উপদেষ্টা কর্তৃক স্কুল পরিদর্শন
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। যেহেতু আমাদের স্কুলের নতুন শিক্ষা বর্ষ শুরু হয়েছে তাই অন্যান্য বছরে তুলনায় এ বছরে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু অন্যান্য বছরে তুলনায় আমাদের স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে আর আমাদের স্কুলটার নতুন স্কুল হবার কারণে এটা মোকাবেলা করাটা খুবই চ্যালেঞ্জের বিষয়। এজন্য আমাদের স্কুলের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে প্রতিনিয়ত আমাদেরকে পরামর্শ প্রদান করা হয় । আমরা প্রতিনিয়ত উপদেষ্টা মহলের সেই পরামর্শ গ্রহণ করি এবং সেই অনুযায়ী আমাদের স্কুলের কার্যক্রম চালিয়ে থাকি। যেহেতু আমি স্কুলের পরিচালক তাই সকল নিয়ম কানুন উপদেষ্টা মহল থেকে আমাকেই জানাই আর আমি সেটা প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে স্কুলে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করি।
যেহেতু নতুন বছর চলছে আর এই বছরে আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী কেমন ভর্তি হয়েছে এবং তারা কিভাবে লেখাপড়া করছে সেই দিকটার লক্ষ্য করার জন্যই আমাদের প্রধান উপদেষ্টা আজকে স্কুলে এসেছিলেন। তিনি স্কুলের প্রত্যেকটি শ্রেণীকক্ষ ঘুরে ঘুরে দেখলেন এবং তিনি দেখলেন কিভাবে শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদেরকে পাঠদান করান না। এই অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের স্কুলের ছেলে মেয়েরা এতটা ভালোভাবে উন্নতি লাভ করতে পেরেছে এটা দেখে তারা খুবই খুশি। শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের সাথেই নয় আমাদের স্কুলের উপদেষ্টা আজকে স্কুলে আগত নতুন সকল অভিভাবকদের সাথেও কথা বলেছেন। অভিভাবকদের কথা শুনে ও আমাদের উপদেষ্টা অনেক খুশি হয়েছে।
যেহেতু আমাদের এটা প্রাইভেট স্কুল তাই স্কুলের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করার বিষয়টা সবগুলোই থাকে উপদেষ্টাদের হাতে। উপদেষ্টারা চাইলেই যেকোনো শিক্ষকের বেতন ইচ্ছা মতন নির্ধারণ করতে পারে। কিন্তু আমাদের স্কুলে শিক্ষকেরা কেমন পাঠদান করেছে এবং কিভাবে নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে পাঠদান করা আছে সেই বিষয়গুলো খুবই ভালো ভালো লক্ষ্য করা হয়। যেহেতু এবছর আমাদের স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে তাই উপদেষ্টা রা সিদ্ধান্ত করে প্রত্যেকটা শিক্ষকের খুবই ভালোভাবে বেতন বৃদ্ধি করেছে। আর এই বেতনে আমার কাছে মনে হয় প্রত্যেকটি শিক্ষকেরাই প্রচুর পরিমাণে খুশি হয়েছে।
যেহেতু শিক্ষকেরা এখন খুশি হয়েছে তাই ভবিষ্যতে আমাদের স্কুলের ছাত্রছাত্রী আরো ভালোভাবে সকল বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারবে বলে আমার কাছে মনে হয়। এই এক মাসের মাথায় আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা যেমন ফলাফল করতে শুরু করেছে এবং তাদের লেখাপড়ার প্রতি যতটা আগ্রহ জন্মেছে সেটা দেখে আমাদের উপদেষ্টা সত্যিই অনেক খুশি। আশা করি পরবর্তী সময়ে আমরা আরো ভালো ফলাফল করতে পারব।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
স্কুলের শিক্ষকেরা ছেলেমেয়েদেরকে ভালো শিক্ষা দিচ্ছে এজন্যই তো তারা নিজেদেরকে সেভাবে তুলে ধরতে পেরেছে তবে উপদেষ্টা যেহেতু বিষয়গুলো কাছ থেকে লক্ষ্য করেছে তাই বেতন বাড়ানোর বিষয়টা নিয়ে বিবেচনা করছে।
আমরা সব সময় চেষ্টা করি আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খুবই ভালো শিক্ষা দিতে।
নতুন বছরে আপনাদের স্কুলে অনেক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়েছে এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনাদের স্কুলের পরিবেশটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে কেননা আপনারা সব সময় অনেক নিয়ম নীতির মধ্য দিয়ে স্কুল পরিচালনা করেন। আর উপদেষ্টা মহল এর লোকজন ও খুবই ভালোভাবে স্কুলের খোঁজ খবর রাখে।
আসলে এ বছরে আমাদের স্কুলে অনেক নতুন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়েছে।
মাঝে মাঝে উপদেষ্টা স্কুলে আসা অত্যন্ত জরুরি কারন স্কুলের পরিবেশ বোঝার দরকার আছে। শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের কেমন পাঠ দান করাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা কেমন শিখছে সেই সম্পর্কে জানতে পারে। তাছাড়া স্কুলে অনেক কিছু প্রয়োজন পড়ে অনেক সুবিধা অসুবিধা সম্মুখীন করতে হয় সে বিষয়ে তাকে অবগত হওয়া উচিত।
আমাদের স্কুলের উপদেষ্টারা মাঝে মাঝে স্কুলে আসে এবং কেমন হচ্ছে লেখাপড়া সেগুলোর ভালোভাবে লক্ষ্য করে।
নতুন বছরে যেহেতু আপনাদের স্কুলে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, তার মানে আপনাদের দায়িত্বও অনেক গুণে বেড়ে গিয়েছে। তার উপর আবার উপদেষ্টা কর্তৃক স্কুল পরিদর্শন হলো, তার মানে আরো অনেক বিষয় থাকবে সেখানে। তবে বেতন বাড়ানোর ব্যাপারটা উপদেষ্টার হাতে থাকে, এটা আমার জানা ছিল না। আজকেই প্রথম জানলাম বিষয়টি। আশা করি, পরবর্তীতে আপনাদের স্কুলের কার্যক্রম আরো সুষ্ঠু এবং সুন্দর হবে আর ছাত্র-ছাত্রী প্রতিনিয়ত এভাবে বাড়তে থাকবে।
এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন এবার দায়িত্বের পরিমাণটা অনেক বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে
দায়িত্বের সাথে বেতনও বাড়বে, এই ভেবে একটু খুশি হয়ে নিতে হবে ভাই।