অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে একটা জন্মদিনের পার্টিতে অংশগ্রহণ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৮/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে অপ্রত্যাশিত ভাবে যুক্ত হওয়া একটি জন্মদিনের পার্টির গল্প বলতে শেয়ার চলেছি।
আসলে এ ধরনের জন্মদিন গুলো অনেক আনন্দদায়ক হয়ে থাকে যদিও এই সকল জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তেমন কোন জাঁকজমক ব্যবস্থা থাকে না। হঠাৎ করে ক্লাস নিতে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা আমাদের সবাইকে ডেকে পাঠালো। সেখানে যাবার পরে দেখতে পেলাম আমাদের স্কুলের একটি ম্যাডামের জন্মদিন উপলক্ষে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করেছে। তাদের এই আয়োজনটি দেখে আমি অনেক মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম যদিও তাদের আয়োজনটা ছিল অনেক ছোট পরিসরের।
যে ম্যাডামের জন্মদিন উপলক্ষে চতুর্থ শ্রেণী ছাত্রছাত্রীরা আয়োজন করেছিল সেই ম্যাডাম অনেক খুশি হয়েছিল তাদের এই কার্যক্রম দেখে। ভালোবাসার জায়গা থেকেই ছাত্রছাত্রীরা এই ধরনের আয়োজন করেছিল। পরে আমাদের সকল শিক্ষকদেরকে সেখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করলো তারা তাই আমিও সেখানে উপস্থিত হলাম। আর উপস্থিত হবার পরপরই আমার দায়িত্ব পড়ে গেল ফটোগ্রাফি করার। ফটোগ্রাফি গুলো করতে করতে আমার মাথায় চলে আসলো বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাবে।
তারা ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রী হবার ফলে খুব কম খরচের একটা জন্মদিনের আয়োজন করেছিল। হয়তোবা তারা দশ টাকা দিয়ে একটা কেক কিনেছিল আর কিছু চকলেট কিনেছিল জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করার জন্য। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল জন্মদিনের কেক কাটার বিষয়টি। কেক কাটার জন্য তারা কোন ছবি পাচ্ছিল না যার কারণে তারা স্কেল ব্যবহার করেছিল কে কাটার জন্য। তারা ভুলে গিয়েছিল জন্মদিনের কেক কাটার জন্য একটা সুরির প্রয়োজন হয়। পরে আমি তাদের জন্য অফিস থেকে একটা স্কেল এনে দিলাম আর তারা সেটা দিয়েই কেক কাটতে শুরু করে দিল।
আপনারা হয়তোবা অনেক বড় বড় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন কিন্তু এই ধরনের ছোট আকৃতির স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের আয়োজন করা জন্মদিনের অনুভূতিটা সত্যি অন্যরকম ছিল। এই সকল জন্মদিনের অংশগ্রহণ করতে যে কতটা ভালো লাগে যদি তা আপনারা অংশগ্রহণ করে দেখতে পারেন তাহলে বুঝতে পারবেন। দ্বিতীয়বারের মতো আমি এই ধরনের জন্মদিনের অনুষ্ঠান আমি দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ করতে পেরেছি এটা সত্যি আমার জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া।
ছাত্র-ছাত্রীদের আয়োজন করা এই জন্মদিনের ছোট্ট উপহারটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
জন্মদিনের আয়োজন ছোট হলেও ভালোবাসা কিন্তু অনেক বেশি ছিল ভাইয়া। আসলে নিজের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া জন্মদিনের এই ভালোবাসা সত্যি অনেক আনন্দের। যেই ম্যাডামের জন্মদিন ছিল তিনি নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছেন। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া পুরো বিষয়টি পড়ে।
আপনি খুব সুন্দর এবং আনন্দের সময় কাটিয়েছেন।আসলেই এই ধরনের আনন্দ গুলো অসাধারণ।যদি ছোট ছোট বাচ্চারা কম টাকায় জিনিস কিনে আয়োজন করেছেন। ব্যাপারটা হচ্ছে এই ছোট বাচ্চারা অনেক বড় মনে তাদের ম্যাডামের জন্য যা করেছেন সেটা হচ্ছে বড় কথা।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা কতটুকুনি না বুদ্ধি হয়েছে তাদের তবে এতটুকুনি বুদ্ধি তাদের মাথায় আছে যে শিক্ষকদের সম্মান করতে হয় মা বাবার মত।। যাই হোক তারা খুব সুন্দর আয়োজন করেছিল তাদের ম্যাডামের জন্মদিন উপলক্ষে দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।। ছোটদের সাদা মনে কোন কাদা নেই এজন্যই এত সুন্দর একটি আয়োজন তারা করতে পেরেছে।। ম্যাডামের জন্য শুভ জন্মদিন রইল শুভ হোক তোর আগামীর পথ চলা।।
ভাইয়া চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের 10 টাকায় কেনা কেকের মূল্য কখনো হবে না। কেননা তারা তাদের ম্যাডামের প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছে তা অনবদ্য ছিল। কতটুকু ভালবাসলে এই ছোট ছোট সোনা মনিরা কেক ও চকলেট নিয়ে এসে ম্যাডামের জন্মদিন পালন করে তা উপলব্ধি করার বিষয়। খুব ভালো লাগলো চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীর আয়োজনে ম্যাডামের জন্মদিনটি। আপনাদের সকলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ছাত্রছাত্রীরা ম্যাডামকে ভালবেসে জন্মদিনে অনুষ্ঠান পালন করেছে। যদি জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছোট পরিসরে হয়েছে। আসলে ছাত্রীদের এ ধরনের অনুষ্ঠান পালনের ম্যাডাম অনেক খুশি হয়েছেন। চমৎকার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সত্যি ভাইয়া এধরণের জন্মদিন ছোট হলে ও আনন্দ অনেক থাকে। আসলে নিজের ছাএছাএীর কাছ থেকে এমন ভালোবাসা পাওয়া সত্যিই অনেক আনন্দের। দশ টাকার কেক হয়তো হাজার টাকার সমান। বাচ্চারা ছুরি পাচ্ছিল না স্কেলটা হয়তো তাদের কাছে ছুরি থেকে অনেক বেশি দামি ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মূহুর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
আসলে ছোট হলেও এই ধরনের সারপ্রাইজ অনেক ভালো লাগে। আসলে নিজের ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে এই ভালোবাসা গুলো সত্যিই অনেক আনন্দ দেয়।যে ম্যাডামের জন্মদিন টা ছিল তিনি নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছেন।ম্যাডামকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো। ছোট ছোট বাচ্চাদের কেউ অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বেশ ভালো লেগেছে ভাইয়া ঘটনা টা পড়ে।