আপনারা দুইজন কয়েকটা সেলফি তুলেছিলেন। তার মধ্যে থেকে একটি সেলফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
কি আর করব আপু আবদার করে বসলো তাই আর না রেখে পারলাম না।
আপনাদের স্কুলের সুন্দর আয়োজন দেখে সত্যিই ভালো লাগলো ভাই। কোমলমতি শিশুদের মনে শিক্ষার আলো বিনোদনের মাধ্যমে বোঝাতে চেষ্টা করেন ব্যাপারটি সত্যিই প্রশংসনীয়। শিশুরা সব সময় পাঠ্য বই থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না, বরং বিনোদনের মাধ্যমেও শিক্ষা অর্জন করে থাকে। যাইহোক ভাই, আপনার স্কুলের আয়োজনগুলো প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে পোস্ট আকারে তুলে ধরেন যা দেখে খুবই আনন্দিত হই। রংবেরঙের সাজে সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমরা সব সময় চেষ্টা করি একটু বিনোদনের মধ্য দিয়ে তাদেরকে শিক্ষা দিতে।
যেকোনো অনুষ্ঠান বাচ্চাদের খুবই আনন্দ দেয়।তার উপরে আবার কোনো বাঁধাধরা স্কুল ড্রেস পড়ার নিয়ম নেই ফলে বেশ সুন্দর সাজুগুজু করে বাচ্চারা খুশি হয়।এতে বাচ্চাদের মনোবল ও সাহস বেড়ে যায়।আর নাটকের দৃশ্যে জুতা জোড়াটি ছিলমনে হয় , ধন্যবাদ আপনাকে।
তাদেরকে আনন্দ দেবার জন্যই মূলত আমি এমন ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম।
https://twitter.com/mostafezur14/status/1655116807928418306?t=tORPpKsJ6_j6ooS9qUorxA&s=19