ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর ভয়াবহতা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা সকলে লক্ষ্য করে দেখেছেন যে গতকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় খুবই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যদিও আমাদের এলাকাতে কোন নদী নেই তারপরও লক্ষ্য করে দেখতে আমাদের এলাকাতেও প্রচুর পরিমাণে ভয়াবহ রূপ এই ঘূর্ণিঝড়ের। যেহেতু আজকে আমাদের এলাকাতে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ তাই আপনাদের মাঝে ভালোভাবে পোস্ট করার সুযোগ পাচ্ছিনা। যেহেতু কালকে থেকেই ইন্টারনেট সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে তাই ভালোভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিনা। শুধুমাত্র পোস্ট করার জন্য আমি বাইরে আসলাম তারপরও এখানে ইন্টারনেট সংযোগ খুবই খারাপ। তারপরও চেষ্টা করছি প্রত্যেক দিনের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখার জন্য আপনাদের মাঝে একটি পোস্ট শেয়ার করার।
যদিও আমাদের এলাকাতে নদী নেই তারপরও ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবে আমাদের এলাকাতে প্রচুর পরিমাণে গাছ ভেঙে পড়ে গিয়েছে। মানুষের যে কি পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে তা বলে বোঝানো সম্ভব হবে না। ক্ষতির পরিমাণটা যদিও এখনো ঠিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে না কেননা এই ঝড়ের কারণে কেউ বাইরে যেতে পারছে না। যখন সকলে বাইরে যেতে পারবে তখন বোঝা যাবে যে এই ঘূর্ণিঝড় এই রেমালের কারণে ক্ষতি পরিমান টা কতটা বেশি হয়েছে। আমি হালকা কিছু সময় বাইরে এসেছিলাম এসে দেখতে পারলাম যে আমাদের এলাকাতে অনেক গাছ ভেঙে পড়ে গিয়েছে।
আর একটা জিনিস আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে সেটা হচ্ছে লক্ষ্য করে দেখলাম যে এই ঝড়ে প্রচুর পরিমাণে আম পাচ্ছে ছোট ছেলেমেয়েরা। আসলে এই ঝড়ের কারণে গাছের আম বেশিরভাগই পড়ে যাচ্ছে আর ছোট ছেলে মেয়েরা আম কুড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। আমি উপরে আপনাদের মাঝে একটা ছবি শেয়ার করেছি সেখানে দেখতে পাচ্ছেন দুইটা ছোট্ট মেয়ে আম কুড়ানোর কাজে ব্যস্ত। আর তারা প্রায় এক ব্যাগ করে আম পেয়েছে। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম যে তারা নাকি সকালে এর থেকে বেশি আম পেয়েছে।
যাইহোক যেহেতু আজকে ঘূর্ণিঝড়ের দিন আপনাদের মাঝে খুব একটা বেশি কিছু শেয়ার করার সুযোগ পাচ্ছিনা। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী দিনে আপনাদের মাঝে নতুন কোন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হব।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
আসলে প্রচন্ড ঝড় হল সকাল থেকে। রেমালের তাণ্ডব অনেকের ক্ষয়ক্ষতি করে গেছে। আমরা কেউ এমনটা প্রত্যাশা করিনি আমরা চেয়েছিলাম স্বস্তির বৃষ্টি আর ঠান্ডা আবহাওয়া। ইনশাল্লাহ এই ক্ষয়ক্ষতি থেকে সবাই কাটিয়ে উঠবে। আল্লাহ আর এমন ঝড় যেন না দেয় সেই দোয়া করি।
আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে লক্ষ্য করলাম প্রচুর পরিমাণে ঝড় শুরু হয়েছে।
আসলে ভাইয়া পচন্ড গরমে মানুষ যেমন অসহ্য হয়ে পরছিল। কিন্তু এই বৃষ্টিতে অনেকের সস্তিতা এলেও রেমাল ঘুর্নিঝর এ কিছু কিছু জেলায় এর ভয়াবহতা হয়েছে। যার কারনে দেশের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এমনকি অনেক পরিবারের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু আমরা এটা কেউ কামনা করিনি। আল্লাহ যেন এই বিপদ থেকে সবাইকে রক্ষা করে। আর তার পাশাপাশি সবার জান ও মাল যেন অক্ষত থাকে। আল্লাহর কাছে এই দোয়াই করি।
এটা ঠিক বলেছেন গরমের কারণে মানুষের অসহ্য হয়ে পড়েছিল।
আসলে বৃষ্টির চেয়ে বাতাস এর কারণেই এবার ক্ষয়ক্ষতি বেশি হচ্ছে বলে আমার ধারণা ভাই। আমাদের এখানেও গতকাল রাত থেকেই টানা বৃষ্টি চলছে আর সাথে বেশ জোড়ে বাতাস বইছে। যার ফলে এখানেও অনেক গাছ ভেঙে পড়েছে। আমাদের বাড়িওয়ালার ছাদে বেশ কয়েকটি আম গাছ এবং একটি পেয়ারা গাছ লাগানো ছিলো। পেয়ারা গাছটি এবং ৩ টি আম গাছ ভেঙে পড়েছে জেনে মন খারাপ হয়েছে।
বাতাসের পরিমাণটা একটু কম হলে ক্ষতির পরিমাণটা কমে যেত
আপনাদের গ্রামে দেখছি ভাই, ঝড়ের কারণে ভালোই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হওয়ার ব্যাপারটা আমাদের এখানেও ছিল। গতকাল থেকে সেটা আবার ঠিক হয়ে গেছে। যাইহোক, আপনাদের এলাকায় যদি নদী থাকতো, তাহলে হয়তো আরো অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো। সবকিছু আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে, এটাই আশা রাখি।
আমাদের এলাকাতে ইন্টারনেট সংযোগের চেয়ে অবস্থা তাতে তো অবস্থা খারাপ।
শুধু যে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক বন্ধ এমনটা না কিন্তু। ঝড়ের প্রভাবে দেশের প্রায় ১০,০০০ মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার বন্ধ। এমন একটা অবস্থা ফোনে টাওয়ার পাচ্ছে না। আপনাদের এলাকার অবস্থা তো খারাপ। গাছপালা ভেঙে গিয়ে যাচ্ছেতাই একটা অবস্থা। তবে ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর দারুণ একটা মজা আছে। গাছে আম বলে মনে হয় না আর কিছু আছে ঝড়ে সব শেষ।
এই সমস্যার কারণেই আমরা ভালোভাবে ইন্টারনেট চালাতে পারছি না।
রেমালের প্রভাব আমাদের গ্রামে বেশ ভালোই পড়েছে দেখছি। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের প্রতিটি এলাকায় কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাস্তাঘাটে চারপাশে গাছপালা পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কারণে আমাদেরকে অনেক ভুগতে হয়েছে। তবে উপকূলীয় অঞ্চলে যারা বসবাস করে তাদের পরিমাণ অনেক বেশি হয়েছে।