জেনারেল রাইটিংঃ অভিভাবক সমাবেশ এবং টিউটোরিয়াল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা যারা আমার পোস্টগুলো নিয়মিত পড়েন তারা হয়তো বা জানেন যে আমি পেশাগতভাবে একজন শিক্ষক। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমাদের স্কুলের ভালো বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে। এর আগেও আমি আপনাদের মাঝে এই বিষয়টা শেয়ার করেছি। প্রত্যেক মাসেই যেটুকু পড়ানো হয়েছে সেই বিষয়গুলোর উপরে মাসের শেষের দিকে টিউটোরিয়াল পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেহেতু আমরা প্রত্যেক মাসের শেষের দিকে একটা অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করি ঠিক সেই দিনেই টিউটোরিয়াল পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশ করে থাকে। যেহেতু দুইটা জিনিস একই সাথে সংঘটিত হয় তাই এই দিনটাতে আমাদের স্কুলে একটা জমজমাট উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করে। এই দিনটাকে কেন্দ্র করে ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের মধ্যে অন্য রকমের একটা উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত লক্ষ্য করা যায়। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি তাদের ভিতর সব থেকে বেশি আকর্ষণ থাকে ফলাফল প্রকাশ কে কেন্দ্র করে। আর এজন্যই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ আমরা অনুষ্ঠানের ঠিক শেষ অংশে করে থাকি।
প্রত্যেক সপ্তাহের মত এই সপ্তাহেও আমাদের এই মাসিক অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠান কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল। আর কোরআন তেলাওয়াত শেষ হয়ে যাবার পরেই ছিল জাতীয় সংগীত পরিবেশন এর পালা। জাতীয় সংগীত পরিবেশন এর জন্য আমাদের স্কুলের সকল শিক্ষক ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকবৃন্দ দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন । একই সাথে তারা জাতীয় সংগীত ও পরিবেশন করেন।
জাতীয় সংগীত শেষ হয়ে যাবার পরে আমাদের স্কুলের শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। একই সাথে তিনি ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক অভিভাবকবৃন্দ সকলের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য শেষ হয়ে যাবার পরে আমরা প্রত্যেকটি অভিভাবক এর কাছ থেকে আমাদের স্কুলের অগ্রগতি এবং কোন বিষয়গুলোতে আমাদের এখনো ঘাটতি রয়েছে সেগুলো জানার চেষ্টা করি। বিষয়গুলো শোনার পরে সেই বিষয়গুলোর প্রেক্ষিতে আমাদের স্কুলের শিক্ষকরা বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে আমাদের অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি কিছু দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের ঠিক শেষ অংশে ছিল সেই জমজমাট মুহূর্তটি। প্রত্যেক বারের মতো এই মুহূর্তটা এবারও আমি নিজেই উপস্থাপন করেছিলাম। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সাথে সাথে যে সকল ছাত্র-ছাত্রী এই পরীক্ষাতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন তাদের সকলকেই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
এই উদ্যোগ টা প্রতিটা স্কুলে হওয়া উচিত।আজ কাল আমাদের দেশের সরকারি বিদ্যালয় গুলোতে তো শুধু ছাত্র আনতে পারলেই হলো আর দায়িত্ব নেই।আপনাদের উদ্যোগ টা ভাল লাগলো।ধন্যবাদ ভাই।
সরকারি স্কুলে তো এখন বেঞ্চ থাকলেই তাদের বেতন থাকে।
এই ধরনের উদ্যোগগুলো স্কুলের জন্য খুব ভালো। অভিভাবক সমাবেশ এবং টিউটোরিয়াল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ একসাথে করেছেন। এরকম করে ছাত্রছাত্রীকে যদি ভালো রেজাল্টের জন্য পুরস্কৃত করে তাহলে ছাত্র-ছাত্রীর মন অনেক ভালো থাকে তারা ভালো করার চেষ্টা করে। যাই হোক আপনাদের প্রধান অতিথি নিশ্চয় ভালো দিক-নির্দেশনা দিয়েছে। তবে এবারও আপনি অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন শুনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে স্কুলের এই ভালো উদ্যোগটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পুরস্কার দেবার এই উদ্যোগটা আমি আর সুমন স্যার মিলে নিয়েছিলাম।
আপনাদের স্কুলে ভালোই উদ্যোগ নিয়েছে। অভিভাবক সমাবেশ এবং স্কুলের টিউটোরিয়াল পরীক্ষার রেজাল্ট একসাথে অনুষ্ঠান করেছেন। তবে এরকম স্কুলগুলোতে অভিভাবক সমাবেশ করলে অনেক ভালো হয়। আর ছাত্র-ছাত্রী যেগুলো ভালো রেজাল্ট করেছে তাদেরকে স্কুলের তরফ থেকে গিফট দেওয়া হয়েছে তারা খুশি হয়েছে। এবং সামনে আরো ভালো রেজাল্ট করার চেষ্টা করবে। তবে স্কুল অনুষ্ঠানের উপস্থাপনাতে আপনি ছিলেন এই কারণে ভালই লাগলো শুনে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি লক্ষ্য করে দেখেছি অভিভাবক সমাবেশ এর কারণে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার মান অনেক বৃদ্ধি পায়।