"বিশেষ ক্রিসমাস সপ্তাহ"|| পাঙ্গাস মাছ রান্নার রেসিপি ||১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য ||
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার, ডিসেম্বর ৩১/২০২১
আচ্ছালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা অনেক ভাল আছেন। আমিও অনেক ভাল আছি। আজকে বছরের শেষ দিন, আর এই সেইদিন উপলক্ষেই আমি আজকে আপনাদের মাঝে একটা স্পেশাল রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই রেসিপিটা আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি। এটি হচ্ছে পাঙ্গাস মাছ রান্নার রেসিপি।
পাঙ্গাস মাছ রান্নার রেসিপির উপকরণ |
|---|
| ক্রমিক নম্বর | উপকরণের নাম |
|---|---|
| ১ | পেঁয়াজ |
| ২ | রসুন |
| ৩ | এলাচ |
| ৪ | দারচিনি |
| ৫ | সয়াবিন তেল |
| ৬ | গুড়া মরিচ |
| ৭ | গুড়া হলুদ |
| ৮ | লবন |
| ৯ | জিরা |
| ১০ | তেজপাতা |
| ১১ | পাঙ্গাস মাছ |
পাঙ্গাস মাছ রান্নার রেসিপির ধাপ সমূহ |
|---|
🍲ধাপ - ০১🍲
রান্না করার পূর্বে প্রথমেই আমি পাঙ্গাস মাছ গুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিলাম যেন সেখানে কোন ময়লা লেগে না থাকে।
🍲ধাপ - ০ ২🍲
তারপরে আমি মাছগুলো ভাজার জন্য প্রথমেই মাছের গায়ে ভালো ভাবে গুড়া মরিচ এবং গুড়া হলুদ লাগিয়ে দিলাম।
🍲ধাপ - ০৩🍲
মাছ ভাজার জন্য প্রথমেই আমি চুলার ওপর একটা কড়াই বসিয়ে গরম করতে শুরু করলাম। কড়াই কিছুটা গরম হয়ে যাবার পরে আমি সেখানে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিয়ে গরম করে দিলাম। তেল গরম হয়ে যাবার পরে আমি আস্তে আস্তে পাঙ্গাস মাছ গুলোকে তেলের উপর দিতে শুরু করলাম। প্রত্যেকটি মাছ দেয়া হয়ে গেলে সেগুলো আমি ভালোভাবে ভাজা শুরু করলাম। আমি মাছের দুই পাশেই ভালোভাবে ভেজে নিলাম যেন কোনোভাবেই মাছগুলো কাচা না থাকে সেদিকে মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করলাম।
মাছগুলো ভাজা হয়ে গেলে সেগুলো এমন রূপ ধারণ করলো।
🍲ধাপ - ০৪🍲
এই পর্যায়ে আমি শুরু করলাম আমার রেসিপির প্রধান কার্যক্রম। মাছগুলো রান্না করার জন্য আমি প্রস্তুতি গ্রহণ করলাম। প্রথমেই আমি কড়াই এর উপর পরিমাণমতো সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। তারপরে আমি তেলের উপর পেঁয়াজ, রসুন, লবণ, দারচিনি, তেজপাতা, এলাচ সহ আরো যে সকল উপকরণ গুলো ছিল সেগুলো আস্তে আস্তে দিতে শুরু করলাম। সবগুলো উপকরণ দেবার পরে সেগুলো কি আমি ভালোভাবে তেলের উপর গরম করতে শুরু করলাম। এক পর্যায়ে সেগুলো খুবই সুন্দর আকার ধারণ করল।
🍲ধাপ - ০৫🍲
এই পর্যায়ে আমি পূর্বের উপকরণগুলোর সাথে ভাজা মাছগুলো দিয়ে দিলাম এবং ভালোভাবে সবগুলো একত্রিত করতে শুরু করলাম। আমি খুবই ভালো ভাবে লক্ষ্য করলাম যেন মাছ গুলোর ভিতর রান্নার সকল উপকরণ গুলো চলে যায়। যখনই মাছের ভেতরে রান্নার সকল উপকরণ গুলো প্রবেশ করবে তখন সেই রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। এইজন্য রান্নার সময় আমাদের সবার উচিত এই দিকটা একটু মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য রাখা।
🍲ধাপ - ০৬🍲
প্রায় পাঁচ মিনিট পরে যখন রান্নার সকল উপকরণ গুলো মাছের ভিতরে চলে গেলো তখন আমি পরিমান মত পানি ব্যবহার করলাম রান্না টা আরো সুন্দর করার জন্য। পানি দেবার পরে আমি একটা ঢাকনা দিয়ে সুন্দর করে ঢেকে দিলাম যেন আরও সুন্দরভাবে আমার রান্নাটা সম্পন্ন হয়।
🍲ধাপ - ০৭🍲
প্রায় পাঁচ মিনিট পরে আমি ঢাকনা সরালাম আর দেখতে পেলাম আমাদের রান্নাটা এমন আকার ধারণ করেছে। তখন আমি বুঝতে পারলাম আমার রান্নাটি প্রায় শেষের দিকে। এভাবে আমি আরও দুই মিনিট মতো রেখে দিলাম তারপরে আমি আমার রান্নাটা সমাপ্তি ঘোষণা করলাম।
🍲ধাপ - ০৮🍲
রান্না শেষ হওয়ার পরে আমি মাছগুলোকে একটা আলাদা পাত্রে তুলে নিলাম। আর এরই মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে গেল আমার সবথেকে প্রিয় রেসিপিটি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি এই ইভেন্টের জন্য আমার ষষ্ঠ অংশগ্রহণ।
🍲 আমার নিজের সাথে পাঙ্গাস মাছ রান্নার রেসিপির ছবি 🍲
আমি সাধারণত পাঙ্গাস মাছ খুব কম খায় এবং এগুলো গরম ভাতের সাথে খেতে গরম গরম খুবই ভালো লাগে। আপনি দারুন ভাবে রান্না করেছেন। প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সঠিক মাত্রায় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।টুইটার শেয়ার লিংক
অও,পাঙ্গাস মাছ আমার খুবই প্রিয় ।আপনার পাঙ্গাস মাছের রেসিপিটা খুবই সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে।শীতকালে পাঙ্গাস মাছ খুবই ভালো লাগে খেতে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর করে মতামত প্রকাশ করার জন্য
আপনি অনেক চমৎকার ভাবে পাঙ্গাস মাছ রান্নার রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার এই পাঙ্গাস মাছ এর রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল কারণ পাঙ্গাস মাছ আমার অনেক প্রিয়। পাঙাশ মাছ ভুনা আমার কাছে অনেক সুস্বাদু লাগে। বেশ কয়েকদিন হল মেসে থাকার কারণে পাঙ্গাস মাছ তেমন খাওয়া হয়না। এত মজাদার এবং লোভনীয় একটি পাঙ্গাস মাছের রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য। আমার কাছে এই মাসটা সবথেকে বেশি ভালো লাগে।
পাঙ্গাস মাছের খুব লোভনীয় একটি রেসিপি আপনি তৈরি করেছেন দেখেই জিভে জল চলে আসলো মনে হচ্ছে খেতে দারুন মজা হবে বিশেষ করে কালারটা দারুণ ভাবে ফুটেছে রান্নার। রান্নার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য
জি ভাই এই রান্নাটা খুবই লোভনীয় হয়েছিল সাথে খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল