জেনারেল রাইটিং: ঈদুল আযহার ছুটির আগেই অভিভাবক সমাবেশ এবং টিউটোরিয়ালের ফলাফল প্রকাশ করলাম
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার, জুন ২৬ /২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি পুনরায় আপনাদের মাঝে নতুন আরো একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা হয়তোবা সকলেই অবগত রয়েছেন আর মাত্র কয়েকদিন পরেই আমাদের সব থেকে বড় উৎসব ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। আর এই কারণে এখন প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রাইভেট স্কুল হবার কারণে আমাদের স্কুল বন্ধ হতে একটু দেরি হল তারপরও এ বছরই প্রথম আমরা আমাদের স্কুলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ বেশি ছুটি দিতে সক্ষম হয়েছে। এ বছর আমরা ২৭ জুন থেকে শুরু করে ৪ জুলাই পর্যন্ত ছুটি দিয়েছি। যেহেতু ঈদের জন্য স্কুল ছুটি দিতে হবে তাই আমরা ঈদের আগেই জুন মাসের টিউটোরিয়াল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ এবং অভিভাবক সমাবেশ এর আয়োজন করেছিলাম আজকেই। ঈদের কারণে আমাদের এই অভিভাবক সমাবেশে অভিভাবকদের উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল।
প্রথমে কোরআন তেলাওয়াত এবং তারপরে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে আমাদের এই অভিভাবক সমাবেশ শুরু হয়েছিল। যেহেতু আজকেই ছাত্রছাত্রীদের ঈদের ছুটি দিয়ে দেয়া হবে তাই ছাত্র-ছাত্রীদের মনের মধ্যে আমি অন্য রকমের একটা খুশি লক্ষ্য করছিলাম। একই সাথে এই দিনটাতে ছাত্রছাত্রীরা অনেক খুশি থাকে কেননা এই দিনেই চলতি মাসের টিউটোরিয়াল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জাতীয় সংগীত শেষ হয়ে যাবার পরেই প্রধান শিক্ষকের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আমাদের আজকের এই অভিভাবক সমাবেশ শুরু হয়। প্রথমেই আমরা অভিভাবকদের কাছ থেকে তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার অগ্রগতি এবং আমাদের পরবর্তীতে কোন বিষয়গুলোতে উন্নতি করা উচিত সেগুলোর একটা ধারণা নেই। সকল অভিভাবকদের পরামর্শ প্রদান শেষ হয়ে যাবার পরে আমাদের শিক্ষকেরা অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে কিছু দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। শিক্ষকদের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য শেষ হয়ে যাবার পরেই চলে আসে অতিথিদের বক্তব্যের পালা। আমাদের আজকের এই অভিভাবক সমাবেশে দুজন অতিথি ছিলেন যারা আমাদের শিক্ষক ,অভিভাবক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে খুবই সুন্দর কিছু দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও আমাদের একজন অভিভাবক আমাদের স্কুলকে অ্যাসোসিয়েশন এর বৃত্তির আওতায় অন্তর্ভুক্তির জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান ভালো দেখেই তিনি মূলত আমাদেরকে এই পরামর্শটি প্রদান করেছেন।
অনুষ্ঠানের শেষ অংশে চলে আসে বহুল আকাঙ্ক্ষিত সেই পর্বটি। প্রতিবারের ন্যায় এই পর্বটি আমি নিজেই পরিচালনা করে থাকি। আমরা প্রত্যেক মাসে চেষ্টা করি আমাদের স্কুলের চলতি মাসের টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথম স্থান অধিকার করেছে তাদেরকে পুরস্কার প্রদান করার জন্য। আমি পর্যায়ক্রমে আমাদের স্কুলের প্রত্যেক শ্রেণীর প্রথম স্থান অধিকার কারীদেরকে তাদের পুরস্কার গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করি। আমাদের দেওয়া এই পুরস্কারটি হয়তোবা অনেকটাই সামান্য হতে পারে কিন্তু তারা এগুলো পেয়ে অনেক খুশি হয়। আসলে পুরস্কার যতই সামান্য হোক না কেন সেটা তো পুরস্কারই। আর পুরস্কারের মর্যাদা কোন সময়েই সামান্য হয় না।
প্রতিনিয়ত গ্রহণ করা আমাদের স্কুলের এই ধরনের উদ্যোগগুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে প্রতিটা বিদ্যালয় এরকম একটা উদ্যোগ রাখা উচিত। এতে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকদের সাথে শিক্ষকদের একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে যেমন। তেমনি তাদের নিজেদের সন্তানদের ভালো-মন্দ আলোচনা করা যায় এইরকম মিটিংয়ে।
এটা করার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে
এত অল্প কয়দিন ছুটি তারপরও আপনাদের স্কুলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছুটি জেনে অবাক হলাম। স্কুলগুলোতে তো ছুটির পরিমাণ একটু বেশি থাকে।প্রাইভেট স্কুল জন্য হয়তো এরকম। তাছাড়া এখন অভিভাবকদের সঙ্গে সমাবেশ করার আইডিয়াটা খুব ভালো। এতে বাচ্চাদের অনেক ইম্প্রুভমেন্ট হয়। তাছাড়া টিউটোরিয়াল এর ফলাফল অনুযায়ী পুরস্কিত করার বিষয়গুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে।
আমাদের স্কুলে যতটা কম ছুটি থাকে সেটা আপনি যদি তালিকা দেখেন তাহলে অবাক হয়ে যাবেন