লাইফস্টাইলঃ হঠাৎ করে মেলায় ঘুরতে যাওয়া
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি গ্রাম অঞ্চলে এখন যে কোন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই বড় ধরনের মেলা বসতে থাকে। ঠিক তেমনি একটা অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে গতকালকে থেকে আমাদের গ্রামে। আর সেই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এত বড় মেলা বসেছে আমাদের গ্রামে সেটা তো আমি ভাবতে পেরেছিলাম না। এর আগে কোনদিন এই অনুষ্ঠানে আমার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি আসলে নিজে থেকেই ইচ্ছা করে যাওয়া হয়নি। আজকে সন্ধ্যার পরে খাওয়া-দাওয়া করব ঠিক সেই সময় তুহিন ভাইয়া বলল চল ঘুরে আসি সেখান থেকে। তারপরে দুজনে মোটরসাইকেলে করে সেখানে চলে গেলাম।
যেহেতু তাড়াতাড়ি করে সেখানে চলে গিয়েছে তাই আমি আমার কোন মোবাইলটা নিয়ে চলে গিয়েছি সেটা লক্ষ্য করা হয়নি। সেখানে যাবার পরে আমি লক্ষ্য করলাম আমি যে মোবাইলটা দিয়ে প্রতিনিয়ত ছবি তুলি অর্থাৎ যে মোবাইলটাতে ছবি অনেক সুন্দর হয় সেটা নিয়ে যাওয়া হয়নি। আমাদের স্কুল থেকে যে মোবাইলটা আমাকে ব্যবহার করার জন্য দেয়া হয়েছে সেই মোবাইলটা নিয়ে আমি চলে গিয়েছি মেলাতে। যেহেতু সেখানে ঘুরতে গিয়েছি তাই ছবি তো তুলতেই হবে তাই খারাপ হলেও এই মোবাইলটা দিয়ে ছবি তুলতে শুরু করে দিলাম।
যেহেতু এই মেলাটা রাতের বেলায় বসে ছিল তাই সেখানে মানুষের সমাগম অনেক বেশি। মানুষের সমাগম বেশি হবার সব থেকে বড় আরও একটা কারণ হচ্ছে এই মেলাটা বসেছে একটা গানের উৎসবকে কেন্দ্র করে। গানের উৎসব হবার কারণে এখানে মানুষের সংখ্যা একটু বেশি রয়েছে তাই মেলা ও অনেক বড় হয়েছে। স্কুল থেকে আসার পথে আমি যা লক্ষ্য করেছিলাম ভেবেছিলাম যে হয়তোবা খুব একটা বড় মেলা হবে না কিন্তু রাতে যাবার পরে ঠিক তার উল্টোটা দেখতে পেলাম।
তুহিন ভাই তার ছেলের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলনা কেনার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল তখন আমি কি করবো ফটোগ্রাফি ধারণা করতে শুরু করলাম চারিদিকের। মেলাতে দেখলাম বেশিরভাগ কসমেটিক্স এর দোকান বসেছে।
আরো একটা জিনিস দেখে আমি সবথেকে বেশি অবাক হয়ে গেলাম সেটা হচ্ছে সেখানে কিছু রাইডস ও চলে এসেছে। যেহেতু ফটোগ্রাফি গুলো রাতের বেলায় করা হয়েছে আর এই মোবাইলটাতে খুব একটা ভালো ছবি হয় না তাই হয়তোবা খুব একটা ভালোভাবে সবকিছু বোঝা যাচ্ছে না।
যাইহোক রাতের বেলাতে হঠাৎ করে এমন মেলা ভ্রমণ করে আসলাম তাই ভালোই লাগছে। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
আসলে ভাই গ্রামে কোন অনুষ্ঠান হলেই, সেই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মেলার জাঁকজমক আয়োজন হয়ে থাকে। মাহফিল উপলক্ষে আরো যেন বেশি মেলার আয়োজন দেখতে পাই। গ্রামের মেলার এই সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো আপনি ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। দেখে ভালো লাগলো।
এমন মেলার মধ্য দিয়ে গ্রামে যেন একটা জমজমাট পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এই মেলায় যাওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল কিন্তু যাওয়া হয়নি। যেহেতু গানের আসর অভ্যাস না থাকায় মারুফকে বললাম সে রাজি হল না তাই আর মন টানেনি। তবে খুব সুন্দর সুন্দর আয়োজন করেছে সেটা শুনলাম। যাই হোক তোমার মাধ্যমে দেখার সুযোগ তো হলো।
আমারও যাওয়ার কোন ইচ্ছা ছিল না তুহিন ভাই বলল তাই যাওয়া হয়ে গেল।
এটি ঠিক বলেছেন এখন গ্রামাঞ্চলে অনুষ্ঠানের সময় অনেক বড় মেলা বসে। আর মেলাতে ঘুরতে গেলে অন্যরকম ভালো লাগে। আপনি এবং তুহিন ভাই দুইজন মেলাতে ঘুরতে গেলেন। আসলে ভাইয়া অনেক সময় তাড়াহুড়া করলে অনেক জিনিস ভুলে নেওয়া হয় না। তবে আপনি তাড়াহুড়ার কারণে মোবাইলটি রেখে স্কুলের মোবাইলটি নিয়ে গেলেন। আপনি খুব সুন্দর করে মেলায় ঘুরতে গিয়ে কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। আর শীতকালে গ্রামের মেলাগুলো এমনিতে বেশ চমৎকার হয়। খুব সুন্দর করে মেলায় ঘুরতে যাওয়া মুহূর্ত আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে উপস্থাপনা করেছেন।
আসলেই আপু আমরা দুজনে অনেক মজা করেছিলাম। তাড়াতাড়ি করতে যেয়ে আমি স্কুলের মোবাইল নিয়ে চলে গিয়েছিলাম।
শীতকালে সাধারণত গ্রাম অঞ্চলে গানের আসর বসে এবং সেই আসর কে কেন্দ্র করে এরকম ছোট বড় অনেক মেলা দেখা যায়। এটা সব জায়গাতেই হয় ভাই। তবে আপনি যেহেতু আপনার ভালো ফোনটা নিয়ে যেতে পারেন নি ফটোগ্রাফি করার জন্য, সেই জন্যই এখানে শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো একটু ঘোলা টাইপের হয়েছে। তাছাড়া রাতে ভালো ফটোগ্রাফিও করা যায় না সব ধরনের ফোন দিয়ে। বিভিন্ন রকম কসমেটিক্সের দোকান বেশি বসার কারণ হলো যে, মহিলারা এইসব জিনিস দেখে অনেক বেশি আকর্ষিত হয় এবং প্রচুর কেনাবেচা হয় দোকানদারদের। ছেলে মানুষ তো তেমন কিছু কেনাকাটা করে না ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীতকালে এই ধরনের গানের আসর প্রচুর পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়।