লাইফস্টাইল: গরমের হাত থেকে মাছগুলোকে রক্ষার চেষ্টা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার, জুন ১২/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন যে আমি গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি। যেহেতু আমি গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি তাই আমার পরিবার কৃষিকাজের সাথে সরাসরি যুক্ত রয়েছে। আমিও মাঝে মাঝে চেষ্টা করি পরিবারের স্বার্থে কৃষিকাজে হাত লাগানোর। আমাদের এলাকাতে ধানের পাশাপাশি সব থেকে যে জিনিসটা ভালো হয় সেটি হচ্ছে মাছ চাষ। বর্তমান সময়ে আমাদের গ্রামের প্রায় প্রত্যেকটি পরিবারই মাছ চাষের সাথে সরাসরি ভাবে যুক্ত রয়েছে। আমাদেরও চারটা পুকুর রয়েছে যেখানে আমরা বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করে থাকি। আমাদের এলাকাতে সব থেকে বেশি পাঙ্গাস এবং তেলাপিয়া মাছ চাষ করা হয়ে থাকে।
যেহেতু এখন অনেকটাই গরমের সময় আর এই সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে গরম পরছে। অন্যদিকে এবছর বৃষ্টির পরিমাণটাও যেন কোনোভাবেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এত গরমে মানুষের যেমনটা কষ্ট হচ্ছে ঠিক তেমনি ভাবে মাছেরও বেঁচে থাকাটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আমাদের এলাকার অনেক মানুষের পুকুরের মাছ মারা যেতে শুরু করেছে শুধুমাত্র এই গরমের কারণে। কারণ এই গরমে পুকুরগুলোতে পানির সংখ্যা কমে গিয়েছে এবং যতোটুকু পানি রয়েছে তাও খুব সহজেই গরম হয়ে যাচ্ছে। আর পানির তাপমাত্রা খুব সহজে পরিবর্তন হয়ে যাবার ফলেই মাছেদের জীবনধারণ অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। মূলত এই একটা কারণেই প্রত্যেক বছরই গরমের সময় অনেক মানুষের পুকুরে মাছ মারা যায়। যেহেতু আমাদের বেশ কয়েকটা পুকুর রয়েছে তাই আমাদেরকেও এই বিষয়টা একটু আগে থেকেই লক্ষ্য করতে হয়েছে। কারণ যদি আমাদেরও উপরের মাছ মরতে শুরু করে দেয় তাহলে বড় একটা লস এর সম্মুখীন হয়ে যেতে হবে আমাদের পরিবারটাকে। এজন্য কয়েকদিন আগে আমি এবং আমার আব্বা আগে থেকেই মাছের যত্ন নেবার কাজ শুরু করে দিয়েছি। যেহেতু আমাদের পুকুরে পানি দিতে হবে তাই প্রথমে একটা ড্রেনের প্রয়োজন। যেহেতু এখন জমিতে কোন ফসল নেই তাই জমির পাশ দিয়েই ড্রেন তৈরি করা লেগেছে উপরে পানি দেবার জন্য।
যেদিন আমরা ড্রেন তৈরি করেছিলাম সেদিন হয়তো বা আমার স্কুল ছিল তাই খুব সকালেই আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম আমাদের পুকুরের পাশে। কারণ আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন আমার স্কুল ৭:৪৫ থেকে শুরু হয়। এই বিষয়টাকে মাথায় রেখেই আমরা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমার স্কুলে পৌঁছানোর আগেই কাজ শেষ করে ফেলব। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই চলে গিয়েছিলাম সেখানে এবং দ্রুততার সাথে কাজ করতে শুরু করে দিয়েছিলাম। অবশেষে যখন আমাদের ড্রেন করার কাজ শেষ হয়ে মেশিন চালু করে দিলাম উপরে পানি দেবার জন্য ঠিক তখনই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম প্রায় সাতটা বেজে গিয়েছে। যেহেতু আমার স্কুলের সময় হয়ে আসছিল তাই আমি আর সেখানে বেশি সময় অপেক্ষা করলাম না। আমার আব্বা সেখানে বেশ কিছু সময় থেকে আমাদের পুকুরে ভালোভাবে পানি দিয়ে দিল যেন মাছগুলো মারা না যায়।
আসলে চাষাবাদ যে ধরনেরই হোক না কেন সেখানে পরিচর্যা করাটাই সব থেকে বড় একটা বিষয়। কোথায় আছে কৃষকের জমির সবথেকে উৎকৃষ্ট সার হচ্ছে কৃষকের পায়ের ধুলা। মানে যে কৃষক তার জিনিসকে যত বেশি পরিচর্যা করবে সে তত বেশি লাভবান হবে। আমার শেয়ার করা এই পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলেই অসহ্য গরম পড়েছে , বৃষ্টির দেখা নেই আজ পর্যন্ত ৷ আর এই গরম মাছের জন্যে ও অনেক কষ্টের ৷ পুকুরে পানি দিয়ে ভালোই করেছেন ৷ পুকুরে যথেষ্ট পানি না থাকলে মাছ মারা যেতে পারে ৷ এবং আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন , এসব কথা চিন্তা করে সকাল সকাল পুকুরে পানি দিযেছেন এরপর স্কুলে চলে গিয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ৷ যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ৷
পুকুরে পানি না দিলে হয়তোবা মাছ মারা যেতে শুরু করে দিতো।