"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪৯ || আমার তৈরি করা শীতের পিঠার রেসিপি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সবসময়ই সময়োপযোগী কনটেস্ট নিয়ে হাজির হয়ে যায়। যেহেতু শীতকাল চলে এসেছে আর শীতকাল মানে যেন পিঠার উৎসব। শীতকাল আসলেই চারিদিকে পিঠা তৈরির উৎসব লেগে যায়। যদিও আমাদের এলাকাতে এখনো তেমন শীত পড়তে শুরু করেনি তাই শীতকালীন জিনিসগুলো এখন তেমন একটা চোখে পড়ছে না। আর যেহেতু এখন কৃষকেরা ধান কাটাই ব্যস্ত সময় পার করছে তাই এই ধরনের জিনিস গুলো আরো বেশি পরিমাণে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। যেহেতু প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে আর আজকে শুক্রবার ছুটির দিন ছিল তাই তৈরি করে ফেললাম মজাদার একটা শীতকালীন। হয়তোবা এলাকা থেকে এইটার নাম ভিন্ন হতে পারে কিন্তু আমাদের এলাকাতে এটাকে বিস্কুট পিঠা বলা হয়। এই বিস্কুট পিঠাগুলো দুই ভাবে খাওয়া যায় একটা হচ্ছে চিনির রসে ভিজিয়ে আর একটা হচ্ছে চিনির রসে ভেজানোর আগেই।
বিস্কুট পিঠা তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ |
---|
ক্রমিক নম্বর | উপকরণের নাম |
---|---|
১ | আটা |
২ | চিনি |
৩ | সয়াবিন তেল |
৪ | লবণ |
৫ | ডিম |
৬ | নারিকেল |
৭ | পাঁচফোড়ন |
৮ | পানি |
ধাপ-১
পিঠা তৈরি করার জন্য প্রথমে আমি পরিমাণ মতো আটা নিয়ে নিলাম। তারপরে আমি পানি, লবণ এবং ডিম দিয়ে দিলাম।
ধাপ-২
সকল উপকরণ দেওয়ার কাজ শেষ হয়ে যাবার পরে আমি সেগুলোকে খুবই ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম।
ধাপ-৩
এরপরে আমি রুটির মত করে তৈরি করলাম। যেহেতু এর আগে আমি কোন সময় রুটি তৈরি করেছিলাম না তাই বিষয়টা আমার জন্য একটু কষ্টের হয়ে গিয়েছিল। রুটির মতো তৈরি করা হয়ে যাবার পরে আমি একটা গ্লাস দিয়ে সেগুলোকে গোল গোল করে কেটে নিলাম। যেহেতু গোল আকৃতিতে কাটার জন্য আমার কাছে অন্য কোন উপকরণ ছিল না তাই আমি স্টিলের ধারালো গ্লাস ব্যবহার করেছি।
ধাপ-৪
গোল আকৃতিতে কাটা হয়ে যাবার পরে সেগুলো এমন আকার ধারণ করেছিল।
ধাপ-৫
পিঠার আকৃতি সুন্দর করার জন্য আমি একটা কাটা চামচ দিয়ে পিঠার উপরে ডিজাইন তৈরি করে নিলাম।
ধাপ-৬
এরপরে আমি একটা শুকনো কড়াই দিলাম এবং কড়াই গরম হয়ে যাবার পরে তার মধ্যে আমি পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৭
তেল গরম হয়ে যাবার পরে আমি তার মধ্যে আমার তৈরি করার পিঠাগুলো দিয়ে দিলাম ভেজে নেওয়ার জন্য।
ধাপ-৮
তেল গরম থাকলে এই ধরনের পিঠাগুলো ভাজতে খুব একটা বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না কিন্তু প্রথমে তেল একটু কম গরম ছিল তাই একটু বেশি সময় লেগেছিল পিঠা ভাজতে।
ধাপ-৯
পিঠা ভাজার কাজ শেষ হয়ে যাবার পরে আমি সেগুলোকে আলাদা একটা পাত্রে তুলে রাখলাম।
ধাপ-১০
যেহেতু আমি এই বিস্কুট পিঠাগুলো চিনির রসে ভিজিয়ে খাব তাই পিঠা তৈরি হয়ে যাবার পরে আমি চিনির রস তৈরি করে নিয়েছি। এজন্য আমি কড়াই এর মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে তার মধ্যে চিনি দিয়েছি, চিনির রস তৈরি করে নেবার জন্য।
চিনির রস তৈরি করা হয়ে যাওয়ার পরে আমি পিঠাগুলোকে আস্তে আস্তে চিনির রসের মধ্যে দিয়ে দিলাম। এরপরে কিছু সময় রেখে দিলেই পিঠার মধ্যে চিনির রস প্রবেশ করে যাবে। রহস্য গুলো পিঠার মধ্যে প্রবেশ করাতে পিঠাটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে যাবে।
পরিবেশন
ঘন্টাখানেক পরে আমি সেগুলো খেয়ে দেখলাম এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আমার তৈরি করা শীতকালীন এই পিঠা তৈরীর পদ্ধতি আপনাদের কাছে লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্যে দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীতকাল শুরু হয়ে গেছে কিন্তু শীতকালের সেই সকল দিক এখন আর দেখা যাচ্ছে না। প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই ভাইয়া।
পিঠার রেসিপিটি দুর্দান্ত হয়েছে বলতেই হয়। দেখে খেতে ইচ্ছা করছে বেশ।
এই পিঠাটা আমাদের এলাকাতে প্রচুর পরিমাণে তৈরি হয় তাই ভাবলাম এটা শেয়ার করা যাক আপনাদের মাঝে।
প্রথমে আপনাকে অভিনন্দন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।আপনার পিঠাগুলো দেখে অনেক ভালো লাগছে মনে হচ্ছে উঠিয়ে নিয়ে খেয়ে ফেলি।পিঠা তৈরির প্রতিটি ধাপ ছবিসহ অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন যা পড়ে আপনার পিঠা তৈরি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি।
ছবি তো দিয়েই দিয়েছি আপু তুলে খেতে শুরু করে দেন।
ভাবছি যে এবারের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে যে এর মাধ্যমে আমরা অনেক লোভনীয় কিছু পিঠা দেখতে পারবো। আর আজ আপনি কিন্তু একটি আন কমন পিঠা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছেন। আমি অবশ্য এমন পিঠার কথা আগে শুনিনি। আজ আপনার মাধ্যমে পিঠাটি দেখতে পেলাম। বেশ লোভনীয় ছিল আজকের পিঠাটি। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
চেষ্টা করেছি আমাদের এলাকার ঐতিহ্য বাহী পিঠা তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রথমে আপনাকে জানাই আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আসলে বিস্কুট পিঠাগুলো তেলে ভেজে খেতে সত্যিই বেশ দারুন লাগে মামা। কিছুদিন আগে বাড়িতে তৈরি করেছিল বেশ মজা করে খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
বিস্কুট পিঠা হয় এজন্য এটা খেতে খুবই ভালো লাগে।
শীত মানেই বিভিন্ন ধরনের পিঠা খাওয়া। আর এবারের প্রতিযোগিতায় সেই শীতের বিভিন্ন ধরনের পিঠার রেসিপি দেখা যাবে, যা পরবর্তিতে বানিয়ে খাওয়া যাবে। প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহনের জন্য আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন। দেখতে বেশ ভালই লাগছে আপনার বিস্কিট পিঠা। চিনির শিরায় না ভিজিয়ে এ পিঠা খাওয়া যাবে। আর খেতেও বেশ মজা লাগবে।অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন শীত আসলে যেন চারিদিকে পিঠা খাবার উৎসব লেগে যায়।
শীতকাল আসলেই পিঠা খাওয়া ধুম পড়ে যায়। রসে ভেজানো পিঠা, দুধে ভেজানো পিঠা, তেল পিঠা কিংবা ভাপা পিঠা। আপনার প্রতিযোগিতার জন্য সুন্দর একটি চিনির রসে ভেজানো পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন। বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য শুভেচ্ছা রইলো।
রসে ভেজানো পিঠাগুলো খেতে সব সময়ই একটু বেশি ভালো লাগে।
প্রথমেই আমার বাংলা ব্লগের প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। বেশ স্বাদের একটি পিঠার রেসিপি উপস্থাপন করেছেন, এটা খেতে নিঃসন্দেহে সুস্বাদু ছিল। আর নামটা বেশ সুন্দর বিস্কুট পিঠা। যাইহোক বেশ গুছিয়ে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ রেসিপির মাধ্যমে পিঠা তৈরি দেখানোর জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই পিঠাটা খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল।
মুস্তাফিজ ভাইকে অভিনন্দন জানাই শীতের পিঠার রেসিপি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। কাটা চামচের সাহায্যে বেশ সহজেই আপনি পিঠার উপর ডিজাইন করেছেন। পিঠাগুলো কড়া করে ভাজায় বেশ সুন্দর একটি লাল লাল রং এসেছে, তাই দেখতে বেশ ভালো লাগছে। শুভকামনা রইল ভাই।
শীতের আরেকটা মজা হচ্ছে পিঠা খাওয়ার মধ্যে। এই সময়ে যে নতুন খেজুরের গুড় পাওয়া যায় সেটা দিয়ে তৈরি পিঠার স্বাদই আলাদা হয়। বিস্কুট পিঠা টা বেশ ইউনিক ছিল। এবং সেটা তৈরি করে আবার চিনির রসে ভিজিয়েছেন। বেশ চমৎকার ছিল। দারুণ তৈরি করেছেন পিঠা টা।
ঠিক বলেছেন ভাই যদি খেজুরের গুড় দিয়ে পিঠা তৈরি করা যায় তাহলে সেটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।
শীতের পিঠা তৈরির রেসিপিটা খুবই চমৎকার হয়েছে ভাইয়া। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই আপনাকে।
শীত মানে যেন পিঠার উৎসব তাই তো সুন্দর একটা পিঠা তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।