পাহাড় চূড়ায় – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়||১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য ||
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার , এপ্রিল ১২/২০২২
আচ্ছালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। প্রথমেই আমি @blacks দাদাকে ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা কবিতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। দাদা যেদিন প্রথম অ্যানাউন্সমেন্ট এ কবিতাটি আবৃত্তি করার জন্য বলেছিলেন আমি সেদিনই এই কবিতাটি তৈরি করেছিলাম। আজকে আমি প্রথম কোন একটি কবিতা আবৃতি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি যদি কোন ভুল ত্রুটি হয় তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে "পাহাড় চূড়ায়" কবিতা আবৃত্তি শেয়ার করতে চলেছি। চলুন শুরু করা যাক...
অনেকদিন থেকেই আমার একটা পাহাড় কেনার শখ।
কিন্তু পাহাড় কে বিক্রি করে তা জানি না।
যদি তার দেখা পেতাম,
দামের জন্য আটকাতো না।
আমার নিজস্ব একটা নদী আছে,
সেটা দিয়ে দিতাম পাহাড়টার বদলে।
কে না জানে, পাহাড়ের চেয়ে নদীর দামই বেশী।
পাহাড় স্থানু, নদী বহমান।
তবু আমি নদীর বদলে পাহাড়টাই
কিনতাম।
কারণ, আমি ঠকতে চাই।
নদীটাও অবশ্য কিনেছিলামি একটা দ্বীপের বদলে।
ছেলেবেলায় আমার বেশ ছোট্টোখাট্টো,
ছিমছাম একটা দ্বীপ ছিল।
সেখানে অসংখ্য প্রজাপতি।
শৈশবে দ্বীপটি ছিল আমার বড় প্রিয়।
আমার যৌবনে দ্বীপটি আমার
কাছে মাপে ছোট লাগলো। প্রবহমান ছিপছিপে তন্বী নদীটি বেশ পছন্দ হল আমার।
বন্ধুরা বললো, ঐটুকু
একটা দ্বীপের বিনিময়ে এতবড়
একটা নদী পেয়েছিস?
খুব জিতেছিস তো মাইরি!
তখন জয়ের আনন্দে আমি বিহ্বল হতাম।
তখন সত্যিই আমি ভালবাসতাম নদীটিকে।
নদী আমার অনেক প্রশ্নের উত্তর দিত।
যেমন, বলো তো, আজ
সন্ধেবেলা বৃষ্টি হবে কিনা?
সে বলতো, আজ এখানে দক্ষিণ গরম হাওয়া।
শুধু একটি ছোট্ট দ্বীপে বৃষ্টি,
সে কী প্রবল বৃষ্টি, যেন একটা উৎসব!
আমি সেই দ্বীপে আর যেতে পারি না,
সে জানতো! সবাই জানে।
শৈশবে আর ফেরা যায় না।
এখন আমি একটা পাহাড় কিনতে চাই।
সেই পাহাড়ের পায়ের
কাছে থাকবে গহন অরণ্য, আমি সেই অরণ্য পার হয়ে যাব, তারপর শুধু রুক্ষ
কঠিন পাহাড়।
একেবারে চূড়ায়, মাথার
খুব কাছে আকাশ, নিচে বিপুলা পৃথিবী,
চরাচরে তীব্র নির্জনতা।
আমার কষ্ঠস্বর সেখানে কেউ শুনতে পাবে না।
আমি ঈশ্বর মানি না, তিনি আমার মাথার কাছে ঝুঁকে দাঁড়াবেন না।
আমি শুধু দশ দিককে উদ্দেশ্য করে বলবো,
প্রত্যেক মানুষই অহঙ্কারী, এখানে আমি একা-
এখানে আমার কোন অহঙ্কার নেই।
এখানে জয়ী হবার বদলে ক্ষমা চাইতে ভালো লাগে।
হে দশ দিক, আমি কোন দোষ করিনি।
আমাকে ক্ষমা করো।
কবিতাটি কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার ছেলেবেলার স্মৃতি কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। একই সাথে তিনি আমাদের মাঝে তার শৈশবে কিভাবে কাটিয়েছেন এবং বৃদ্ধকালে তিনি কিভাবে কাটাতে চান সেগুলো এই কবিতার মাধ্যমে ব্যক্ত করেছেন। কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার ছেলেবেলাকে একটি দ্বীপ এর সাথে তুলনা করেছেন। দ্বীপটি তার বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিত। কিন্তু যখন তিনি শৈশবে প্রবেশ করলেন তখন এই দ্বীপটি তার কাছে ছোট মনে হল। কেননা প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেই ছোটবেলার থেকে শৈশবের ইচ্ছাগুলো অনেক বড় হয়ে থাকে। কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যখন বৃদ্ধ হতে শুরু করলেন তখন তিনি বুঝতে পেলেন প্রত্যেকটি মানুষই অহঙ্কারী। সবাই নিজের নিজের বিষয় নিয়ে বড়াই করতে থাকে। তাই তিনি বৃদ্ধকালে একটি পাহাড় কিনতে চান কারণ পাহাড়ের কোন অহংকার নেই।
কবিতার নাম | পাহাড় চূড়ায় |
---|---|
লেখক | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় |
ডিভাইস | রিয়েলমি সি ২৫ এস |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | গাংনী, মেহেরপুর, বাংলাদেশ |
কবিতা টা অসাধারণ আবৃত্তি করেছেন ভাই। আপনার কন্ঠে সত্যি দারুণ লাগল। কবিতা টার অর্থ বুঝে আপনি আবৃত্তি করেছেন সেজন্য হয়তো এতো ভালো হয়েছে। অনেক সুন্দর ছিল আপনার
আবৃত্তি পোস্ট এবং পোস্টের উপস্থাপনাটা। আপনার জন্য শুভকামনা।।
আমার আবৃতি করা কবিতাটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটি জেনে আমার অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া
আপনার কন্ঠে কবিতা টি শুনতে অসম্ভব ভালো লেগেছে। পুরো কবিতাটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর লাগে আমাদের মাঝে এ কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন। আমি আজ কয়েকদিন যাবত ইউটিউব থেকে একটি কন্ঠে অনেকবার কবিতাটি শুনেছি। আমার কাছে আপনার কন্ঠ ও শুনতে খুব ভালো লেগেছে। এভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এত সুন্দর করে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
এই কবিতাটি অনেক দারুন একটি কবিতা। কবিতাটি পড়তে পড়তে যেন মনে হয় একদম গল্পের মত। মনে হয় যেন কবিতার মাঝে কোন কাহিনী লুকিয়ে আছে। আপনি কবিতাটি অনেক সুন্দর ভাবে আবৃত্তি করেছেন। আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনতে ভালই লাগলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা আবৃত্তি অনেক সুন্দর হয়েছে ।আপনার কন্ঠে বেশ ভালো লাগলো কবিতা আবৃতি ।এভাবে এগিয়ে যান সফলতা পেতে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
এই আবৃত্তি ইউটিউবে অনেক বার শুনেছি। আপনার আবৃত্তি শুনে মনে হলো আপনি অনেক ভালো চেষ্টা করেছেন। আশা করি আপনি প্রতিযোগিতায় ভালো কিছু পাবেন। ধন্যবাদ ভাই।
গঠনমূলক মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ব্যাক দাদা আয়োজিত এই কবিতা আবৃতিতে অংশগ্রহন করার জন্য প্রথমেই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে নিচ্ছি। অনেক ভালো আবৃতি করেছেন আপনি। দোয়া রইলো যাতে ইউনিং লিস্টে থাকতে পারেন।
আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
বেশ ভালই আবৃত্তি করেছেন ভাই। আমাদের কমিউনিটির হ্যাংআউট এও একবার কবিতাটি আবৃতি করেছিলেন। আজকের আবৃত্তিটা ঐদিনের থেকে বেশ ভালো হয়েছে। ব্ল্যাকস দাদা শুনলে নিশ্চয়ই খুশি হবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনি অনেক চমৎকার ভাবে পাহাড়ের চূড়ায় এই কবিতাটি আবৃতি করে আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই কবিতা আবৃতি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আমি মুগ্ধ হয়েছি আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনে। এভাবে চেষ্টা করতে থাকুন আপনি পরবর্তীতে আরো ভালো আবৃত্তি করতে পারবেন বলে আশা রাখি।
এত সুন্দর করে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
অনেক সুন্দর আবৃত্তি করেছেন আপনি। আপনার আবৃত্তির মধ্যে যথেষ্ট ছিল। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই কবিতাটি আবৃত্তি করা আসলে খুবই কষ্টের। চাইলেই সঠিকভাবে ভাব ফুটিয়ে তোলা যায় না। সবশেষে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই আবৃত্তির জন্য।
গঠনমূলক মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
এই আবৃত্তি টি সম্ভবত সেদিন হ্যাং আউট এই শুনিয়েছিলেন।বেশ ভালই ছিল পুরো আবৃত্তি টি,এবং খুব সাবলীল উচ্চারণ এর সাথে শেষ করেছেন আপনি পুরো আবৃতী।
আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া