জেনারেল রাইটিং: ঈদুল আযহার পরে প্রথম সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার, জুলাই ০৬ /২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনার হয়তোবা সকলে জানেন যে আমরা আমাদের স্কুলে লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়গুলোতে বিশেষ নজর দিয়ে থাকে। কেননা শুধুমাত্র লেখাপড়া করলেই সমাজের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো সম্ভব হয় না। এজন্য আমরা লেখাপড়া এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি প্রত্যেক সপ্তাহেই। যেহেতু আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এই ধরনের আয়োজন করার কিন্তু শনিবার এখন সাপ্তাহিক ছুটি দেওয়ার ফলে প্রত্যেক এক সপ্তাহ পরপর এই আয়োজনটি করে থাকি।
প্রত্যেক সপ্তাহের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য এ সপ্তাহেতেও আমরা কোরআন তেলাওয়াত এর মধ্য দিয়ে আমাদের সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করেছিলাম। কোরআন তেলাওয়াত এর পরেই আমরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছি। আমাদের স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আজকের এই পোস্টে আপনারা স্কুল ড্রেসের বিভিন্ন ভিন্নতা দেখতে পাচ্ছেন তার সব থেকে বড় কারণ হচ্ছে ঈদের পরবর্তী এটাই প্রথম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তাই আমি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আনন্দ দেবার জন্য বলেছিলাম আজকে সকলে যেন ঈদের পোশাক পরিধান করে আসে।
যখনই আমি ঈদের পোশাক পরিধান করে আসার জন্য তাদেরকে বলেছিলাম তখন তারা আনন্দে লাফাতে শুরু করে দিয়েছিল। কেননা স্কুলগুলোতে স্কুল ড্রেস ব্যতীত অন্যান্য পোশাক পরে আসার কোন সুযোগ থাকে না। যখনই আমি তাদেরকে এই সুযোগটা দিয়েছি তখনই তারা আনন্দে ঝাঁপাঝাপি করতে শুরু করে দিয়েছিল। সকালে স্কুলে আসার পরে যেন অন্য রকমের একটা ঈদের আমেজ পেয়েছি স্কুলে। দেখলাম সকলেই তাদের ঈদের ড্রেসগুলো পরে এসেছে।
প্রত্যেক সপ্তাহের ন্যায় এবারের অনুষ্ঠানে নাচ,গান, কবিতা আবৃত্তি, ইসলামিক সংগীত সহ আরো অনেক আয়োজন ছিল আমাদের এই সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের এই অংশগ্রহণের ভিডিও গুলো আমি প্রতিনিয়ত আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে থাকি। যেহেতু প্রতি অনুষ্ঠানে অনেকগুলো ভিডিও হয়ে যায় আমার কাছে তাই আমি পর্যায়ক্রমে সেগুলো আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করি।
অনুষ্ঠান শেষে জান্নাত অরিন আমাকে একটা ছবি তুলতে বলল তাই আমি এই ছবিটা তুলেছিলাম। এই ছাত্রী টি লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রত্যেকটা বিষয়েই অনেক পারদর্শিতা অর্জন করেছে। সে অনেক সুন্দর নাচ পরিবেশন করতে পারে। তার সহ অন্যান্য সকল ছাত্র-ছাত্রীর নাচ গুলো আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে আমি দিয়ে থাকি। আপনারা যদি ইচ্ছা করেন তাদের সেই ভিডিওগুলো আমাদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে দেখে নিতে পারবেন।
আমাদের স্কুল থেকে গ্রহণ করা ভিন্ন ধরনের এই উদ্যোগটি আপনাদের কাছে কেমন লাগে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এই পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবে নতুন কোনো একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনাদের স্কুলে প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় এটা আমার মনের সবাই কম বেশি জানে। আপনাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবং বিভিন্ন ধরনের গান গজল কবিতা ছড়া ইত্যাদি হয়ে থাকে। যাহোক এটি ছিল ঈদুল আযহার পরের প্রথম সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ঈদের আনন্দ সাথে সাথে এই অনুষ্ঠানটি বেশ ভালই মানিয়েছে। অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
বাচ্চাদের সাথে ঈদের আনন্দটা আরেকটু বৃদ্ধি করার জন্যই মূলত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম।