আমার পুকুরের তেলাপিয়া মাছের খাবার দেবার মুহূর্ত
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার, আগস্ট ১৪/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। এই ছবিগুলো আমি আবার পুকুর থেকে বেশ কিছুদিন আগে ধারণ করেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে কিন্তু ব্যস্ততার কারণে শেয়ার করা হয়ে ওঠেনি। আসলে আপনারা ছবিতে যে পুকুরটা দেখতে পাচ্ছেন এটা আমার পুকুর। এই পুকুরটাতে আমি পাঙ্গাস এবং তেলাপিয়া মাছ চাষ করে থাকি। মাছ চাষের মধ্যে সবথেকে ভালো লাগার একটা বিষয় হচ্ছে মাছের খাবার খেতে দেওয়া। কেননা যখন মাছকে খাবার খেতে দেয়া হয় তখন তারা সকলেই পুকুরের একপাশে চলে আসে খাবার খাওয়ার জন্য। তখন বিষয়টা দেখে যেন মনে হয় পুরো পুকুরের মাছ একটা জায়গাতেই অবস্থান করছে। আসলে শুধুমাত্র মনে হবার বিষয় নয় এটাই সত্যি যে কুকুরের সকল মাছ এক জায়গাতে চলে আসে খাবার খাওয়ার জন্য।
যারা এর আগে পুকুরে তেলাপিয়া অথবা পাঙ্গাস মাছকে খাবার খেতে দিয়েছেন তারা হয়তোবা এমন সৌন্দর্যের দৃশ্যটা দেখার সৌভাগ্য পেয়েছেন। যেহেতু আমি ছোটবেলা থেকেই আমাদের পুকুরের মাছগুলোকে খাবার দিয়ে থাকে তাই এই ধরনের দৃশ্যগুলো আমার অনেকবার দেখার সুযোগ হয়েছে। মাছের আকৃতি যত বড় হয়ে যায় এই সৌন্দর্যটা দেখতে যেন ততটাই বেশি ভালো লাগে। আসলে এই মাছগুলোকে ভাসমান খাবার খাওয়ানো হয় এই জন্য এরা আরও বেশি পরিমাণে এভাবে একত্রিত হয়ে খাবার ইচ্ছা পোষণ করে থাকে।
এই পুকুরটাতে আমি ৬০০০ তেলাপিয়া মাছ দিয়েছি। মাছগুলোর আকৃতি অনেক সুন্দর হয়ে গিয়েছে তারপরও আমি মাছগুলোকে এখনই বিক্রি করতে চাচ্ছি না। আমার ইচ্ছা রয়েছে এই মাছগুলোকে আমি আরো দুই মাস পরে বিক্রয় করব। যদি আমি এই মাছগুলোকে আরো দুই মাস পরে বিক্রয় করি তাহলে মাছগুলোর আকৃতি আরো সুন্দর হয়ে যাবে। আমি টার্গেট নিয়েছি যে যখন এই মাছগুলোর আকৃতি প্রত্যেকটার ওজন ৫০০ গ্রামের মত হবে তখন বিক্রয় করব। কারণ যদি এই মাছগুলো প্রত্যেকটির ওজন ৫০০ গ্রাম এর বেশি হয়ে যায় তাহলে সেটার দাম ভালো পাওয়া যায়। পুকুর থেকেই আমরা তখন এই মাছগুলোকে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকার মধ্যে বিক্রয় করতে পারব। যেহেতু বর্তমান সময়ে মাছের খাবারের দাম অনেক বেশি তাই মাছগুলোকে একটু বড় করে বিক্রি করাটাই ভালো। আর যদি এগুলোকে একটু বড় করে বিক্রয় করা যায় তাহলে লাভের পরিমাণটাও ভালো হয়।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
মাছের সংখ্যা থেকে তো আমি অবাক, হ্যাঁ ঠিক বলেছেন যদি এগুলো আরো বড় হয় তাহলে আপনি বেশ লাভবান হবেন। দোয়া করি আপনি আপনার টার্গেট অনুযায়ী ফল পাবেন।
আপনি যদি সরাসরি এটা দেখতেন তাহলে আরো বেশি অবাক হয়ে যেতেন।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পুকুরের তেলাপিয়া মাছের খাবার দেবার মুহূর্ত। আসলে মাছগুলো কিছুদিন আগেই দেওয়া হয়েছে তখন কিন্তু অনেক ছোট ছিল। আজকে সেই মাছগুলো অনেক বড় হয়ে গিয়েছে আপনিও খাবার দেওয়ার সময় কিছু ছবি তুলে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে বিকেল বেলায় মাছের খাবার দেওয়ার অনুভূতি বেশি মজার। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
মাছগুলো ভালই বড় হয়েছে কিছুদিন পরে বিক্রি করতে হবে।
তেলাপিয়া অথবা পাঙ্গাস মাছ আমার খুবই প্রিয়।আর মাছের খাবার দেওয়ার সময় যখন সমস্ত মাছ জড়ো হয় তখন আলাদা একটা মজা পাওয়া যায়।আপনার পুকুরে ৬০০০ তেলাপিয়া মাছ রয়েছে জেনে ভালো লাগলো।আশা করি আপনি এটা চাষ করে সফল হবেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
যখন এভাবে মাছগুলো খাবার খেতে শুরু করে তখন সেটা দেখতে খুবই ভালো লাগে।
পুকুরে মাছের খাবার দেয়ার অনুভূতি বলে বোঝানোর মত না। এটা এক ধরনের নেশা বলতে পারেন। আমার নিজেদেরও একটা পুকুর আছে। আমি প্রতিদিন সকাল হলেই মাছের খাবার দেই মাছ হইচই করে যখন খায় আমার তখন খুবই ভালো লাগে।
আসলে এটা একদম ঠিক কথা বলেছেন মাসের এইভাবে খাবার খেতে দেখা যেন একটা নেশার ব্যাপার।
এভাবে মাছের খাবার দেয়ার আনন্দ ও অনুভূতি সম্পূর্ণ অন্যরকম।অনেকগুলো মাছ দেখছি খুবই ভালো লাগছে।মাছগুলো আরেকটু বড় হলে আপনি আরো লাভবান হবেন ইনশাআল্লাহ আপনার জন্য দোয়া রইল। তেলাপিয়া মাছের খাবার দেয়ার অনুভুতি প্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।