একজন প্রকৃত দায়িত্ববান ব্যক্তির কর্মকান্ড
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার, সেপ্টেম্বর ৫/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সত্যি কথা বলতে আমি খুব একটা বেশি ভালো নেই। আজকে সকাল থেকেই আমার শরীরে জ্বর জ্বর অনুভব করছি আর সেই সাথে প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ব্যথা একই সাথে ঠান্ডাও লেগে গিয়েছে। সব মিলিয়ে আমার শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ বল চলে। এত খারাপ শরীর নিয়েও স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবার চেষ্টা করছি যদিও একটু কষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমার জন্য স্বাভাবিক জীবনযাপন করা।
এবার আসি আজকের পোস্টের প্রসঙ্গে, আমরা অনেকেই হয়তোবা বয়স বৃদ্ধি পাওয়াকে কর্ম থেকে অবসর নেয়া কে বুঝে থাকে। আবার অনেকেই মনে করি যে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষ কর্মকম হয়ে। কথাটি অনেক ক্ষেত্রে সত্যতা প্রমাণ হলেও আমাদের কে একজন সেই কথাটি মিথ্যা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিতে শুরু করে দিয়েছেন। কিরে আর কেউ নয় তিনি হচ্ছে আমাদের স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ শামসুল হোসেন। তিনি তার কর্ম গুণের ফলেই খুব গল্প সময়ের মধ্যে আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন। যদিও তিনাকে তিন মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যদি তিনি এই তিন মাসে ভালো ফলাফল দেখাতে পারেন তাহলে হয়তোবা তিনি হতে পারেন আমাদের স্কুলের ভবিষ্যৎ।
সত্য কথা বলতে আমি মাঝে মাঝে শামসুল স্যারের কাজকর্ম দেখে অবাক হয়ে যায় কেননা তিনি বেশ কিছুদিন আগে এক্সিডেন্ট করে খোঁড়া হয়ে গিয়েছেন। তারপরও তার মধ্যে আমি কোন ধরনের অলসতা দেখতে পায় না যে কোন কাজের ক্ষেত্রে তিনি সবার আগে অবস্থান করে থাকেন। আজকে আমি একটু দেরি করে স্কুলে পৌঁছেছিলাম হয়তোবা তখন ঘড়িতে বাজে আটটা পাঁচ মিনিট। স্কুলে প্রবেশ করার পরেই আমি দেখতে পেলাম আমাদের বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ শামসুল হোসেন বিদ্যালয়ের মাঠের ঘাস গুলো পরিষ্কার করতে শুরু করেছে। আমি তাকে প্রশ্ন করলাম স্যার আপনি কেন এই ধরনের কাজ করছেন আপনি তো আমাদেরকে বলতে পারতেন আমরাই পরিষ্কার করে দিতাম বিদ্যালয় এর আগাছাগুলো। জবাবে তিনি আমাদেরকে বললেন আমি একটু আগে এসেছি আজকে স্কুলে আর আমি বর্তমানে তোমাদের প্রধান শিক্ষক তাই আমার কর্তব্য হচ্ছে সবার আগে যে কোন কাজে নিজে হাত লাগানো যাতে করে তোমরা আমায় দেখাদেখি সেই কাজ করার উৎসাহ লাভ কর।
শামসুল স্যারের কথাবার্তা শুনে আমি সত্যিই অনেক মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগুলো যদি আমাদের শামসুল স্যারের মতো দায়িত্ববান হতো তাহলে হয়তো বা আমাদের দেশের বিদ্যালয়ে গুলো আরো সুন্দর হয়ে উঠতে পারতো। আসলে সত্য কথা বলতে কি আমাদের দেশে একটা প্রবণতা খুব বেশি লক্ষ্য করা যায় সেটা হচ্ছে যদি কেউ একটু উপরের দিকে উঠে যায় তাহলে সে আর মানুষকে মানুষ মনে করে না কোন কাজকেই সে কাজ মনে করে না। সে সব সময় মনে করতে থাকে আজকে তো আমি অফিসার হয়ে গিয়েছি আমি কেন এত ছোট কাজ করব। কিন্তু এই ধরনের চিন্তাধারা গুলো সত্যিই সমাজের ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসে। যদি আমাদের দেশের প্রত্যেকটি অফিসার এই ধরনের কাজের সাথে সম্পর্কিত থাকতো তাহলে খুবই ভালো হতো যদি তারাই নেতার ভূমিকা পালন করে যে কোন কাজে নিজে আগে অগ্রসর হতো তাহলে পিছে পিছে সকলেই তার সেই কাজে অগ্রসর হতে শুরু করতো। আসলে বর্তমান সময়ে প্রকৃত নেতার খুব অভাব রয়ে গিয়েছে।
আমার শেয়ার করা এই পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তীতে দেখা হবে নতুন আরো একটি পোষ্টের মাধ্যমে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
সত্যি ভাই পোস্টটি আমার খুব ভালো লেগেছে এই কারণেই যে যারা প্রকৃত দায়িত্ববান তারা যে কোন কাজকেই সেটা হোক ছোট হোক বড় নিজের মনে করে করতে থাকে এটাই হচ্ছে দায়িত্ববান লোকের লক্ষণ। আর আপনাদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শামসুল হক স্যার কে আমি স্যালুট জানাই তিনি একজন বয়স্ক লোক হওয়া সত্বেও এবং এক্সিডেন্ট করে পায়ে আঘাত পাওয়া সত্ত্বেও তার দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে খুবই সচেতন। আপনি একদম ঠিকই বলেছেন ভাই আমরা সবাই যদি এরকম শামসুল হক স্যারের মত দায়িত্ব-কর্তব্য পরায়ণ হতাম তাহলে হয়তো দেশটা ও আরো অনেক সুন্দর হতো।
শিক্ষকদের কর্মকাণ্ড কাজ কথাবার্তা চিন্তা ভাবনা অন্য সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এখনকার শিক্ষকদর মধ্যে দায়িত্বহীনতা একটু বেশি দেখা যায় । আপনাদের শামসুল স্যার এর মতো কর্মঠ দায়িত্ব পরায়ন স্যার হয়তো খুবই কম আছে ভাই।। ভালো লাগল উনার সম্পর্কে জেনে। আর আপনার সুস্থতা কামনা করছি।।
প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি, দ্রুত সুস্থ হয়ে যান। একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাঠের আগাছা পরিষ্কার করছে এ এক বিরল দৃশ্য। শামসুল স্যারদের কাছ থেকে সমাজ এবং জাতির অনেক কিছু শিখার আছে। শামসুল স্যারেরা আছেন বলেই এখনো সমাজে কিছু নৈতিকতা, মূল্যবোধ আছে। আপনার পোস্টে কিছু বানান ভুল আছে একটু দেখে নিবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।