লোভনীয় বরই ভর্তা করার পদ্ধতি||১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য ||
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে রবিবার ,ফেব্রুয়ারি ২০/২০২২
আচ্ছালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বরই ভর্তা করার পদ্ধতি শেয়ার করব। চলুন শুরু করা যাক....
বরই ভর্তা করার পদ্ধতির উপকরণ |
---|
ক্রমিক নম্বর | উপকরণের নাম |
---|---|
১ | বরই |
২ | ধনিয়া পাতা |
৩ | কাঁচা মরিচ |
৪ | লবণ |
বরই ভর্তা করার পদ্ধতির ধাপসমূহ |
---|
🍲ধাপ - ০১🍲
বরই ভর্তা করার জন্য আমি প্রথমেই কিছু বরই নিয়ে নিয়েছি।
🍲ধাপ - ০২🍲
তারপরে আমি বরই গুলোকে পরিষ্কার করার জন্য পানির মধ্যে রেখে দিয়েছি।
🍲ধাপ - ০৩🍲
এই ধাপটিতে আমি বরই ছেচে নেবার পদ্ধতিগুলো আপনাদেরকে ছবির মাধ্যমে দেখিয়েছি। প্রত্যেকটি ছবি যদি আপনারা একটু মনোযোগ সহকারে দেখে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন কিভাবে এটি ছেচে নিতে হয়।
🍲ধাপ - ০৪🍲
আমার নেয়া সকল বরই ছেচা হয়ে গেলে সেগুলো আমি আলাদা একটি পাত্রে রেখে দিয়েছি। তখন বরই গুলো এমন আকার ধারণ করেছিল।
🍲ধাপ - ০৫🍲
এই ধাপটিতে আমি পরিমাণমতো ধনিয়া পাতা এবং লবণ নিয়েছি ভালোভাবে বাটার জন্য।
🍲ধাপ - ০৬🍲
এই ধাপটিতে আমার নেয়া ধনিয়া পাতা গুলো প্রায় অর্ধেক বাটা হয়ে গেছে।
🍲ধাপ - ০৭🍲
ধনিয়া পাতা বাটা শেষ হয়ে যাবার পরে আমি সেগুলো বরই এর উপর রেখে দিয়েছি।
🍲ধাপ - ০৮🍲
তারপরে আমি পরিমাণ মত কাঁচা মরিচ এবং লবণ নিয়েছি ভালোভাবে বাটার জন্য।
🍲ধাপ - ০৯🍲
এই ধাপটিতে আমার নেয়া কাঁচামরিচ গুলো প্রায় অর্ধেক বাটা হয়ে গিয়েছিল।
🍲ধাপ - ১০🍲
কাঁচামরিচ গুলো সম্পন্ন বাটা হয়ে যাবার পরে আমি সেটি বরই ওপর পুনরায় রেখে দিলাম। তারপরে এরমধ্যে পরিমাণমতো লবণ দিলাম মাখিয়ে নেবার জন্য
🍲ধাপ - ১১🍲
তারপরে আমি হাত দিয়ে সকল উপকরণ গুলো খুবই সুন্দর ভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
🍲ধাপ - ১২🍲
সকল কাজ শেষ হয়ে যাবার পরে আমি কিছু বরই ভর্তা আলাদা একটি পাত্রে নিয়ে নিয়েছি।
আমি জানি এই বরই ভর্তা প্রতিটি মানুষের কাছে খুবই লোভনীয় একটি খাবার। এই বরই ভর্তা দেখার পরে প্রত্যেকটি মানুষের জিভে জল চলে আসে। আপনারা যদি ইচ্ছা করেন তাহলে খুব সহজে আমার মত করে বরই ভর্তা করতে পারবেন। এর জন্য আপনাদের খুব একটা বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র উপকরণগুলো একত্রিত করবেন এবং আমার দেখানো ধাপগুলো অনুসরণ করবেন তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে লোভনীয় একটি বরই ভর্তা।
🍲 আমার নিজের সাথে বরই ভর্তার একটি ছবি 🍲
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
ভাই আপনার বড়াই ভর্তার রেসিপি টা আমার কাছে অনেক লেগেছে। সচরাচর আমরা বড়াই এমনিতেই খাই কিংবা আচার করে খাই। তবে ভর্তা করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার বড়ই ভর্তা রেসিপি করার পদ্ধতি গুলো ধাপ আকারে খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে লোভনীয় বরই ভর্তা করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছেন। আপনি যখন দুনিয়া গুলো বেটে ছিলেন দেখতে খুবই সুন্দর লেগেছিলো। এত সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
এই সময়টায় চারদিকে বড়ই পাওয়া যায়। আর এই বড়ই এর ভর্তা বা আচার যেটাই বলি না কেন বেশ দারুন লাগে। আর আপনি খুব সুন্দর করে রেসিপি তৈরীর বর্ণনা ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
টুইটার শেয়ার লিংক
আসলেই বরই ভর্তা অনেক লোভনীয় একটি খাবার। আমরা অনেক সময় এটা আমাদের খামার বাড়িতে গিয়ে সেখানে বরই পেড়ে নিজেরা বানিয়ে খেতাম। যদিও এখন সময় স্বল্পতা ও মন মানসিকতার কারণে তেমন একটা যাওয়া হয় না। তবে আপনার এই ভর্তা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ,এবং ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনা করব।
আপনার মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ভাইয়া কিছু বলার নাই জিভে জল চলে এসছে ।খাওয়ার পর আপনার যেমন অবস্থা হয়েছিল সেটিকে অনুভব করছি।
গঠনমূলক মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ভাইয়া আপনি আজকে চমৎকার ভাবে লোভনীয় বরই ভর্তা করার পদ্ধতি শেয়ার করেছেন দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না ধন্যবাদ আপনাকে
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এটা দেখলে কোন ভাবে লোভ সামলানো যায় না
বরই ভর্তা দেখে জিভে পানি চলে আসলো ভাইঅ। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে । আর দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজা হয়েছিল এই ভর্তাটি। আর শেষে ধনিয়া পাতা ও কাঁচামরিচ বেটে দেওয়ায় আরো লোভ লেগে গেলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য 🙂
এত সুন্দর করে মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
এই রেসিপিটা আমাদের এলাকায় অনেক বিখ্যাত কেননা আমাদের এলাকায় যখন বড়ই এর মৌসুম আসে তখন ধনেপাতা দিয়ে ঠিক এই ভাবেই বরই ভর্তা রেসিপি তৈরি করা হয়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি আমার দেখতে খুবই লোভনীয়। যাইহোক আপনি এই রেসিপিটা আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার গঠনমূলক মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
এ ধরনের খাবার শেয়ার করা আসলে ঠিক না ভাইয়া ।দেখলে খেতে ইচ্ছা করে ।এগুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক টক কিন্তু খেতে খুবই মজা। টক মিষ্টি মেশানো এক ধরনের বড়ই থাকে সেরকম লাগছে দেখতে ।তারপরে আবার ভর্তা করলেন ইশ যদি খেতে পারতাম ।সেই ছোটবেলায় খেয়েছি আর খাওয়া হয়নি আপনার খাবারটির দেখে আবার মনে পড়ে গেল খাবারটির কথা ।সত্যি আমার জিভে পানি চলে এসেছে ।খাবার দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে।
এত সুন্দর করে মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ