আমাদের পুকুরে মাছ ধরার কিছু মুহুর্ত||১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য ||

আমাদের গ্রাম অঞ্চল গুলোতে যখন পুকুরে মাছ ধরা হয় তখন সেখানে অনেক মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। আমাদের এই আকৃতিতে একটু বড় হবার কারণে অনেকগুলো জেলে এসেছে পুকুরে মাছ ধরার জন্য। যা একটি উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আমার পুকুরে পৌঁছাতে একটু দেরী হয়ে যাবার কারণে আমি পুকুরে জাল নামানোর দৃশ্যগুলো ধারণ করতে পারিনি, আমি যখন পুকুরে পৌঁছে ছিলাম তখন মাছ ধরা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কেমন করে আমাদের গ্রামের পুকুরে মাছ ধরা হয় তার একটি ভিডিও আমি উপরে প্রকাশ করেছি আপনারা চাইলে এটি দেখে নিতে পারবেন।

প্রত্যেকটা জেলে চেষ্টা করছিল তাদের সাধ্যমতো বড় বড় মাছ ধরার জন্য। যাতে করে তারা সেই মাছগুলো ভালো দামে বাজারে বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

জেলেরা প্রতিনিয়ত পুকুর থেকে মাছ ধরে এবং তা বাজারে বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন করে। আমাদের পুকুরে অনেক ধরনের মাছ ছিল যার পরিপ্রেক্ষিতে জেলেরা তাদের ইচ্ছামতো মাছ সংগ্রহ করে নিচ্ছিল বাজার বিক্রয়ের জন্য।

• রুই
• সিলভার কার্প
• জাপানি কার্প
• বাটা
• পাঙ্গাস
• তেলাপিয়া

উপরের উল্লেখিত মাছগুলো আমাদের পুকুরে প্রচুর পরিমাণে ছিল। আর এই মাছগুলোর আকৃতিও অনেক বড় হয়ে গিয়েছিল। যদি আপনারা কোন সময় পুকুর থেকে ধরে আনা মাছ রান্না করে খেয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন এই মাছগুলো কতটা সুস্বাদু হয় খেতে। আমার বাড়ি গ্রামাঞ্চলে হবার কারণে আমরা সচরাচর এই ধরনের টাটকা সুস্বাদু মাছ খাবার সুযোগ পাই।

মাছ ধরা শেষ হয়ে যাবার পরে জেলেরা সেই মানুষগুলো হাঁড়িতে ভর্তি করে আস্তে আস্তে পুকুর থেকে উপরে তুলে আনার চেষ্টা করল। পুকুর থেকে মাছ ভর্তি হাঁড়ি উপরে তুলতে জেলেদের অনেক কষ্ট করতে হয়। কারণ মাছের সাথে সাথে এর ভিতরে অনেক পানি থাকে।

একই সময়ে আরো অন্যান্য জেলেরা মাছ ধরার জাল টি পুকুরের পাড়ে তুলতে শুরু করে দিল। জাল উপরে তোলার দৃশ্যটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।

এর পরে শুরু হল মাছ ওজন করার কাজ।মাছ ওজন করার জন্য জেলেরা একটি বড় ডালি নিয়ে এসেছিল। তারা হাঁড়ি থেকে সকল মাছ ডালির ভেতরে ঢেলে দিল এবং পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটি জাতের মাছ আলাদা আলাদা করে ওজন দেয়া শুরু করল।

আমি ভিডিওর মাধ্যমে আপনাদেরকে দেখাতে চেষ্টা করেছি কিভাবে পুকুরের মধ্য থেকে জেলেরা জাল পাড়ে তুলে আনে এবং কিভাবে মাছগুলো ওজন করা হয়। ভিডিওটি আশা করি আপনারা দেখলে ভাল লাগবে এবং পুরো ব্যাপারটি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

মাছ ধরা এবং জেলেদের কাছে বিক্রয় করা শেষ হয়ে যাবার পরে আমি কিছু মাছ বাড়িতে খাবার জন্য নিয়ে এসেছিলাম। আমি চেষ্টা করেছিলাম সবথেকে সুন্দর মাছগুলো বাড়ির জন্য নিয়ে আসার জন্য। আর যে মাছগুলো আমি বাড়ির জন্য নিয়ে এসেছিলাম এগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। এই মাছগুলো সুস্বাদু হবার আরো একটি বড় কারণ হচ্ছে এগুলো আমরা নিজেরা ছোট থেকে বড় করেছি এবং আমরা নিজেরাই এগুলোর সুন্দরভাবে পরিচর্যা করেছি।

আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।