ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক,অভিভাবকদের ভিন্নভাবে শীত নিবারণের চেষ্টা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। গত কয়েকদিন যাবৎ আমাদের দেশের উপর দিয়ে সত্য প্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে যার কারণে শীতের পরিমাণটা অন্যান্য সময়ের থেকে এখন প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনারা একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখলেই বুঝতে পারবেন অন্যান্য সময়ে যে তাপমাত্রা ছিল তার থেকেও অনেক বেশি পরিমাণে কমে গিয়েছে গত কয়েক দিনের তাপমাত্রা। আজকে ইস্কুলে যাবার পরে প্রতিনিয়ত আমরা যে এসেম্বলি করি সেটাও করতে পারিনি এই খারাপ আবহাওয়ার কারণে। যে সময়টিতে আমরা এসেম্বলি করব ঠিক সেই সময় লক্ষ্য করলাম বৃষ্টির মত গুড়ি গুড়ি শিশির বিন্দু পড়তে শুরু করে দিয়েছে। শিশিরবিন্দু পড়ার মুহূর্ত দেখলে যেন মনে হচ্ছিল এটা শিশিরবিন্দু নয় এটা হয়তো বা বৃষ্টি।
এজন্য অন্যান্য দিনের মতো আজকে আর আমাদের এসেম্বলি ক্লাস করা হলো না। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ক্লাস রুমের মধ্যে রাখার চেষ্টা করলাম যেন তারা এই খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে না আসে । কেননা যদি তারা এই খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে চলে আসে তাহলে যে কোন সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তারপরও আজকে এতটাই বেশি পরিমাণে শীত পড়েছিল কোনভাবেই যেন শীত নিবারণ করা যাচ্ছিল না। যদিও সকলেই শীতের জন্য প্রচুর পরিমাণে গরম পোশাক পরিধান করেছিল তারপরও আমাদের স্কুলটি মাঠের কাছে হবার কারণে শীতের পরিমাণটা একটু বেশি ছিল।
স্কুলটি মেইন রাস্তার পাশে এবং মাঠের কাছাকাছি হবার কারণে এখানে বাতাসের পরিমাণটা খুবই বেশি থাকে। আর এই বাতাসের কারণেই শীতের পরিমাণটা আরো বেশি হয়ে গিয়েছিল আজকের দিনে। কি করবো কি করবো চিন্তা-ভাবনা করছিলাম হঠাৎ আমাদের সকলের মাথায় আসলো এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি বাবার একটাই উপায় রয়েছে সেটা হচ্ছে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ।
যেহেতু আজকে সারাদিন প্রচুর পরিমাণে শীত পড়েছে তাই আমাদের স্কুলে কয়েক দফায় আগুন জালানো হয়েছে আজকে শুধুমাত্র শীত নিবারণ করার জন্য। সকালের দিকে লক্ষ্য করলাম অভিভাবকেরা সিট নিবারণ করার জন্য আগুন জ্বালিয়েছে। দুপুরের দিকে লক্ষ্য করলাম শিক্ষকেরা কিছু জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে-শীত নিবেদন করতে শুরু করেছে। স্কুল ছুটি হবার মুহূর্তের লক্ষ্য করলাম শীতের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে ছাত্রছাত্রীরা ও আগুনের কাছে চলে এসেছে কেননা এটাই একমাত্র সঠিক উপায় যেভাবে খুব সহজেই শীত নিবারণ করা যায়। এভাবে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ ও যেমন হচ্ছিল ঠিক তেমনি ভাবে ছাত্রছাত্রীরা ও অনেক খুশি হচ্ছিল। যাইহোক আজকের এই দিনটা প্রচন্ড শীতের মধ্য দিয়ে কাটলেও অনেক মজার সাথে কাটাতে পেরেছি। আপনাদের এলাকাতে ঈদের কি পরিস্থিতি সেটা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
ভালো একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় শীত নিবারণের জন্য এরকম দৃশ্য দেখা যায়। বিশেষ করে গ্রামে এরকম আগুনের কুন্ডলির চারপাশে বসে গ্রামের মানুষ শরীরে তাপ নেয় এবং আড্ডা দেয়। তবে এভাবে আগুন জ্বালিয়ে তাপ নেরার ফলে অসাবধনতায় অনেকের শরীরে আগুন লেগে যায়।এবারো খবর বেরিয়েছে, বেশ কয়েকজন আগুলে পুরে আহত হয়েছে। এধরণের কাজে সাবধান থাকতে হবে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কি আর করা যাবে এভাবেই শীত নিবারণ করতে হবে শীতের পরিমাণটা এবার অনেক বেশি।
ভাইয়া আজ কয়েক দিন আবহাওয়া খুব একটা ভালো নয়। কারণ আজকের আবহাওয়াটা আমি দেখলাম যে যেন মনে হচ্ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন বৃষ্টি পড়ছে। তবে যাই হোক দেখছি অভিভাবক এবং শিক্ষক ও আগুন পোহায়ছেন। আপনার পোস্ট দেখে জানতে পারলাম আজকের কুয়াশা খুব একটা বেশি হওয়ায় আপনারা আগুন জ্বালিয়েছেন এবং গা গরম করেছেন খুবই ভালো লাগলো। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সকলে মিলে শীত নিবারনের ভিন্ন ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করতে শুরু করে দিয়েছি।
আসলে বেশ কিছুদিন ধরে শীতের পরিমাণ এত বেড়েছে যে সকাল বেলা ছোট বাচ্চাদের জন্য স্কুলে যাওয়া আসলেই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া খোলা মাঠওয়ালা স্কুল হলে তো বাতাসের পরিমাণ আরো বেশি থাকে। আপনারা অবশ্য ভালো বুদ্ধি করেছেন আগুন জ্বালিয়ে কিছুটা শীত কমানোর চেষ্টা করেছেন। এত বেশি শীতে বাচ্চারাও আগুনের কাছে চলে আগুন পোহাতে। যাইহোক ভালো লাগলো ভিন্নধর্মী পোস্ট দেখে।
এটা ঠিক কথা আপু ছোটদেরকে নিয়ে এমন দিনে স্কুলে আসাটা অনেক কঠিন ব্যাপার।
ভাইয়া আজকে অনেক বেশি শীত ছিল। শীতের মধ্যে বাইরে গেলে বোঝা যাচ্ছিল মনে হচ্ছে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে শীত নিবারণের জন্য আগুন ধরানোর বিষয়টা বেশ ভালো লেগেছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
ঠিক কথা ভাই যেভাবে শুরু হয়েছিল মনে হচ্ছিল যেন বৃষ্টি হবে।
আমাদের এখানেও বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচুর পরিমাণে শীত পড়ছে। তবে শীতের সময় এভাবে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে বেশ ভালই লাগে। আর স্কুলের সামনে খালি মাঠ থাকলে শীতের পরিমাণ একটু বেশিই লাগে।আর এরকম সবাই একসাথে থাকলে তো আরো বেশি আনন্দ করা যায়। শীত থেকে বাঁচার জন্য ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের নিয়ে ভালই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করেছেন। সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলে আমাদের স্কুলটা মাঠের পাশে তো তাই এখানে শীতের পরিমাণটা একটু বেশি।
তাহলে তো শীতের দিনে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন আপনারা। যেহেতু ধপায় ধপায় আপনারা শীত নিবারণের জন্য আগুন জ্বালালেন। তাহলেই বুঝতে হবে মুহূর্তটি খুবই আনন্দের ছিল। যেহেতু খোলামেলা জায়গায় স্কুলটি অবস্থিত অনেক বেশি বাতাস আর শীত হবে। আপনাদের সবার আগুন জ্বালানো দেখে আমার আগুন পোহাতে ইচ্ছে করতেছে হা হা হা।
ঠিক কথা বলেছেন সকলে আনন্দের সাথে শীত নিবারণ করতে পারছিল।
প্রতিনিয়ত যেভাবে শীত পড়া শুরু করেছে তাতে করে আগুন পোহানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই। চারিদিকে খুবই ঠান্ডা শীতের পোশাক পরেও যেন শীত কমছে না। এভাবে ছোটবেলায় অনেক আগুন পোহানো হয়েছে। আপনাদের সবাইকে একসাথে এভাবে শীত নিবারনের জন্য আগুন পোহানো দেখে খুবই ভালো লাগছে।
আসলেই এমন আবহাওয়া থেকে রক্ষা পাবার উপায় এমনটাই হওয়া দরকার।
হুম। যদিও খুব ভালো একটা উপায় না বলে আমি মনে করি। তারপরও জিনিসটা ভালো।
x promotion