জেনারেল রাইটিং: কামিনী ফুলের সুবাসে স্কুলের সকলেই মুগ্ধ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার, আগস্ট ২২/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আমাদের স্কুলের ফুল বাগান নিয়ে হয়তোবা এর আগে আমি আপনাদের মাঝে অনেকগুলো পোস্ট শেয়ার করেছি। যারা আমার পোস্টগুলো নিয়মিত পড়েন তারা আমাদের স্কুলের ফুলবাগান গুলো দেখে থাকবেন। স্কুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আমি সবসময়ই চেষ্টা করি সুন্দর সুন্দর ফুল গাছ নিয়ে এসে এখানে লাগাতে। অনেকদিন থেকেই ইচ্ছা ছিল একটি কামিনী ফুল গাছ আমাদের স্কুলে লাগাবো। আজ থেকে প্রায় দুই মাস আগে আমি এই কামিনী ফুল গাছটি কেনার জন্য নার্সারিতে গিয়েছিলাম। আপনারা যারা কামিনী ফুল চিনে থাকেন তারা হয়তো বা জানবেন যে এই ফুলটির সুবাস কতটা বেশি।
প্রথমে আমি এই গাছটাকে চিনতাম না। অনেকদিন আগে হয়তো বা কোথাও একদিন এই গাছটা দেখেছিলাম এবং এই ফুলের সুবাস আমার খুবই পছন্দ হয়েছিল। তারপরে এই ফুলের গাছের সম্পর্কে এবং ফুলের সুবাস সম্পর্কে ভুলেই গিয়েছিলাম। হঠাৎ একদিন স্কুলে দেখলাম একজন ছাত্র কয়েকটা কামিনী ফুল নিয়ে এসেছে। ফুলটি দেখার পরে এবং ফুলটির সুবাস গ্রহণ করার পরে আমার মনে পড়ে গেল যে এই গাছটা আমি কিনতে চেয়েছিলাম। যেহেতু আমি গাছটির নাম জানতাম না তাই অনেক খোঁজাখুঁজি করতে লাগলাম। অবশেষে লেন্সের সাহায্য নিয়ে আমি এই গাছটির সঠিক নাম জানতে পেরেছিলাম।
সঠিক নাম জানার পরে আমি আর দেরি করেছিলাম না। যত দ্রুত সম্ভব চলে গিয়েছিলাম নার্সারিতে আর কিনে এনেছিলাম। কামিনী ফুল গাছ দুটো লাগানোর পোস্ট হয়তোবা আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। যখন গাছ দুটি আমি আমাদের স্কুলে লাগিয়েছিলাম তখন গাছ দুটি ছোট ছিল। যেহেতু এখন বর্ষাকাল তাই মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই গাছ দুইটি খুবই সুন্দর হয়ে গিয়েছে। একই সাথে গাছ দুটিতে প্রচুর পরিমাণে কামিনী ফুল ফুটতে শুরু করে দিয়েছে।
আর এই কামিনী ফুলের সুবাসে বর্তমানে আমাদের স্কুল সুবাসিত হয়ে গিয়েছে। এখন প্রত্যেকটি ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক যখনই কামিনী ফুল গাছটির পাশ দিয়ে যাচ্ছে তখনই এর সুবাস গ্রহণ করছে। বিষয়টা যখন আমি দেখছি আমার লাগানো গাছের সুবাস সকলেই গ্রহণ করছে তখন আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে। আপনারা কি কোন সময় কামিনী ফুলের সুবাস গ্রহণ করেছেন। যদি এই কামিনী ফুলের সুবাস গ্রহণ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন এই ফুলের ঘ্রাণ আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কামিনী ফুলের সুবাসে স্কুলের সকলেই মুগ্ধ । সত্যি এই ফুলের সুবাস না কিন্তু বেশ সুমধুর। আপনি আপনাদের স্কুলের ফুলবাগান তৈরি করেছেন এটাও আমি অনেক আগেই জেনেছি। আসলে এরকম ফুলবাগান যদি স্কুলে থাকে তাহলে স্কুলের সৌন্দর্য আরো অনেক বাড়িয়ে তোলে। আপনাদের স্কুলের ফুলবাগান আমি দেখেছি বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
স্কুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্যই তো আমি এই বাগানটা তৈরি করেছি।
থোকা থোকা কামিনী ফুল দেখে মনটা ভরে গেলো,অসাধারণ সুন্দর ফুল গুলো এবং গাছটিও খুব সুন্দর ও সুস্থ তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সত্যি কামিনী ফুলের এতো মিষ্টি গন্ধ যে কাউকে মুগ্ধ করে ছারবে আমার জানালার পাশে একটি কামিনী ফুলের গাছ আছে তাই জানি কতোটা সুগন্ধি ফুল কামিনী। আপনার স্কুলের কোমলমতি ছাত্র, ছাত্রীরা ফুলের গন্ধে মুগ্ধ হয়ে গেছে। আপনার স্কুলে ফুলের গাছ লাগানোর কথা জেনে খুব ভালো লাগলো।আপনার কারণে সবাই সুবাস পাচ্ছে এটা কজনার ভাগ্য হয়।
এই ফুল একসাথে অনেকগুলো ধরতে থাকে তাই এগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
ভাইয়া আপনার পোস্টটি দেখে আমার স্কুল জীবনে কথা মনে পড়ে গেল।আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি তকন আমরা সবাই মিলে স্কুলে বেশ কিছু ফুলের গাছ লাগিয়ে ছিলাম।স্কুল জীবনটা বেশ ভালোই কাটিয়েছিলাম। আপনার করা পোস্টটি দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং ফটোগ্রাফি করেছেন অনেক সুন্দর ধন্যবাদ ভাইয়া।
তাহলে তো দেখছি আপনার অনেক ছোটবেলা থেকেই গাছ লাগানোর প্রতি অনেক আগ্রহ রয়েছে।
স্কুল প্রাঙ্গণে ফুল গাছ থাকলে পরিবেশ ও খুব চমৎকার লাগে। দুমাস আগে আপনি একটি ছাত্রের কাছে কামনী ফুল কয়টি দেখে নার্সারি বাগান থেকে গাছটি কিনে আনলেন।কামিনী ফুলের ঘ্রাণ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক মুগ্ধ। আসলে সবচেয়ে ভালো সুগন্ধ হচ্ছে ফুলের গন্ধ। যদিও আমি এই কামিনী ফুলের সুগন্ধ নিতে পারি নাই তাই এই ফুলের ঘ্রাণ কিরকম জানা নেই। আর ফুল সবাই পছন্দ করে ফুলকে সবাই ভালোবাসে। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এত সুন্দর একটি ফুল গাছ স্কুল প্রাঙ্গণে রোপন করার জন্য।
এই ফুলের সুবাস এতটাই মিষ্টি যা সকলেই পছন্দ করতে শুরু করে দিয়েছে।
স্কুল প্রাঙ্গনে ফুলের গাছ থাকলে মনটা বেশ ভালো লাগে।আপনি কামিনী ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। মনটা ভরে গেলো দেখে।আপনি স্কুলে কামিনী ফুল গাছ লাগিয়েছেন যার সুগন্ধে সবাই মুগ্ধ।আসলে এই ফুলের ঘ্রানটা খুবই সুন্দর। আমার কাছে ও ভীষণ ভালো লাগে।জায়গা থাকলে আসলে গাছ লাগানো উচিত আরো। ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করে যাচ্ছি আপু আশা করি সামনের দিকে আরো অনেক গাছ লাগাবো।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে কামিনী ফুলের সুবাস অনুভব করার মূহুর্ত শেয়ার করেছেন। আপনার লাগানো ফুল গাছ অনেক বড় হয়ে আজ ফুল ফুটেছে। আর সেই ফুলের সুবাসে স্কুলের সকলে মুগ্ধ হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এই মহৎ কাজের জন। আপনার জন্য শুভকামনা ভাইয়া।
এই তো কিছুদিন আগেই লাগিয়েছি এরই মধ্যেই ফুল ধরতে শুরু করে দিয়েছে
স্কুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ লাগান জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো ভাই। কামিনী ফুলের সুগন্ধ আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। এই ফুলের সুগন্ধ আপনাদের স্কুলের সবাইকে মুগ্ধ করেছে জেনে আনন্দ পেলাম।
আসলে এই ফুলটা সুবাস এতটাই ভালো লাগার মত যা প্রত্যেকেরই ভালো লাগে।
জেনে অনেক খুশি হলাম স্কুলের আঙিনায় কামিনী ফুল লাগিয়েছ দেখে। হয়তো আমি থাকলে আরো অনেক কিছু চেষ্টা করতাম যাই হোক চেষ্টা করবে ঠিকঠাকভাবে স্কুলটা সুন্দর করে রাখার জন্য।
সেটাই আপনি থাকলে হয়তো বা আরো অনেক গাছ লাগানো হয়েছে তো।
এই ধরনের উদ্যোগ সত্যিই বেশ প্রশংসনীয়। আপনাদের স্কুলের মাঠে কামিনী ফুল লাগিয়েছেন, এই ব্যাপারটা খুব ভালো লাগলো ভাই। কামিনী ফুলের ঘ্রাণ দারুণ লাগে। আর সেজন্যই তো স্কুলের সবাই মুগ্ধ হয়েছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই কামিনী ফুলের ঘ্রান সকলের কাছেই ভালো লেগেছে।