লাইফস্টাইলঃ বিপিএড এ ভর্তি হবার লক্ষ্যে কুষ্টিয়া শহরে
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট দিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। কয়েকদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে কুষ্টিয়াতে চিতই পিঠা খাবার একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। সেখানে আমি শুধুমাত্র আপনাদেরকে পিঠা খাবার অনুভূতি শেয়ার করেছিলাম কিন্তু কি কারনে আমি কুষ্টিয়াতে গিয়েছিলাম সেটা আপনাদেরকে বলা হয়েছিল না। যে কারণে আমি কুষ্টিয়াতে গিয়েছিলাম সেই বিষয়টা নিয়েই আজকে আমি আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য হাজির হয়ে গিয়েছি। উপরের ছবিটা দেখে হয়তো বা আপনারা অনেকেই বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা করতে পেরেছেন।
যেহেতু ডিসেম্বর মাস আর এই সময় স্কুলের কাজের পরিমাণটা কিছুটা কম রয়েছে তাই এই অবসর সময়টাকেই ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারলাম। আসলে অবসর সময় বলেছে সেখানে গিয়েছি তা কিন্তু নয় সেখানে গুরুত্বপূর্ণ একটা দরকার এ গিয়েছিলাম যা আমাকে শত ব্যস্ত থাকলেও পূরণ করতে হতো। অনেকদিন থেকে ই চিন্তা করে রেখেছিলাম বিপিএড এ ভর্তি হব। অনেকদিন বলতে প্রায় এক বছর আগে থেকেই আমার এমন চিন্তাটা ছিল। কিন্তু গত বছরে আমার অনার্স ফাইনাল ইয়ারের রেজাল্ট দেরিতে দেবার কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম না। ভর্তি তাই শেষ হয়ে যাবার মাত্র ৭ দিন পরে আমার রেজাল্ট দিয়েছিল। যদি সঠিক সময়ে দিয়ে দিত তাহলে আমি গত বছরে ভর্তি হয়ে যেতে পারতাম আর এ বছর আমার লেখাপড়া শেষ হয়ে যেতো।
যেহেতু আমি বিপিএড বলেছি তাই হয়তোবা আপনারা অনেকেই বিষয়টার সাথে পরিচিত নয়। তাহলে এবার আমি আপনাদেরকে বিষয়টা ভালোভাবে খুলে বলি।বিপিএড এ আমরা ভর্তি হয়ে থাকি যে কোন স্কুল কলেজের শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক হবার জন্য। এখানে বেশিরভাগ খেলাধুলা বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। একথায় আমরা স্কুল বা কলেজের গেম টিচার বলতে যে পদ টাকে বুঝে থাকি সেই পদে চাকরি পাওয়ার জন্য এই কোর্স করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু আমার খেলাধুলা অনেক পছন্দ তাই চিন্তা করলাম যদি খেলাধুলা বিষয়ে শিক্ষক হওয়া যায় তাহলে ভালই হবে। আর এই কারণেই মূলত এই কোর্সটিতে আমি ভর্তি হলাম। এক বছরের এই কোর্স করার জন্য আমাকে বড় একটা সংখ্যার কোর্স ফি দেওয়া লাগবে তারপরও আমি ভর্তি হয়ে গিয়েছি ইতিমধ্যেই।
আমরা দুজন সেখানে গিয়েছিলাম। আসলে ভর্তি শুধুমাত্র আমি হয়েছি আর আমার সাথে আমার একটা ছোট ভাই গিয়েছিল তার ইচ্ছা ছিল কুষ্টিয়া ভ্রমণ করা। একই সাথে আমার কাজও হয়ে গেল আর তার ভ্রমণও হয়ে গেল। কুষ্টিয়া শহরে আমরা যে জায়গাগুলো ভ্রমণ করেছি তা আমি অন্য কোন সময় আপনাদের মাঝে পোস্ট আকারে শেয়ার করব। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
বিপিএড মানে যে শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক এটা আমি জানতাম না ভাই। তবে আপনার এক বছর লস হয়ে গেল এটা জেনে খুব খারাপ লাগছে। আগের বছর ভর্তি হতে পারলে হয়তো এই বছর আপনার কোর্সটা শেষ হয়ে যেত। যাই হোক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে আপু এটা হচ্ছে একটা কোর্সের নাম।