রেসিপিঃ তেলাকচুর পাতা দিয়ে বড়া তৈরির
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে মূলত একটা বড়া তৈরির পদ্ধতি শেয়ার করতে চলেছি। আমার তৈরি করা বড়ার এই রেসিপি দেখে হয়তোবা আপনারা অনেকেই অবাক হয়ে যেতে পারেন। কারণ আপনারা জিনিসটা দেখে ভাবতে পারেন যে এই ধরনের সাধারণ জিনিস দিয়েও এগুলো তৈরি করা যায় আর এগুলো কি খাওয়া যায়?
আপনাদের জানার সুবিধার্থে আমি বলে দিচ্ছি এই ধরনের রেসিপি গুলো যারা ডায়াবেটিস রোগী আছে তারা সব থেকে বেশি পরিমাণে ব্যবহার করে থাকে। কারণ তেলাকচুর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ঔষধ হিসেবে কাজ করে। যে সকল মানুষের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদেরকে ডাক্তারেরা বেশি বেশি করে তেলাকচুর তৈরি বিভিন্ন রেসিপি খাবার জন্য পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। যেহেতু বড়া জাতীয় জিনিস খেতে সকলেরই ভালো লাগে তাই আমি মূলত যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তাদের সুবিধার্থে এই রেসিপিটা তৈরি করে শেয়ার করছি। তো চলুন আমার তৈরি করা রেসিপি টা দেখে নেওয়া যাক...
তেলাকচুর পাতা দিয়ে বড়া তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ |
---|
ক্রমিক নম্বর | উপকরণের নাম |
---|---|
১ | তেলাকচুর পাতা |
২ | পেঁয়াজ বাটা |
৩ | সয়াবিন তেল |
৪ | লবণ |
৫ | মরিচের গুঁড়া |
৬ | হলুদের গুঁড়া |
৭ | রসুন বাটা |
৮ | আটা |
৯ | পানি |
ধাপ - ০১
যেহেতু আমি তেলা কচুর পাতাগুলো বিভিন্ন জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করেছি তাই এগুলোকে আমি প্রথমেই ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি। কারণ এই পাঠাতে প্রচুর পরিমাণে রোগ জীবাণু এবং ময়লা লেগে থাকতে পারে। এগুলো এজন্যই সব থেকে ভাল ভাবে প্রথমে পরিষ্কার করে ধুয়ে নেয়াটা প্রয়োজন।
পরে আমি বড়া তৈরি করার জন্য প্রথমেই চাউলের আটা এবং গমের আটা নিয়ে নিয়েছি। একই সাথে আমি সেখানে সামান্য পরিমাণে খাবার সোডা ও দিয়ে দিয়েছি।
এরপরে আমি তার মধ্যে পরিমাণ মতো পেঁয়াজ বাটা দিয়ে দিয়েছি।
এরপরে আমি তার মধ্যে মরিচের গুঁড়া এবং হলুদের গুঁড়া পরিমাণ মতো দিয়ে দিয়েছি।
সবগুলো উপকরণ দেয়ার কাজ শেষ হয়ে যাবার পরে আমি পরিমাণ মতো পানি দিয়ে সেগুলোকে গুলিয়ে নেয়া শুরু করে দিয়েছি।
সবকিছু একসাথে গুলিয়ে নেয়া হয়ে যাবার পরে আমি তার মধ্যে তেলাকচুর পাতাগুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপরে আমি একটা শুকনো কড়াই নিয়ে নিয়েছি।
কড়াই গরম হয়ে যাবার পরে তার মধ্যে আমি পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিয়েছি।
সয়াবিন তেল গরম হয়ে যাবার পরে আমি তার মধ্যে আস্তে আস্তে তেলাকচুর পাতা এবং আটা দিয়ে যে মিশ্রণ তৈরি করেছিলাম সেগুলো দিতে শুরু করলাম।
কড়াই এর ওপর কিছুক্ষন সময় সেগুলো রাখার পরে প্রায়ই আমার তৈরি করা এই তেলাকচুর বড়া হয়ে গিয়েছিল।
তেলাকচুর পাতা দিয়ে বড়া তৈরীর কাজ শেষ হয়ে যাবার পরে আমি সেগুলোকে আলাদা একটা জায়গায় নামিয়ে রেখেছি।
আমার শেয়ার করা ভিন্ন ধরনের এই বলা তৈরির পদ্ধতি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
এই পাতাগুলো খাওয়া যায় আর এর নাম তেলাকচুর পাতা জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। বড়া দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমারও জানা ছিল না প্রথমবার আমি ইউটিউবে এটা দেখেছিলাম।
সত্যি বলতে জানতামই না যে তেলা কচুর পাতা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য এতটা বেশি উপকারী। এর আগে তেলাকুচুর পাতা ভর্তা খেয়েছি তবে আপনার মত করে এরকম ভাবে কখনো তেলা কচুর পাতা দিয়ে বড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল আর আপনি দারুণভাবে আমাদের মাঝে রেসিপিটি তুলে ধরেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটা খুবই উপকার।
তেলাকচুর পাতা দিয়ে বড়া তৈরি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আজকাল বাজারেও এই খাবার কিনতে পাওয়া যায়। তেলাকচুর পাতা দিয়ে বড়া তৈরি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আমিও লক্ষ্য করে দেখেছি আজকাল বাজারে এটা কিনতে পাওয়া যায়।
আমাদের দিকে বিখ্যাত একটা কচু হলো এই তেলা কচু। তেলা কচুর বড়া এর আগেও খেয়েছি। খেতে খুবই মজা লাগে। আপনি ধাপে ধাপে সুন্দর করে দেখিয়েছেন 🦋
আমি এই দিনই প্রথম এটা পেয়েছিলাম ভালোই লেগেছিল।
তেলাকচুর পাতা দিয়ে বড়া তৈরির চমৎকার একটি রেসিপি আপনার মাধ্যমে দেখতে পেলাম ভাই। এর আগে এ জাতীয় রেসিপি দেখা হয়নি। আর বড়া খেতে আমার সবসময়ই বেশি ভালো লাগে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, একটি নতুন রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে এটা তো একটা ইউনিক ধরনের জিনিস তাই কেউ শেয়ার করেনি।
এই পাতা ডায়াবেটিসের জন্য খাওয়া হয় সেটা আমি জানি। তবে এই পাতার নাম যে তেলাকচু পাতা সেটা আমি জানতাম না। নামটা জানতে পারে বেশ ভালোই লেগেছে। এই পাতা বেশ মজার করে শাক রান্না করা যায়। আজকে আপনি বেশ মজার করে বড়া তৈরি করলেন অনেক ভালো লেগেছে দেখে। খুবই উপকারী একটা রেসিপি শেয়ার করলেন আপনি।
আপনি বিষয়টা নিয়ে ভালোভাবে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখতে পারেন আপু।
তেলাকচুর পাতা দিয়ে খুবই সুস্বাদু পাকোড়া তৈরি করেছেন। এই পাকোড়া আগে কখনোই খাওয়া হয়নি। আশা করছি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হবে তাছাড়া এই তেলা কচু পাতা ডায়াবেটিসের জন্য ভালো জেনে ভালো লাগলো এই বিষয়টা আগে জানা ছিল না।
এইটা একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু আশা করি খুবই ভালো লাগবে আপনার কাছে।
শেয়ার লিংক